আইপিএল

বাটলারকে ছেড়ে দেওয়া ছিলো সবচেয়ে কঠিন: স্যামসন

sanju samson and jos buttler

২০১৮ থেকে ২০২৪, রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দুরন্ত সাত বছর কাটিয়েছেন ইংলিশ ব্যাটার জস বাটলার। এই সময়ে দলের হয়ে সর্বোচ্চ রানও তার। সেই বাটলারকে নিলামের আগেই ছেড়ে দেয় রাজস্থান। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন বলছেন, এই সিদ্ধান্ত ছিলো তার জন্য সবচেয়ে কঠিন।

২০১৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বাটলার রাজস্থানের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন, ৮৩টি ম্যাচে ৪১.৮৪ গড়ে এবং ১৪৭.৭৯ স্ট্রাইক রেটে ৩০৫৫ রান করেছেন। ২০২৫ মৌসুমের নিলামের আগে, রাজস্থান ছয়জন খেলোয়াড়কে ধরে রাখে, কিন্তু বাটলার তাদের মধ্যে ছিলেন না। মেগা নিলামে গুজরাট টাইটান্স কিনে নেয় বাটলারকে।

এই ব্যাপারে জিওস্টারে স্যামসন বলেন, 'আইপিএল আপনাকে একটি দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার এবং সর্বোচ্চ স্তরে খেলার সুযোগ দেয়, এবং এটি আপনাকে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব তৈরি করতেও সাহায্য করে। জস বাটলার আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধুদের একজন। আমরা সাত বছর ধরে একসঙ্গে খেলেছি। এই সময়ে, আমাদের ব্যাটিং জুটি এত দীর্ঘ ছিল যে আমরা একে অপরকে খুব ভালোভাবে জানতে পেরেছি। তিনি আমার কাছে বড় ভাইয়ের মতো ছিলেন। যখনই আমার কোনো দ্বিধা হতো, আমি তার সঙ্গে কথা বলতাম। যখন আমি [২০২১ সালে] অধিনায়ক হয়েছিলাম, তখন তিনি আমার সহ-অধিনায়ক ছিলেন এবং আমাকে একজন ভালো অধিনায়ক হতে সাহায্য করেছিলেন।'

'তাকে ছেড়ে দেওয়া আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে একটি। ইংল্যান্ড সিরিজে, রাতের খাবারের সময় আমি তাকে বলেছিলাম যে আমি এখনও এটি কাটিয়ে উঠতে (বাটলারকে হারানো) পারিনি। যদি আমি আইপিএলে একটি জিনিস পরিবর্তন করতে পারতাম, তবে আমি প্রতি তিন বছরে খেলোয়াড়দের ছেড়ে দেওয়ার নিয়মটি পরিবর্তন করতাম। তিনি পরিবারের অংশ ছিলেন।'

বাটলার না থাকলেও, সঞ্জু স্যামসন রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে আবার কাজ করার জন্য উন্মুখ, যিনি কোচ হিসেবে রাজস্থানে ফিরে এসেছেন। ২০১৩ সালে দ্রাবিড় যখন রাজস্থানের অধিনায়ক, তখন স্যামসনের আইপিএলে অভিষেক। পরবর্তী দুটি মৌসুমে দলের মেন্টর হিসেবেও দ্রাবিড়কে পেয়েছিলেন স্যামসন। এবার পুরনো সম্পর্ক আবারও নতুন করে দেখা দিচ্ছে।

স্যামসন বলেন তার উঠে আসার পেছনেও ছিলেন দ্রাবিড়,  'রাহুল (দ্রাবিড়) স্যারই আমাকে ট্রায়াল থেকে খুঁজে বের করেছিলেন। তিনি আমার কাছে এসে বলেছিলেন, 'তুমি কি আমার দলের জন্য খেলতে পারবে?' সেখান থেকে এখন, আমি ফ্র্যাঞ্চাইজির অধিনায়ক এবং তিনি ফিরে এসেছেন - আমি খুব কৃতজ্ঞ, আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজিতে সবাই রাহুল স্যারকে ফিরে পেয়েছি। আমি তার অধীনে [আরআর-এ] একজন খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছি যখন তিনি অধিনায়ক ছিলেন এবং আমি ভারতীয় দলে তার অধীনে খেলেছি যখন তিনি কোচ ছিলেন। একজন অধিনায়ক-কোচের সম্পর্ক খুবই বিশেষ এবং আমি তার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার জন্য উন্মুখ।'

'তিনি একজন শীর্ষস্থানীয় পেশাদার ব্যক্তি। তিনি নিশ্চিত করেন যে সবকিছু ঠিকভাবে করা হয়েছে। গত মাসে নাগপুরে রাজস্থানের স্পোর্টস একাডেমিতে আমি তার সঙ্গে ছিলাম। সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা পাঁচটা পর্যন্ত তিনি রোদে দাঁড়িয়ে ব্যাটসম্যানদের ব্যাট করা এবং বোলারদের বোলিং দেখা, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা, কোচদের সঙ্গে আলোচনা করা ,তিনি প্রতিটি বিষয়ে সম্পূর্ণরূপে জড়িত। আমি মনে করি প্রস্তুতি তার চরিত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে এবং আমি মনে করি এটি এমন কিছু যা আমাকে আরও কিছুটা শিখতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Foreign debt repayment surges 25%

Bangladesh’s repayment of foreign loans surged in the first 10 months while the inflow of loans from bilateral and multilateral lenders continued to fall, according to provisional data from the Economic Relations Division (ERD) released yesterday.

1h ago