অবৈধ ২৯৭ কোটি টাকার মামলায় জি কে শামীমকে সাড়ে ৫ বছর কারাদণ্ড

জি কে শামীম। ফাইল ছবি

অবৈধভাবে ২৯৭ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের মামলায় বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

এই মামলায় খালাস পেয়েছেন জি কে শামীমের মা আয়েশা আক্তার। এক সময়ের সরকারি তালিকাভুক্ত ঠিকাদার জি কে শামীম বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

জি কে শামীমকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাস সাজা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে বিচারক বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে জি কে শামীমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং এই অপরাধের জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া হলো।

বিচারক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবৈধভাবে অর্জিত ২৯৭ কোটি টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে, রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন এবং আদালত মামলার বাদীসহ ৪১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য রেকর্ড করেন।

একই আদালত ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর জি কে শামীমের উপস্থিতিতে এবং তার মায়ের অনুপস্থিতিতে তাদের দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। তবে পরে আদালতে আত্মসমর্পণের পর তার মা জামিন পান।

২০২১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

দুদক ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর জি কে শামীম ও তার মায়ের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। তবে তদন্ত সংস্থা অভিযোগপত্রে ৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পায়।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর র‍্যাব ঢাকার নিকেতনে শামীমের বাড়ি ও অফিসে অভিযান চালিয়ে তাকে ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ি ও অফিসে অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল সংখ্যক গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর রশিদ, প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ টাকা নগদ টাকা, ডলার এবং বিদেশি মদ জব্দ করে।

২০২৩ সালের ১৭ জুলাই, অর্থপাচারের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় ঢাকার আরেকটি আদালত জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে তাকে এই সাজা দেওয়া হয়।

২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English
tax collection target for IMF loan

Talks with IMF: Consensus likely on exchange rate, revenue issues

The fourth tranche of the instalment was deferred due to disagreements and now talks are going on to release two tranches at once.

11h ago