তিলকের কাছ থেকে সবার শেখা উচিত: গম্ভীর
তিলক বর্মার পরিচিত হয়ে গিয়েছিল খুনে ব্যাটার হিসেবে। তেড়েফুঁড়ে ব্যাট করা, বোলারদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার মানসিকতায় দক্ষিণ আফ্রিকার সফরে টানা দুই সেঞ্চুরিতে নজর কেড়েছিলেন তিনি। সেই তিলককে এবার মিলল ভিন্ন চেহারায়। এবারও রান পেলেন, অপরাজিত ইনিংসে দল জেতালেন। তবে গৌতম গম্ভীরের সবচেয়ে ভালো লেগেছে তার পরিণত মানসিকতায় পরিস্থিতি বুঝে খেলার ধরণে।
শনিবার রাতে চেন্নাইতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫৫ বলে ৭২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন তিলক। তাতে ১৬৫ রান তাড়ায় ২ উইকেটের জয় পায় ভারত। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যায় ২-০ ব্যবধানে।
সর্বশেষ ম্যাচগুলোর পরিসংখ্যান জানান দিবে তিলক কতটা বিস্ফোরক। দক্ষিণ আফ্রিকায় দুটি অপরাজিত সেঞ্চুরির পর এবার ৭২। সবশেষ ৪ ইনিংসে তিনি একবারও আউট হননি, ১৭৪ বলে করেছেন ৩১৮। স্ট্রাইকরেট ১৮২.৭৫। চার মেরেছেন ২৪টি, ছক্কা ২২টি।
ছক্কা-মাস্টার বনে যাওয়া তিলক শনিবারও ৫ ছক্কা মেরেছেন। তবে তাড়াহুড়ো করেননি, নিজে একা টেনে দলকে জিতিয়েছেন সময় নিয়ে। ম্যাচ শেষে ভারতের কোচ গম্ভীর তাই হাইরেট করলেন তিলকের ইনিংস, 'তিলক যেভাবে ব্যাট করছে, তাতে আমি খুবই খুশি। ওর কাছ থেকে সবারই কিছু শেখার আছে। ওর মতন একজন তরুণ যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে খেলেছে তা দেখাটা দারুণ।'
ম্যাচ সেরা হয়ে তিলক জানালেন, দলের চাহিদা মেনে খেলার বার্তা গম্ভীরের কাছ থেকেই পেয়েছিলন তিনি, 'উইকেটে দুই রকম গতি ছিলো। একের পর এক উইকেট পড়ছিল। গতকাল গৌতম স্যার বলছিলেন, "যাই হোক পরিস্থিতি বুঝে খেলবে। খোলা মন নিয়ে ব্যাট করা দরকার। যদি ওভার প্রতি ১০ করে লাগে তাহলে মারতে হবে, যদি সাত-আট লাগে ওভারে একটা বাউন্ডারি হলেই এক-দুই নিয়ে খেলা যাবে।" আমি সেই চেষ্টাই করেছি।'
ভারতের তারকায় ভরা দলে ২০২৩ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের পর ২২ ম্যাচ খেলে ৫৮.৯১ গড়ে ৭০৭ রান করেছেন তিলক। ১৫৬.০৭ স্ট্রাইকরেটে খেলা বাঁহাতি ব্যাটার ২২ ম্যাচেই মেরেছেন ৪১ ছক্কা। প্রায় প্রতি ম্যাচেই দুই ছক্কা করে মারার হার বলে দেন কতটা আগ্রাসী তিনি, আবার এবার দেখালেন দলের প্রয়োজনে হতে পারেন স্থিতধীও।
Comments