ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছে ইভিএম, স্যানিটাইজার, ভ্যাসলিনসহ ৪৬ সামগ্রী

গাজীপুরে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে নির্বাচন সামগ্রী। ছবি: স্টার

আয়তনের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচন হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। সকাল ৮টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। এ নির্বাচনে ৮ মেয়র প্রার্থীসহ ৩৩৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচন কমিশন বলেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও সফল করতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরের পর থেকে ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে ইভিএম মেশিনসহ ৪৬ ধরনের সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে কমিশন।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এইচ এম কামরুল ইসলাম জানান, ১১ লাখ ৭৯ হাজারেরও বেশি ভোটারের জন্য ৪৮০টি কেন্দ্রের তিন হাজার ৪৯৭টি কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ব্যবহার করার জন্য ৫ হাজার ২৪৬টি ইভিএম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতি কেন্দ্রে একজন করে ৪৮০ জন ট্রাবল শুটার, প্রতি দুই কেন্দ্রে একজন করে মোট ২৪০ জন ভ্রাম্যমাণ টেকনিক্যাল এক্সপার্ট, ১৪ জন সহকারী প্রোগ্রামার এবং ৪ জন প্রোগ্রামার থাকবেন। কোনো ইভিএমে সমস্যা দেখা দিলে তারা দ্রুত সমাধান করবেন। কেন্দ্রে এবং ভোটকক্ষে একটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, গাজীপুর জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বর, শহরের কাজী আজিম উদ্দিন কলেজ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বুধবার দুপুর ১টা থেকে প্রতি কেন্দ্রের জন্য একযোগে ইভিএম মেশিন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ভ্যাসলিন, মখমলের কাপড়, টিস্যু পেপার, বুথ তৈরি করার জন্য কাপড়, অমোচনীয় কালি, ভোটার তালিকা, স্ক্রু-ড্রাইভার, মাল্টিপ্লাগসহ ৪৬ ধরনের সামগ্রী বিতরণ কাজ শুরু করা হয়। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নির্বাচন সামগ্রী বুঝে নিচ্ছেন।

মেয়র পদে লড়ছেন যারা

নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এম এম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির রাজু আহাম্মেদ, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন টেবিল ঘড়ি প্রতীকে ঘোড়া প্রতীকে হারুন-অর রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম লড়ছেন।

নির্বাচন কমিশনার আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে সবগুলো কেন্দ্রই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প এলাকায় কোথাও কোথাও অপরাধ প্রবণতা বেশি থাকে। এর মধ্যে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ৩৫১টি কেন্দ্র (দুই-তৃতীয়াংশের বেশি) আর ১২৯টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

তিনি জানান, ৫৭টি ওয়ার্ডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ৭৬ জন, সঙ্গে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবেন। র‌্যাবের টিম থাকবে ৩০টি। বিজিবির থাকবে ১৩ প্লাটুন, ২০জন বেশি থাকবে। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশের ১৯টি এবং মোবাইল টিম থাকবে ৫৭টি। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে নিরাপত্তাবাহিনীর ১৭ জন এবং সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন সদস্য থাকবেন।

Comments

The Daily Star  | English

Depositors leave troubled banks for stronger rivals

Depositors, in times of financial uncertainty, usually move their money away from troubled banks to institutions with stronger balance sheets. That is exactly what unfolded in 2024, when 11 banks collectively lost Tk 23,700 crore in deposits.

10h ago