ওয়ানডেতে জোড়া সেঞ্চুরি বাংলাদেশ পেল পঞ্চমবার
সুযোগ পেয়ে তা দারুণভাবে লুফে নিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ওপেনিংয়ে নেমে তিনি তুলে নিলেন শতরান। তার সঙ্গে বড় জুটি গড়া নাজমুল হোসেন শান্ত ধরে রাখলেন ছন্দ। আরেকটি অসাধারণ ইনিংসে তিনিও পেলেন তিন অঙ্কের স্বাদ। তাদের কল্যাণে ওয়ানডেতে একই ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরির দেখা বাংলাদেশ পেল পঞ্চমবার।
রোববার পাকিস্তানের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের 'বি' গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। টাইগারদের জন্য এটি বাঁচা-মরার লড়াই। আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হারায় জয়ের বিকল্প নেই তাদের সামনে। এমন শক্ত সমীকরণ সামনে রেখে ব্যাটিংয়ে আলো ছড়িয়েছে তারা।
টস জিতে আগে নেমে মিরাজ ও শান্তর সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রানের রেকর্ড পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। বিদেশের মাঠে ওয়ানডেতে এটাই তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
নিয়মিত ওপেনারদের অনুপস্থিতিতে ব্যাটিং লাইনআপের একদম উপরে উঠে যাওয়া মিরাজ পান ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। সেজন্য তার লাগে ১১৫ বল। ৪৩তম ওভারে আহত অবসরে যাওয়ার আগে ১১৯ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ১১২ রান করেন তিনি।
ওই ওভারেই মিরাজের মতোই দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেন শান্ত। তুখোড় ফর্মে থাকা বাঁহাতি ব্যাটার সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ১০১ বলে। ৪৫তম ওভারে রানআউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১০৪ রান। ১০৫ বল মোকাবিলায় ৯ চার ও ২ ছক্কা হাঁকান তিনি।
একই ম্যাচে মিরাজ-শান্তর সেঞ্চুরির আগে ওয়ানডেতে এমন কিছুর দেখার বাংলাদেশ পেয়েছে আরও চারবার। প্রথম ঘটনাটি ২০১৫ সালের। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। এরপর ২০১৭ সালে কার্ডিফে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ছুঁয়েছিলেন তিন অঙ্ক।
পরের বছর চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইমরুল কায়েস ও সৌম্য সরকার পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি। আর সবশেষ ২০২০ সালে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সেই একই প্রতিপক্ষের বিপরীতে শতরান করেছিলেন তামিম ও লিটন দাস।
এশিয়া কাপে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ডও গড়েন মিরাজ ও শান্ত। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ১৯০ বলে ১৯৪ রান। আগের কীর্তিটি ছিল জুনায়েদ সিদ্দিকি ও ইমরুলের। ২০১০ সালে ডাম্বুলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে ১৬০ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা।
Comments