কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগসহ ৫ দাবি, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা এবং উপাচার্য, উপউপাচার্য ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার রাতে সংবাদ সম্মেলন থেকে শিক্ষার্থীরা এই দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:
কোনো শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী কুয়েটের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা অবস্থায় ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাইরে, কোনো প্রকার রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকতে পারবে না—উল্লেখ করে অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। পাশাপাশি অধ্যাদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে যে, এর ব্যত্যয় ঘটলে শাস্তি হিসেবে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার এবং শিক্ষার্থীদের থেকে ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে।
মঙ্গলবার কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলার ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থী এবং তাদেরকে প্রশ্রয়দাতা শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কুয়েট প্রশাসন থেকে হত্যার চেষ্টা ও নাশকতার মামলা করতে হবে এবং জড়িত সবাইকে বহিষ্কার এবং ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে। জড়িতদের তালিকা শিক্ষার্থীরা দেবে।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুয়েট শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় ক্যাম্পাসের বাইরে পর্যাপ্ত সংখ্যক সামরিক বাহিনীর সদস্যের সহায়তায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
আহত সবার চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যয়ভার কুয়েট প্রশাসন থেকে বহন করতে হবে। আহতদের তালিকা শিক্ষার্থীরা দেবে।
সব দাবি পূরণ করে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার সঙ্গে সঙ্গে উপাচার্য, উপউপাচার্য ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালককে (ছাত্র কল্যাণ) পদত্যাগ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বুধবার দুপুর ১টার মধ্যে দাবি পূরণ করতে হবে।
দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত সব ধরনের ক্লাস, পরীক্ষা এবং একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কোনো ক্রমেই হল খালি করা যাবে না বলেও জানান তারা।
Comments