আবার সিয়ার্সের পাঁচ উইকেট, টানা দ্বিতীয় ম্যাচে কনকাশন বদলি নেওয়া পাকিস্তান হোয়াটওয়াশড

প্রতিকূল আবহাওয়ায় ৪২ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে দুই ফিফটিতে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়ল নিউজিল্যান্ড। রান তাড়ায় নামা পাকিস্তানের হয়ে বাবর আজম ফিফটি পেলেও বাকিরা পেলেন না দিশা। বেন সিয়ার্স টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পেলেন পাঁচ উইকেট। পাকিস্তানকে সহজেই হোয়াইটওয়াশ করল নিউজিল্যান্ড।
মাউন্ট মাঙ্গানুইতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেও হলো একপেশে। যাতে ৪৩ রানে জিতেছে স্বাগতিক দল। আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৬৪ রান তুলে কিউইরা। ৪২ ওভারে এই লক্ষ্যের পিছু ছুটে দুই ওভার আগে গুটিয়ে যাওয়া পাকিস্তান করে ২২১ রান। এতে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করল সেরা কয়েকজন তারকাকে ছাড়া খেলতে নামা নিউজিল্যান্ড।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫৯ রানে ৫ উইকেট নেওয়া সিয়ার্স এবার ৩৬ রানেই পেলেন ৫ উইকেট।
২৬৫ রানের লক্ষ্যে শুরুটা ভালো ছিলো পাকিস্তানের। ১ রান করে ইমাম উল হক মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়ার পর বাবরকে নিয়ে ৭৩ রান যোগ করেন শফিক। পাকিস্তানি ওপেনার অবশ্য ছিলেন বেশ মন্থর। সিয়ার্সের শিকার হয়ে ৩৩ রান করে যখন তিনি ফিরছেন, তখন তিনি খেলে ফেলেছিলেন ৫৬ বল। ইমাম আর মাঠে ফিরতে না পারায় কনকাশন বদলি হিসেবে নেওয়া হয় উসমান খানকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টানা দুই ম্যাচে কোন দলের কনকাশন বদলি নেওয়ার নজির নেই। এর আগে দ্বিতীয় ম্যাচে হারিস রউফের কনকাশন বদলি নেমে নাসিম শাহ ৪৪ বলে ৫১ করে হারের ব্যবধান কমান। এবার কনকাশন বদলি হিসেবে চারে নেমে উসমান খান টিকেছেন ১৭ বল। ১২ রান করে তার বিদায় মোহাম্মদ আব্বাসের শিকার হয়ে।
বাবর ছিলেন সাবলীল, পরিস্থিতির দাবি মিটছিল তার ব্যাটে। তবে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক থামেন অসময়ে। ৫৮ বলে ৫০ করা বাবরের উইকেট যায় ড্যারেল মিচেলের পকেটে। রানরেটের চাপ যখন বাড়ন্ত সেই অবস্থায় নেমে অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টায় খেলেছেন। তবে থিতু হয়ে তিনিও থামেন ৩৭ করে। আঘা সালমানের ব্যর্থতার দিনে তাইয়েব তাহিরও পেরুন ত্রিশের ঘর, তবে ইনিংস টানতে পারেননি কেউ। লোয়ার মিডল অর্ডারে এরপর হানা দিতে থাকেন সিয়ার্স, একের পর এক উইকেট তুলে সফরকারী দলকে মুড়ে দেন তিনি।
টস হেরে পাকিস্তানের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে নিক কেলিকে হারালেও রিস মারিউ আনেন ভালো শুরু। হেনরি নিকোলসকে নিয়ে ৭৮ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন তিনি। নিকোলস ৩১ করে আকিফ জাভেদের শিকার হন, খানিক পর রিউও বিদায় নেন ৫৮ করে।
পরে ড্যারেল মিচেল (৫৩ বলে ৪৩), টিম সেইফার্ট (২৯ বলে ২৬) মাঝারি অবদানে এগোয় স্বাগতিকরা। শেষ দিকে ৪০ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মিচেল ব্রেসওয়েল। তার ব্যাটেই জেতার মতন পুঁজি পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
নিয়মিত অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র, ডেভন কনওয়ে, কেইন উইলিয়ামস, লকি ফার্গুসেনদের মতন এক ঝাঁক তারকা ছাড়া নেমেও পাকিস্তানকে হোয়াটওয়াশ করে নিউজিল্যান্ড বুঝিয়ে দিল তাদের ক্রিকেটের গভীরতা।
Comments