জনগণের যে কোনো রায় মেনে নেব: আজমত উল্লা

সকাল ৯টার দিকে গাজীপুরের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের টঙ্গী দারুস সালাম মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেন আজমত উল্লা খান।
জনগণের যে কোনো রায় মেনে নেব: আজমত উল্লা
সকাল ৯টার দিকে তিনি টঙ্গী দারুস সালাম মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেন আজমত উল্লা। ছবি: পলাশ খান/স্টার

নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান বলেছেন, সব সময়ই আমি জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আজকে জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে, আমি সেই রায় অবশ্যই মেনে নেব।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে গাজীপুরের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের টঙ্গী দারুস সালাম মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেওয়া শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান।

তিনি বলেন, স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে এসেছেন। যে বড় লাইন দেখা যাচ্ছে এতেই বোঝা যাচ্ছে পুরো গাজীপুরে জনগণের অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী। আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। সব সময়ই আমি জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আজকে জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে আমি সেই রায় অবশ্যই মেনে নেব।

অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান বলেন, আপনারা লক্ষ্য করছেন, আমরা যখন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছি, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি সবসময় জনগণের সঙ্গে ছিলাম। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষামূলক কাজে, সামাজিক কাজে এবং কোনো দুর্যোগের সময়ও আমি জনগণের সঙ্গেই ছিলাম। জনগণের কাছ থেকে আমি আশানুরূপ সাড়া পেয়েছি।

তিনি বলেন, আমি যেখানে গিয়েছি সেখানেই হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয়েছে। অনেক সময় দেখা গেছে, আমাকে ৩০, ৩৫, বা ৪৩টা জনসভায় অংশগ্রহণ করতে হয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় আমি দুইটায় যাব বলেছি, কিন্তু আমি পাঁচটায় পৌঁছেছি। এরপরেও মানুষ কোনো বিরক্ত বোধ করেনি। সবাই অপেক্ষা করেছে এবং জনসভায় অংশগ্রহণ করেছে।

জনগণের এমন আগ্রহের বিষয়ে আমি বলতে পারি, জয় পরাজয় আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। ফয়সালা আসমান থেকে হয়, এটা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ইংরেজিতে একটি কথা আছে, পিপল ইজ দা ভয়েস অফ দি গড। আল্লাহ যা চান, তা জনগণের মাধ্যমে প্রকাশ করিয়ে দেন।

বাড়ির পাশের কেন্দ্রে অন্য প্রার্থীদের এজেন্ট নেই?  এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য আছে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আজমত উল্লাহ খান বলেন, আমি তো কাউকে কোনো প্রার্থীর এজেন্ট দিতে পারব না। সুতরাং এই কথাটি তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, উত্তর অবশ্যই পাবেন। ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট নিয়ে কোনো বাধা নেই।

অনেক জায়গায় এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এ বিষয়ে আপনি কী বলবেন? উত্তরে আজমত উল্লা খান বলেন, আপনি সুনির্দিষ্ট করে বলুন, কোনো কেন্দ্রে এজেন্ট বের করে দেয়া হয়েছে। অন্য প্রার্থীরা যদি এজেন্ট দিতে না পারে তাহলে আমি তো সেই দায়িত্ব নেব না।

ইভিএম মেশিনে অনেক ভোটারের ফিঙ্গারে মিলছে না, তারা ভোট দিতে পারেনি এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা রয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে আজমত উল্লাহ খান বলেন, যদি কারো ফিঙ্গার না মেলে, আর তার যদি স্মার্ট কার্ড থাকে তবে সে অবশ্যই ভোট দিতে পারবেন। এটা সবার জন্য প্রযোজ্য।

বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন ত্রুটি দেখা দিচ্ছে, এই কারণে ভোট গ্রহণের সংখ্যা কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে আজমত উল্লা খান বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করব, ভোট গ্রহণের সময় পর্যন্ত ভোটাররা ভোট দিবে। যদি সময় শেষে হয়ে যায়, তবে যদি লাইনে ভোটাররা দাঁড়িয়ে থাকেন তাহলে সবার ভোট যেন নেওয়া হয়।

Comments