ব্যাটারদের নিয়ে মিরাজ, ‘কেন তাদের ওপর ভরসা করব না?’

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করতে পারেনি দুইশ রানও। ৮২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন সাদমান ইসলাম। আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ও বিদায় নিতে পারতেন দ্রুত। দুবার জীবন পেয়ে ক্রিজে টিকে আছেন তিনি। তার সঙ্গী মুমিনুল হক।

সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৭৩ রান তোলা জিম্বাবুয়ে সোমবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে এখনও এগিয়ে ২৫ রানে। বিনা উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে খেলতে নেমেছিল তারা। এদিন তাদের ১০ উইকেট বাংলাদেশ তুলে নিয়েছে ২০৬ রান খরচায়। পরে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা করেছে ৫৭ রান। সাদমান ফেরেন ৪ রানে। জয় ২৮ ও মুমিনুল ১৫ রানে খেলছেন।

এই টেস্টে জয় পেতে হলে বোলারদের লড়াইয়ের পুঁজি দিতে হবে বাংলাদেশের ব্যাটারদের। কিন্তু প্রথম ইনিংসের বিপর্যয় ও দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে নড়বড়ে অবস্থার কারণে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, সেটা কী সম্ভব হবে?

জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ আস্থা রাখছেন ব্যাটারদের ওপর। এই প্রসঙ্গে দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি টেনে আনেন গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে পাওয়া জয়ের সুখস্মৃতি, 'ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা যে টেস্ট ম্যাচ জিতেছি, দেখেছিলেন? ওই ম্যাচে আমরা (প্রথম ইনিংসে) ১৭৪ রানে (আসলে ১৬৪) অলআউট হয়ে গিয়েছিলাম। পরে ওদের ১৪৫ রানে (১৪৬ রানে) অলআউট করে লিড পেয়েছিলাম। অথচ ওদের কিন্তু (এক পর্যায়ে) ৭০ রানে ১ উইকেট ছিল।'

তিনি যোগ করেন, 'ওই ম্যাচ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে, আমাদেরকে আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে। আমরা ওই অবস্থা থেকে যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে জিততে পারি, যেহেতু এটা আমাদের ঘরের মাঠ, আমরা এখানে আরও ভালো করতে পারি। আমাদের ওই বিশ্বাসটা ব্যাটারদের ওপর আছে। আমাদের দলে যে ব্যাটাররা আছে, তারা অনেক ম্যাচ খেলা খেলোয়াড়, অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। কেন তাদের ওপর ভরসা করব না?'

দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো সংগ্রহ গড়ে বোলারদের পর্যাপ্ত রসদ দেওয়ার আশায় আছেন মিরাজ, 'প্রথম ইনিংসে আমরা ভালো করতে পারিনি। তবে এই ইনিংসে যেন এমন একটা স্কোর করতে পারি যাতে বোলাররা যথেষ্ট রান পায় এবং নির্ভার থেকে ভালোভাবে বোলিং করতে পারে।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

13h ago