আইসিসির এপ্রিল মাসের সেরা খেলোয়াড় মিরাজ

জিম্বাবুয়ে সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। তাকে এপ্রিল মাসের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষণা করেছে আইসিসি। এছাড়া নারী ক্রিকেটে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক ক্যাথরিন ব্রাইস।

এই প্রথমবারের মতো আইসিসির মাসসেরা খেলোয়াড়ের সম্মাননা অর্জন করলেন মিরাজ। বাংলাদেশের হয়ে তিনি মাত্র তৃতীয় ক্রিকেটার যিনি এই পুরস্কার জিতলেন। তার আগে সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম এই পুরস্কার জিতেছিলেন।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ব্যাট ও বল হাতে চমৎকার পারফরম্যান্স করেন মিরাজ। সিরিজে মোট ১৫ উইকেট নেন, যার মধ্যে ছিল তিনটি ফাইফার। পাশাপাশি দ্বিতীয় টেস্টে চট্টগ্রামে করেন তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি (১০৪ রান)। বাংলাদেশ সেই ম্যাচটি জেতে ইনিংস ও ১০৬ রানে, ফলে সিরিজ শেষ হয় ১-১ সমতায়।

এই পারফরম্যান্সের কারণে সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন মিরাজ এবং সেই সঙ্গে আইসিসি টেস্ট অলরাউন্ডার র‍্যাঙ্কিংয়ে উঠে এসেছেন দুই নম্বরে, যা তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ।

এপ্রিল মাস সেরা হওয়ায় নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে মিরাজ বলেন, 'আইসিসির মাস সেরা পুরুষ খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাওয়া আমার জন্য এক অসাধারণ সম্মানজনক। এই পুরস্কার আমাকে আমার পথচলার কথা মনে করিয়ে দেয়—২০১৬ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার স্মৃতি এখনো আমার জন্য বিশাল প্রেরণা। এই পুরস্কার সেই আনন্দই ফিরিয়ে দিল।'

'আমি এই পুরস্কার আমার সতীর্থ, কোচ ও দেশের মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। এটি আমাকে আরও পরিশ্রম করতে এবং দেশের জয়ে অবদান রাখতে অনুপ্রাণিত করবে,' যোগ করেন এই অলরাউন্ডার। 

অন্যদিকে স্কটল্যান্ডের ক্যাপ্টেন ক্যাথরিন ব্রাইস, বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ৫ ম্যাচে করেন ২৯৩ রান, গড় ৭৩.২৫। এর মধ্যে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১৩১ রান, পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯১ ও থাইল্যান্ডের বিপক্ষে করেন ৬০ রান। শুধু ব্যাটেই নয়, বল হাতেও ছয়টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। তাতেই এপ্রিলের সেরা খেলোয়াড় হন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

JnU protests called off

Students and teachers of Jagannath University called off their protest last night after receiving assurances from the government that their demands would be met.

4h ago