বিপিএলে ছক্কায় বাংলাদেশের রেকর্ড এখন তানজিদের, সামনে শুধু গেইল
তাওহিদ হৃদয়ের চেয়ে দুটি ছক্কা পেছনে থেকে খেলতে নেমেছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। ম্যাচের শেষে ঢাকা ক্যাপিটালসের বাঁহাতি ওপেনার এগিয়ে গেলেন পাঁচটি ছক্কায়। বিপিএলের এক আসরে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড এখন তার।
বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ঢাকার ৮ উইকেটের জয়ে ৯০ রানের অপরাজিত ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন তানজিদ। ৫৪ বল মোকাবিলায় তিনটি চারের পাশাপাশি সাতটি ছক্কা হাঁকান তিনি। এতে দেশি ক্রিকেটারদের সবাইকে ছাপিয়ে চূড়ায় উঠে যান ২৪ বছর বয়সী তরুণ। চলতি আসরে ১০ ম্যাচে তার ছক্কা ২৯টি।
বিপিএলের এক আসরে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ছক্কার কীর্তি এতদিন ছিল হৃদয়ের। গত ২০২৪ সালের মৌসুমে ফরচুন বরিশালের পক্ষে ১৪ ম্যাচে ২৪টি ছক্কা মেরেছিলেন ডানহাতি ব্যাটার। তার আগে রেকর্ডটি ছিল তামিম ইকবালের দখলে। ২০১৯ সালের আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে ১৪ ম্যাচে ২৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন অভিজ্ঞ তারকা।
ঢাকার ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সৈয়দ খালেদ আহমেদকে ছক্কা মারার পরের ওভারে শরিফুল ইসলামের বল টানা দুবার সীমানার বাইরে পাঠান তানজিদ। প্রথমটি লং-অন দিয়ে উড়িয়ে বসেন হৃদয়ের পাশে। পছন্দের পুল শটে পরের ছক্কাটি হাঁকিয়ে এককভাবে শীর্ষে পৌঁছান তিনি। তারপর আরও চারটি ছক্কা মেরে নিজের রেকর্ডকে আরও সমৃদ্ধ করেন।
দেশি-বিদেশি মিলিয়ে বিপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ সংখ্যক ছক্কা হাঁকানো ব্যাটারদের তালিকায় তানজিদের অবস্থান দুইয়ে। তার ওপরে কেবল ক্রিস গেইল। ইউনিভার্স বস হিসেবে খ্যাত ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি অবশ্য ধরাছোঁয়ার বাইরেই বলা চলে। তিনি ২০১৭ সালের আসরে রংপুর রাইডার্সের জার্সিতে ১১ ম্যাচে ৪৭টি ছক্কা মেরেছিলেন।
গেইল ও তানজিদের পর যৌথভাবে তিনেও রয়েছেন দুজন ক্যারিবিয়ান খেলোয়াড়। ২০১৯ সালের মৌসুমে সিলেট সিক্সার্সের হয়ে ১১ ম্যাচে ২৮টি ছক্কা এসেছিল নিকোলাস পুরানের ব্যাট থেকে। একই আসরে ঢাকা ডায়নামাইটসের পক্ষে ১৫ ম্যাচে আন্দ্রে রাসেল মেরেছিলেন ২৮টি ছক্কা।
Comments