তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতের লোকসভায় হট্টগোল
তিস্তা চুক্তির নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এক সাংসদের বক্তব্যের জের ধরে ভারতের লোকসভায় হট্টগোল হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে পাশ কাটিয়ে তিস্তা চুক্তি মেনে নেওয়া হবে না এবং এমনটা করা হলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে, তৃণমূলের সাংসদ এমন বক্তব্য দেওয়ার পর হট্টগোল বাধে।
সোমবার লোকসভা অধিবেশনের দাঁড়িয়ে তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা ও সাংসদ অধ্যাপক সৌগত রায় বলেন, “পাকিস্তান ও বাংলাদেশের প্রতি বিজেপি সরকারের মনোভাবের পরিবর্তন হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে তিস্তা চুক্তি সম্পাদন করতে।”
এ সময় ওই তৃণমূল সাংসদ বলেন, “দলের নেত্রী মমতা ব্যানার্জি সম্প্রতি জানিয়েছেন ২৫ মে ঢাকায় গিয়ে তিস্তা চুক্তি সম্পাদন করা হবে। রাজ্যকে না জানিয়ে এইরকম কোনও চুক্তি হলে সেটা মেনে নেবে না তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের স্বার্থ বিঘ্নিত করে এই ধরণের কোনও চুক্তি হলে মমতা সেটা মেনে নিবেন না।”
বক্তব্য শেষ হওয়ার পর লোকসভার তৃণমূল সাংসদরা দাঁড়িয়ে বক্তব্যের সমর্থনে টেবিল চাপড়াতে থাকেন। এই সময় লোকসভার স্পিকার মীরা কুমার সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা টেবিল চাপাড়াতে থাকায় সংসদে বিজেপির সাংসদরাও দাঁড়িয়ে চিৎকার শুরু করেন। এ নিয়ে লোকসভা বেশ কিছু সময় হট্টগোল চলে।
কলকাতার একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে সম্প্রতি দেওয়া সরাসরি সাক্ষাৎকারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ রক্ষা করে বাংলাদেশের সঙ্গে যা চুক্তি করার করা হবে। কিন্তু তিস্তা চুক্তি নিয়ে কেন্দ্র তাকে কিছু জানায়নি। এমনকি ২৫ মে ঢাকায় তিস্তা চুক্তি করা হবে বলেও মমতা দাবি করেন।
মমতা বলেন, “শুনেছি ২৫ মে ঢাকায় এই চুক্তি করা হচ্ছে। আমি এর কিছুই জানিনা। কেন্দ্র যদি মনে করে সব রেডি করে দিয়ে আমাকে স্ট্যাম্প মারতে হবে সেটা আমি কোনও দিনই করবো না।”
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো বলেও এসময় দাবি করেন মমতা। তার ভাষায়, “সম্পর্ক ভালো না হলে ল্যান্ড বাউন্ডারি অ্যাগ্রিমেন্ট হলো কি করে? সব চাইলে সবই কি পাওয়া যায়?”
Comments