পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজ

ফখরের সেঞ্চুরিতে জিতে পাকিস্তানের মাইলফলক

Fakhar Zaman
১১৭ রান করেন ফখর। ছবি: সংগ্রহ

ভালো শুরুর পর নিউজিল্যান্ডকে টেনে নিলেন ড্যারেল মিচেল, দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি। আগ্রাসী খেলে সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে থামলেন উইল ইয়ং। শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে তিনশো ছুঁতে না পারা কিউইদের উপর পরে দাপট দেখালেন ফখর জামান। পাকিস্তান ওপেনারও পেলেন সেঞ্চুরি, ইমাম উল হক-বাবর আজমরা তাকে দিলেন সঙ্গ, ম্যাচ জিততে তাই খুব একটা কষ্ট করতে হলো না পাকিস্তানকে। একটা মাইলফলকও স্পর্শ করল তারা।

রাওয়ালপিন্ডিতে বৃহস্পতিবার প্রথম ওয়ানডে নিউজিল্যান্ডকে  ৫ উইকেটে হারিয়েছে পাকিস্তান। আগে ব্যাটিং পেয়ে সফরকারীদের করা ২৮৮ রান স্বাগতিক পাকিস্তান পেরিয়ে যায় ৯  বল আগে। তিন ম্যাচ সিরিজে বাবর আজমের দল এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।  এই নিয়ে পুরুষদের ওয়ানডেতে ৫০০তম জয় পেল পাকিস্তান। এর আগে এই ল্যান্ডমার্কে নাম লিখিয়েছে আর কেবল দুই দল- অস্ট্রেলিয়া ও ভারত।

দলকে জেতাতে ওয়ানডেতে নবম সেঞ্চুরি পাওয়া ফখর করেন ১১৪ বলে ১১৭ রান।

রান তাড়ায় নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় পাকিস্তান। ইমাম-ফখরের ওপেনিং জুটিতেই এসে যায় ১২৪ রান। তাদের রান তোলার গতিও ছিল বেশ সচল। ২২তম ওভারে ইশ সোধির বলে ভাঙে এই জুটি। ৬৫ বলে ৬০ রান করে এলবিডব্লিউতে কাবু হন ইমাম। এরপর অধিনায়ক বাবরকে নিয়ে জমে যায় ফখরের ছুটে চলা। বাবরও নেমেই ছিলেন চনমনে। অনায়াসে লক্ষ্যের দিকে এগুচ্ছিল পাকিস্তান।

এই জুটিতে আরও ৯৩ রান হওয়ার পর ফেরেন বাবর। মাত্র এক রানের জন্য ফিফটি পাওয়া হয়নি পাক অধিনায়কের। তবে সেঞ্চুরিয়ান ফখর দলের হাল ধরে এগুতে থাকেন। শান মাসুদ এসে তড়িঘড়ি ফিরে গেলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে আরেকটি দ্রুত গতির জুটি পেয়ে যান তিনি। দলকে একদম কিনারে নিয়ে রাচীন রবীন্দ্রের শিকার হন ফখর। ১১৭ রানের ইনিংসে ১৩ চারের সঙ্গে ১ ছক্কা মেরেছেন তিনি। ফখরের বিদায়ের পর আগা সালমান, মোহাম্মদ নাওয়াজদের নিয়ে বাকি কাজ তেমন কোন সমস্যা ছাড়াই সেরে ফেলেন রিজওয়ান (৩৪  বলে ৪২)।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে ভালো শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ডও। চাঁদ বোওজকে নিয়ে ৪৮ রানের জুটি পান তিনি। হারিস রউফ এসে ভাঙেন এই জুটি।  দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মিচেলের সঙ্গে ইয়ং টেনে নিতে থাকেন দলকে। শতরানের জুটির পর ইয়ংকে ফেরান শাদাব খান। ৭৮ বলে ৮৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে থামেন তিনি। অধিনায়ক ল্যাথাম এসে খুব একটা জমতে পারেননি, থিতু হয়েই উইকেট দেন শাহীন আফ্রিদিকে। টি-টোয়েন্টিতে ঝড় তোলা মার্ক চাপম্যান ওয়ানডেতে ছিলেন নিষ্প্রভ। মিচলের কাঁধেই পড়ে সব ভার। সেঞ্চুরি করে দলকে আড়াইশ পার করে থামেন তিনি। শেষ দিকে নাসিম শাহর তোপে যথেষ্ট রান আনতে পারেনি কিউইরা। এই ঘাটতি তারা টের পেল পরে বোলিংয়ে।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

2h ago