নোয়াখালীতে দুর্বৃত্তের হামলায় আহত যুবলীগ নেতার মৃত্যু

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় দুর্বৃত্তের হামলায় আহত হওয়ার পরদিন আব্দুল কাদের মিলন নামে (৩৫) এক যুবলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।
মিলনের স্বজনদের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত।
উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিলনের মৃত্যু হয়।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার চরপাবর্তী ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজ আব্দুর রহীম এতিমখানার সামনে হামলায় মিলন গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
মিলনের বাড়ি ওই উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে। তার বাবার নাম মো. ইসমাইল। মিলন চরহাজারী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে মিলনের ওপর যখন হামলা হয়, তখন তার ছোট ভাই রাকিব হোসেন সঙ্গেই ছিলেন। তারা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।
জানতে চাইলে রাকিব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কোম্পানীগঞ্জের চরপার্বতী ইউনিয়নের চুনাকীর টেক এলাকা থেকে একদল যুবক মোটরসাইকেলে তাদের অটোরিকশা অনুসরণ করতে শুরু করে। রাত ১১টার দিকে হাফেজ আব্দুর রহীম এতিমখানার সামনে পৌঁছালে তারা অটোরিকশার গতিরোধ করে।'
'আমার ভাইকে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে লোহার পাইপ দিয়ে মারধর করে তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য (শনিবার) সকালে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল। যাত্রাবাড়ী এলাকায় পৌঁছানোর পরই ভাই মারা যান,' বলেন রাকিব।
এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা মামলা করবেন।'
Comments