শাহবাগে আজও আন্দোলনে নিয়োগ বাতিল হওয়া চাকরিপ্রার্থীরা

শাহবাগে আজ তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলন করছেন শিক্ষক নিয়োগে বাদ পড়া প্রার্থীরা। ছবি: পলাশ খান/স্টার

হাইকোর্টের রায়ে নিয়োগ বাতিল হওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নির্বাচিত প্রার্থীরা আজও শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন।

জাতীয় জাদুঘরের সামনে আজ টানা তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান নিয়েছেন তারা। এ নিয়ে সপ্তম দিনে গড়াল তাদের আন্দোলন। এর আগে চার দিন একই দাবিতে তারা প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচি পালন করেছেন।

ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী জানান, প্রায় ১৫০ জন আন্দোলনকারী জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অস্থান নিয়ে তাদের নিয়োগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। গতকাল থেকেই তারা এখানে অবস্থান নিয়ে আছেন।

এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়ে আপিল বিভাগের কোটাসংক্রান্ত সর্বশেষ রায় অনুসরণ করে নতুন ফলাফল প্রকাশ করতে নির্দেশ দেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে কোটা অনুসরণের অভিযোগে উত্তীর্ণদের ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিত ৩০ প্রার্থী হাইকোর্টে রিটটি করেন। সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ১৯ নভেম্বর বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।

সেই রুলের শুনানি শেষে ৬ ফেব্রুয়ারি আদালত নিয়োগ বাতিলের রায় দেন। এর পর থেকে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করছেন সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীরা।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত বছরের ২৩ জুলাই কোটাপদ্ধতি সংশোধনের পর প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবরের জারি করা পরিপত্রসহ আগের এ-সংক্রান্ত সব পরিপত্র বা প্রজ্ঞাপন বা আদেশ রহিত করা হলো। ফলে আগের কোনো আদেশ বহাল থাকছে না।

অন্যদিকে, রিটকারীদের আইনজীবী বলেন, এই ৬ হাজার ৫৩১ প্রার্থীকে নির্বাচন করে নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের সেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করা হয়, যেখানে নারী কোটা ৬০ শতাংশ, পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ অন্য কোটা ছিল।

Comments

The Daily Star  | English

US cuts tariffs on Bangladesh to 20% after talks

The deal for Dhaka was secured just hours before a midnight deadline set by President Donald Trump

2h ago