কলকাতাকে জিতিয়ে শার্দুল কৃতিত্ব দিলেন অবচেতন মনকে

শার্দুল ঠাকুর। ছবি: আইপিএল

সচেতনভাবে রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ওপর চড়াও হয়েছিলেন আচমকা বোলার থেকে ব্যাটার হয়ে ওঠা শার্দুল ঠাকুর? জবাব হলো 'না'। বিস্ফোরক ইনিংস খেলার সময় কলকাতা নাইট রাইডার্সের জয়ের নায়কের সঙ্গে পারিপার্শ্বিক জগতের সংযোগ ছিল না। বরং তিনি ডুবে ছিলেন মানব মনের অবচেতন অংশে।

আইপিএলে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইডেন গার্ডেন্সে বেঙ্গালুরুকে ৮১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায় কলকাতা। ঘরের মাঠে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২০৪ রান তোলে তারা। লক্ষ্য তাড়ায় ১৪ বল বাকি থাকতে বেঙ্গালুরু গুটিয়ে যায় মাত্র ১২৩ রানে।

ইনিংসের মাঝপথে কলকাতার বড় পুঁজি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছিল না। দ্বাদশ ওভারে ৮৯ রানে তারা হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। এরপর সাত নম্বরে নেমে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান ভারতীয় পেসার শার্দুল। বেঙ্গালুরুকে চমকে দিয়ে ২০ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ১৪১ ম্যাচের ৪৭তম ইনিংসে প্রথম হাফসেঞ্চুরির দেখা পান। ছোট মাঠ ও ব্যাটিংবান্ধব উইকেটের সুবিধা শার্দুল কাজে লাগান পরিপূর্ণভাবে। পাল্টা আক্রমণে দলকে দুইশর কাছে নিয়ে তিনি থামেন ব্যক্তিগত ৬৮ রানে। ২৯ বল মোকাবিলায় মারেন ৯ চার ও ৩ ছক্কা।

ম্যাচের পর বিধ্বংসী ইনিংসটিকে বর্ণনা করতে বলা হলে শার্দুল বলেন, 'আমি জানিও না কোথা থেকে এটা এসেছে। তবে সেই সময়ের স্কোরকার্ড দেখে সবাই ভাবছিল আমরা সংগ্রাম করছি।'

৩১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার নিজের অবচেতন মনের পাশাপাশি কৃতিত্ব দেন কলকাতার কোচিং স্টাফদের, 'অবচেতন মন অনেক সময় আপনার দখল নেয়। এই পর্যায়ের ক্রিকেটে এমনটা করার জন্য আপনার স্কিলও থাকতে হবে। আমরা নেটে কঠোর পরিশ্রম করি। নেটে থাকাকালীন একটা সময়ে আমরা স্লগ করি। কোচিং স্টাফরা থ্রোডাউন করে এবং আমাদের রেঞ্জ (পাওয়ার) হিটিংয়ের সুযোগ দেন। আর পিচ কেমন তা আপনারা জানেনই। সেগুলো সব সময় ব্যাটারদের জন্য উপযুক্ত, তাই নয় কী?'

বেঙ্গালুরুকে অল্প রানে অলআউট করতে ৯ উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন কলকাতার তিন স্পিনার। বরুণ চক্রবর্তী ১৫ রানে নেন ৪ উইকেট। অভিষিক্ত সুইয়াশ শর্মা ৩০ রানে শিকার করেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট পেতে সুনিল নারিনের খরচা ১৬ রান। বাকিটি যায় শার্দুলের ঝুলিতে।

সতীর্থ স্পিনারদের নিয়ে প্রশংসা ঝরে শার্দুলের কণ্ঠে, 'সুইয়াশ অসাধারণ মাত্রায় ভালো বল করেছে। আর সুনিল ও বরুণের দক্ষতা সম্পর্কে আমরা জানি। মাঠে তারা মজা করেছে, উইকেট নিয়েছে। এটা একটা নিখুঁত দিন ছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka cannot engage with non-state actors: foreign adviser

Md Touhid Hossain also emphasised that peace and stability in the region would remain elusive without a resolution to the Rohingya crisis

18m ago