হৃদয় ইস্যুতে ক্ষুব্ধ হয়ে ঘরোয়া আম্পায়ারিং ছাড়ার হুমকি সৈকতের 

Sharfuddoula Ibne Shahid Saikat

তাওহিদ হৃদয় সেদিন বাজে আচরণ করেছিলেন তার সঙ্গে। আইসিসি এলিট প্যানেলের একমাত্র বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকতের রিপোর্টের ভিত্তিতেই ম্যাচ রেফারি দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছিলেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হৃদয়কে। তবে বিস্ময়করভাবে এক ম্যাচ পরই খেলার সুযোগ দেওয়ায় হয় হৃদয়কে। এই ঘটনা মানতে পারছে না সৈকত। তিনি বিসিবি চুক্তি থেকে সরে দাঁড়াতে আল্টিমেটাম দিয়েছেন। 

গত ১২ এপ্রিল আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ম্যাচে মাঠের আম্পায়ার তানভীর আহমেদ ও শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার জেরে হৃদয় এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ভোগ করেন। পরবর্তীতে গণমাধ্যমের সামনে আম্পায়ারদের সমালোচনা করায় তিনি আরও তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট পান এবং দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার কথা জানা যায়। 

নিয়ম অনুযায়ী সুপার লিগের প্রথম দুই ম্যাচ খেলার কথা না হৃদয়ের। তবে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে না থাকলেও অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ম্যাচে হৃদয়কে খেলতে দেখা যায়, তিনি কীভাবে সেই ম্যাচ খেলছেন তা নিয়ে উঠে প্রশ্ন। তবে বিসিবি কোন স্পষ্ট ব্যাখ্যাই দিতে পারেনি। 

জানা গেছে সিসিডিএম টেকনিক্যাল কমিটি হৃদয়ের ওপর ধার্য করা দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কমাতে আগ্রহী ছিল না। দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপেও টেকনিক্যাল কমিটির দুই সদস্য এনামুল হক মনি ও নিয়ামুর রশিদ রাহুল বলেন তাদের অজান্তে হৃদয়ের সাজা কমানো হয়েছে। এর জেরে মনি টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।

পুরো ঘটনা যেভাবে এগিয়েছে তাতে সৈকতও হতাশ।  বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, 'হ্যাঁ, তিনি [সৈকত] একটি আল্টিমেটাম দিয়েছেন। তিনি পদত্যাগ করতে চান এবং এমনকি পদত্যাগপত্র জমা দিতেও চেয়েছিলেন।' 

Comments

The Daily Star  | English

UP chairmen’s absence: People suffer amid service disruptions

The situation worsened after the launch of "Operation Devil Hunt" in early February

10h ago