প্রদীপ আলো জ্বালালেও, সেই প্রদীপের নিচেই থাকে অন্ধকার

স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

'ক্রসফায়ার' নেতৃত্ব দেওয়া একজন পুলিশ কর্মকর্তা যখন রাষ্ট্রের কাছ থেকে পুরস্কৃত হয়, তখন বুঝতে নিতে অসুবিধা হয় না যে, রাষ্ট্র ক্রসফায়ারের পক্ষে। সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠেছিল বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের দায় কি শুধু বাহিনীগুলোর নাকি সরকারের নীতির? সব সরকারই এই ইস্যুতে নানা বক্তব্য দিলেও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে কখনও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। সরকার অবশ্য কখনোই এসব অভিযোগ স্বীকার করেনি।

১৬১ টি 'ক্রসফায়ার' এর নেতৃত্বদানকারী পুলিশ কর্মকর্তা, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ অবৈধ সম্পদের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০ বছরের সাজা পাওয়ার পর, আমাদের মনে হলো লোকটা আসলে ভালো ছিল না। এই প্রদীপের নির্দেশে যদি নির্দোষ সামরিক কর্মকর্তা সিনহা নিহত না হতেন, তাহলে হয়তো বহাল তবিয়তেই থাকত প্রদীপ।

হয়তো তার ১৬১ 'ক্রসফায়ার' বেড়ে দ্বিগুণ হতো, প্রদীপ হয়তো আবারও প্রধানমন্ত্রীর পদক পেয়ে সেরা পুলিশ কর্মকর্তা হতো।

উল্লেখ্য, মাদকবিরোধী অভিযানে ২০১৮ সালের মে মাস থেকে কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের কথিত 'বন্দুকযুদ্ধ' বা 'ক্রসফায়ারে' ১৬১ জন নিহত হয়েছেন।

গত ২৭ জুলাই অবৈধ সম্পদের মামলায় দোষী সাব্যস্ত টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপের ২০ বছর এবং তার স্ত্রী চুমকির ২১ বছরের কারাদণ্ডের রায় শোনার পর চুমকি বলেছে, তার স্বামী 'প্রদীপের "ভালো কাজে" ক্ষুব্ধ মহল আমাদের সুখের সংসার ধ্বংস করে দিয়েছে'।

চুমকির মতো হয়তো অনেকেরই মনে হতে পারে যে সরকারের ভালো কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে কেউ কেউ সরকারের বিরুদ্ধে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনছেন।

বহুবছর যাবত দেশের মানুষ এই ইস্যুগুলোতে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন, কিন্তু সরকার এগুলোকে পাত্তা দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি কথা বলতে চেয়েছে কিন্তু সরকার নানাভাবে তাও পাশ কাটিয়ে গেছে।

কিন্তু গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর বাংলাদেশ এই বিষয়ে কথা বলার জন্য সম্মত হয়েছে। এরপর জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট এসে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে তার উদ্বেগ প্রকাশ করে পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছেন।

যদিও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, 'স্বাধীন তদন্ত সংস্থা গঠনের বিষয়ে আমার সঙ্গে আলাপে তিনি (মিশেল ব্যাশেলেট) পরিষ্কার করে কিছু বলেননি। তিনি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্তের কথা বলেছেন।'

উল্লেখ, সদস্য দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে যদি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উপেক্ষা করে, তখন পরিষদ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিটি সামনে নিয়ে আসে।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হিসেবে মিশেল ব্যাশেলেট মনে করেন, শরীরে কোনো ক্ষত থাকলে তা স্বীকার করে নেওয়া ভালো। তাই নাগরিক সমাজ ও মানবাধিকারকর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি স্পষ্ট করেই বলেছেন, 'আমি যদি শক্ত কথা না বলে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজতে পারি, সেটাই তো সবচেয়ে ভালো।'

অর্থাৎ উনি চাইছেন বাংলাদেশ সরকার যেন সামান্য ওষুধ ব্যবহার করেই তাদের শরীরের ক্ষতটাকে সারিয়ে তুলে। আর সেই কারণেই মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মিশেল ফিরে যাওয়ার আগে যা বলে গেছেন তা প্রণিধানযোগ্য।

দেশের বিভিন্ন সংগঠন থেকে যখন মানবাধিকার পরিস্থিতির খারাপ অবস্থা ও গুম, খুন নিয়ে কথা বলা হয়েছে, তখন সরকার ও সরকারপক্ষীয় রাজনীতিকরা বারবার বলেছেন দেশে সবকিছু ঠিক আছে। রাজনৈতিক অপপ্রচারের হাতিয়ারের অংশ হিসেবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেছেন গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো সমসাময়িক বিষয়গুলোয় অনেকের ভুল ধারণা ও অভিযোগ আছে। গণমাধ্যমে এসব নিয়ে যে অভিযোগ, তার সবটাই ঠিক, এমনটা কিন্তু নয়। ফলে সরকারের তিন থেকে চারজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী জাতিসংঘের দূতের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে সমসাময়িক বিষয়গুলোয় অনেকের ভুল ধারণা ও অভিযোগ সম্পর্কে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন।

এই ব্যাখ্যা করতে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এদেশে ২,৮০০ সংবাদমাধ্যম আছে। আইনমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন, 'আমরা কি রাতের বেলা গিয়ে খবরের কাগজকে গলা চেপে ধরেছি?' মানবাধিকারকর্মীরা হাইকমিশনার ব্যাশেলেটের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন অভিযোগ করায় ক্ষুব্ধ মন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ পুলিশি রাষ্ট্র নয় বলেই তারা বৈঠক করতে পেরেছেন।'

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুমের অভিযোগ ভিত্তিহীন বোঝানোর জন্য সেই পুরোনো কথাই বলেছেন, পাওনাদার এড়াতে, সংসারে ঝগড়া করে অথবা মামলায় ফেরারি হিসেবে পলাতকদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গুমের শিকার হিসেবে প্রচার করা হয়।

কিন্তু মন্ত্রী মহোদয়রা যা বললেন এর সঙ্গে কি বাস্তব পরিস্থিতি মেলে?

বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে মানবাধিকার কর্মীরা অবশ্য অন্য কথা বলেন। তারা মনে করেন যেহেতু সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহাকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে এবং তাতে পুলিশ সদস্য জড়িত, তাই তদন্তসহ সবক্ষেত্রে জোর তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মূল কারণের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না।

একজন মানবাধিকার কর্মী বলেছেন, ২০০২ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রায় চার হাজার মানুষ বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। সরকারগুলো বিভিন্ন বাহিনীকে দায়মুক্তি দেয় বলেই এরকম ঘটনা ঘটতে থাকে। (বিবিসি)

বর্তমানে সাড়া জাগানো বাংলা মুভি 'পরাণ' যে কাহিনীর উপর নির্মিত তাও এক বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। বাংলাদেশে বরগুনা শহরে স্ত্রীর সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার মামলার প্রধান অভিযুক্তের বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে হাইকোর্ট আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক হতে বলেছিল ২০১৯ সালে।

সেইসময় ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিবিসিকে বলেছেন, 'আদালত বলেছেন, বিচার-বহির্ভূত যে হত্যাকাণ্ডগুলো হয়, সেগুলো উনারা পছন্দ করেন না, সমর্থন করেন না।'

অথচ এরকম ঘটনা ঘটেই চলেছে। বিএনপি সরকার যখন র‌্যাব গঠন করল, তখন বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অনেক ঘটনা ঘটে। বিরোধী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এর বিরোধিতা করেছিল এবং তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকারেও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার কথা বলেছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেমে গেছে?

তবে বর্তমান সরকারের আইনমন্ত্রী অভিযোগ নাকচ করে বলেছেন, 'একটা কালচারকে আমরা বন্ধ করতে চাই। সেজন্য আমরা প্রত্যেকটা ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।'

সরকার এবং সরকারের মন্ত্রী মহোদয়রা কীভাবে এসব থামাবেন, আদৌ থামাতে পারবেন কি না? অথবা থামাতে চান কি না, এই সব প্রশ্নগুলোই সামনে চলে আসে।

আমরা অসহায় জনগণ শুধু ভাবি পরিবারের একজন বাবা, ভাই বা স্বামী বা অন্য কেউ যখন হারিয়ে যায়, নিখোঁজ হয় বা উধাও হয়ে যায় – সেই পরিবারের অনুভূতি কী হতে পারে। কতটা মর্মান্তিক হতে পারে সেই অভিজ্ঞতা। এই হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিটিই হয়তো ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, হয়তো ছিল বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান কিংবা স্ত্রীর ভালবাসার ধন। যদি তা নাও হয়, তাও হারিয়ে ফেরার যন্ত্রণা খুব ভয়াবহ।

প্রিয়জন কোথায় গেল, কেন গেল, কার সাথে গেল, বেঁচে আছে কিনা, বেঁচে থাকলে কেমন আছে এসব প্রশ্নে দিশেহারা থাকে সেই হারিয়ে যাওয়া মানুষের পরিবার। সন্তান, স্বামী, বাবা-মা বা পরিবারের অন্য কোন সদস্য হারিয়ে যাওয়া, হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া, নিখোঁজ হওয়া বা গুম হওয়ার পর সেই পরিবারের সব গল্পগুলো একই হয়।

প্রিয়জন হারানোর চাপ তাদের বইতে খুব কষ্ট হয়। মানুষটি মারা গেছে এবং পরিবার তাকে মটিতে শুইয়ে দিয়েছে বা দাহ করেছে, এটাও অনেক শান্তির। কিন্তু মানুষটি উধাও হয়ে গেছে, এই কষ্ট যেন তার মৃত্যুর খবর পাওয়ার যন্ত্রণার চেয়ে বেশি।

আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স বা 'গুম' মানুষের মৌলিক অধিকারের সবচেয়ে গুরুতর লঙ্ঘনের একটি। অন্যদিকে জাতিসংঘ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক কোনো ব্যক্তিকে যদি বিচার ব্যবস্থার কাছে হাজির করা না হয় এবং তার যদি সন্ধান না মেলে সেটিকে 'গুম' হিসেবে ধরা হয়। যদিও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশের আইনি কাঠামোতে 'গুম' বা 'এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স' বলে কোনো টার্ম নেই। তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে 'টার্ম' না থাকলেও এর ব্যবহার আছে।

কাজেই কোনো ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি, বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেনি, কারা-হেফাজতে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি, কেউ গুম হয়নি সরকারের এ ধরনের যুক্তি ধোপে টিকে না। কারণ বিভিন্ন সংস্থার হিসাব নিকাশ তো মিথ্যা হতে পারে না। কাজেই সরকারকে একটা নিরপেক্ষ, স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। যদি তা না করে, তাহলে হয়তো ভবিষ্যতে বিদেশি দূতদের আরও পরামর্শ শুনতে হতে পারে।

মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র জানিয়েছিল, ২০০৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৪ বছরে দেশে ৬০৪ জন গুমের শিকার হয়েছেন। তবে আশার কথা হলো, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত দুই জন ব্যক্তির গুম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আমার শিক্ষক আলী রিয়াজ তার এক লেখায় লিখেছেন চিলিতে সেনাশাসক অগাস্তে পিনোশের ১৭ বছরের শাসনামলে কমপক্ষে ৩ হাজার ৪২৮ জন গুমের শিকার হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে চিলির ট্রুথ কমিশন এই তালিকা প্রকাশ করেছিল। তারপর থেকে এসব গুমের সঙ্গে যুক্ত সেনাবাহিনীর অফিসার, সদস্য এবং অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের বিচার করা হচ্ছে। সেই ট্রুথ কমিশন গঠন, বিচারিক প্রক্রিয়া সবই অভ্যন্তরীণভাবেই করা হয়েছে চিলিতে। কিন্তু তাতে সহযোগিতা করেছে জাতিসংঘ। গুয়াতেমালাতেও তাই হয়েছে।

ফলে যেসব দেশে এ ধরনের ঘটনার অভিযোগ ওঠে, সেগুলোর তদন্ত হয় এবং দোষী ব্যক্তিরা বিচারের মুখোমুখি হন। দেখা গেছে চিলি, গুয়াতেমালাসহ লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো যেসব অপরাধ করেছে, তার প্রতি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন জুগিয়েছে বিদেশি শক্তি, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র।

কিন্তু গুম, নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যার কাজে প্রত্যক্ষভাবে যারা জড়িত ছিলেন, তাদেরই এখন বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। অর্থাৎ সেই দেশের লোকেরাই শাস্তি পাচ্ছে, বিদেশিরা নয়।

কাজেই এখনই সময় অপরাধকে স্বীকার করে নিয়ে শুধরানোর চেষ্টা করা। নয়তো কিছু মন্দ মানুষ ও মন্দ সিদ্ধান্তের জন্য সরকারের ভালো অর্জনগুলো ফিকে হয়ে যাবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক এই দূত ঢাকায় এসেছেন সরকারকে বিব্রত করতে নয়, তিনি এসেছেন বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মানবাধিকার লঙ্ঘনের আঁচ পেয়ে।

তিনি সরকারকে বলতে চেয়েছেন, এখুনি সামলাও, ব্যবস্থা গ্রহণ করো চিহ্নিত মন্দ লোকের বিরুদ্ধে। এদের সময়মতো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সরকার ও জনগণ উভয়কেই ভয়ংকর পরিণতি ভোগ করতে হবে। কারণ প্রদীপের নিচেই থাকে অন্ধকার।

 

শাহানা হুদা রঞ্জনা: সিনিয়র কোঅর্ডিনেটর, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নিবে না।)

Comments

The Daily Star  | English

$14b a year lost to capital flight during AL years

Bangladesh has lost around $14 billion a year on average to capital flight during the Awami League’s 15-year tenure, according to the draft report of the committee preparing a white paper on the economy.

13h ago