হৃদয়কে দেখে একজন বিশেষ খেলোয়াড়ই মনে হচ্ছে: হার্শা
চাপের মুখে পাল্টা আক্রমণকেই উপযুক্ত কৌশল হিসেবে বেছে নিলেন তাওহিদ হৃদয়। দুইশ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট চালিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সফল রান তাড়ায় রাখলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ম্যাচশেষে তার ব্যাটিং সামর্থ্যের প্রশংসা করলেন হার্শা ভোগলে। ভারতের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকারের সাধুবাদ পেলেন লিটন দাস আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।
শনিবার ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চকর ম্যাচে লঙ্কানদের ২ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এতে জয় দিয়ে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করেছে তারা। সার্বিক পরিস্থিতির বিচারে, এই জয় টাইগারদের জন্য ভীষণ স্বস্তিরও।
১২৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন হৃদয়। পাঁচে নেমে ২০ বল মোকাবিলায় তিনি একটি চারের সঙ্গে মারেন চারটি ছক্কা। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার করা একাদশ ওভারেই টানা তিনবার সীমানার ওপারে বল পাঠান তিনি। চতুর্থ উইকেটে লিটন দাসের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৩৮ বলে ৬৩ রানের। তার আগে ২৮ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। তিনে নামা লিটন করেন ৩৮ বলে ৩৬ রান।
হৃদয় ও লিটনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে হার্শা লিখেছেন, 'তৌহিদ হৃদয় সম্পর্কে অনেক কিছু শুনেছি এবং সেসব কোনো অতিরঞ্জিত বিষয় নয়। তাকে দেখে একজন বিশেষ খেলোয়াড়ই মনে হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের জন্য লিটন দাসের ফর্মে ফেরাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমি বিশ্বাস করি, সে সাদা বলে তাদের সেরা ব্যাটার।'
এক পর্যায়ে, সহজ জয়ের দিকে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। হাতে ৫ উইকেট নিয়ে শেষ ২৪ বলে তাদের দরকার ছিল মাত্র ১৭ রান। কিন্তু শ্রীলঙ্কার দুই পেসার নুয়ান থুশারা ও মাথিশা পাথিরানা নিয়ে আসেন রোমাঞ্চ। স্কোরবোর্ডে স্রেফ ৫ রান যোগ করতে সাজঘরে ফেরেন সাকিব আল হাসান, রিশাদ হোসেন ও তাসকিন আহমেদ।
পা পিছলে যাওয়ার শঙ্কা যখন জোরালো, তখন দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন মাহমুদউল্লাহ। এক ওভার বাকি থাকতে বাংলাদেশকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। অথচ তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছিলেন অনেক। ফর্মহীনতায় বাদ পড়েছিলেন ২০২২ সালে হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবশেষ আসরের স্কোয়াড থেকে। ভারতের মাটিতে গত বছর অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে দলে ছিলেন না নিয়মিত।
সাতে নেমে এক ছক্কায় ১৩ বলে অপরাজিত ১৬ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। কঠিন সময়ে তার ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ হার্শা আগের ঘটনাপ্রবাহের দিকে ইঙ্গিত করে লিখেছেন, 'বিশ্বাসই হচ্ছে না যে, বাংলাদেশ মাহমুদউল্লাহকে বাদ দিয়ে এগোনোর কথা ভাবছিল।'
'ডি' গ্রুপে বাংলাদেশ পরের ম্যাচ খেলবে আগামী ১০ জুন নিউইয়র্কে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। গ্রুপ পর্বে তাদের বাকি দুটি ম্যাচ হবে ১৩ ও ১৭ জুন, প্রতিপক্ষ যথাক্রমে নেদারল্যান্ডস ও নেপাল।
Comments