ইসরায়েল-আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠকে ফিলিস্তিন নিয়ে আলোচনা

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী গিদিওন সার ও আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী গিদিওন সার ও আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। ছবি: সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল সফর করছেন, যা খুবই বিরল একটি ঘটনা। এই সফরে তিনি ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।

আমিরাতের সরকারি বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে এএফপি এই খবর জানায়।

আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার 'গাজা উপত্যকায় ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট' ও যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

বৈঠকে গাজা সংঘাতে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মার্কিন মধ্যস্থতায় আব্রাহাম চুক্তির অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েল ২০২০ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

কিন্তু ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ সীমিত হয়ে পড়ে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে, 'শেখ আবদুল্লাহ যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি নিয়ে কাজ করার অগ্রাধিকারের ওপর জোর দিয়েছেন।'

বৈঠকে তিনি দুই রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেন। এ বিষয়টি নিয়ে আবারও আলোচনা শুরুর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন আমিরাতের নেতা।

ইসরায়েল এই আলোচনা শেষে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো বিবরণ দেয়নি।

তবে গিদিওন সার সামাজিক মাধ্যম এক্সে বলেছেন, এটা শেখ আবদুল্লাহর সঙ্গে তার দ্বিতীয় বৈঠক।

সার বলেন, 'আমরা আঞ্চলিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিয়েছি। মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে এ বিষয়ে সহযোগিতা ও স্থিতিশীলতা উন্নত ভবিষ্যত অর্জনের জন্য অংশীদার রয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Apparel Buyers Delay Price Increases Post-Wage Hike Promise

Garment exports to US grow 17%

Bangladesh shipped apparels worth $5.74 billion in the July-March period to the USA

6h ago