পেলে-রোনাল্ডোর চেয়ে ভালো হতে চান না নেইমার
বয়সটা মাত্র ২৬। এর মধ্যেই ব্রাজিলের চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতা নেইমার। ঠিকভাবে ক্যারিয়ার শেষ করতে পারলে সামনে থাকা রোনাল্ডো, রোমারিও এমনকি পেলের রেকর্ড ভাঙাও অসম্ভব কিছু নয়। তবে রেকর্ড ভাঙা তো নয়ই, এমনকি কাউকে ছাড়িয়েও যেতে চান না নেইমার। দলের জয়ে অবদান রাখতে পারলেই দারুণ খুশী পিএসজি সুপারস্টার।
তিন মাসের বেশি সময় পর রোববার ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেছিলেন নেইমার। আর নেইমার মাঠে নামার পরই ছন্নছাড়া দলটি দারুণ ফুটবল খেলে। ম্যাচও জিতে নেয়। ৬৯ মিনিটে তার গোলেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। কৌতিনহোর পাস দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করে দুইজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে দুর্দান্ত এক গোল দেন নেইমার।
এ নিয়ে মোট ৫৪টি আন্তর্জাতিক গোল হলো নেইমারের। ৮৩টি ম্যাচ খেলে এ গোলগুলো করেছেন তিনি। তার সামনে আছেন ব্রাজিলিয়ান তিন কিংবদন্তি রোনাল্ডো, রোমারিও ও পেলে। ৭০ ম্যাচে রোমারিও গোল দিয়েছেন ৫৫টি। আর ৯৮ ম্যাচে রোনাল্ডোর গোল সংখ্যা ৬২। সবার উপরে থাকা পেলে, ৯১ ম্যাচে দিয়েছেন ৭৭ গোল।
তাই ক্যারিয়ার শেষে তিন কিংবদন্তিকে ছাড়িয়ে যাবেন বলে ধারণা করছেন ফুটবল বোদ্ধারা। রোমারিও ও রোনাল্ডোকে ছাড়ানো তো সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে এ সব রেকর্ড ভাবনা মাথায় নেই নেইমারের, ‘সেরা স্কোরার হওয়ার জন্য ব্রাজিল দলে কোন প্রতিযোগিতা নেই। আমার কাছে এটা স্রেফ নম্বর মনে হয়।’
পূর্বসূরিদের নিয়ে নেইমার বলেন, ‘তারা আমার আইডল। তারা সবাই এখানে আমার আগে ছিলো। এবং নিজেদের কিংবদন্তির কাতারে নিয়ে গেছে। আমি কখনোই তাদের ছাড়িয়ে যেতে পারবো না। আমি তাদের সবাইকে শ্রদ্ধা করি। রোমারিও, জিকো, রোনাল্ডো, পেলে তারা সবাই আমার আইডল। আর এটা (গোল) শুধু নম্বর।’
তাহলে খেলোয়াড় নেইমারের লক্ষ্য কি? এমন প্রশ্নে দলকে সহায়তার কথাই বললেন নেইমার, ‘আমি খুব খুশী আমার দলকে সহায়তা করতে পেরে। আমি তাদের চেয়ে ভালো হতে চাইনা, এমনকি কখনোই হবও না। তাদের প্রত্যেকের নিজেদের আলাদা ইতিহাস আছে। এবং দলে তাদের গুরুত্ব বেশি ছিলো। আমি গোল দিতে পেরে খুব খুশী।’
Comments