১০ মাস পর প্রথম শ্রেণিতে ফিরে তানজিদের সেঞ্চুরি
তানজিদ হাসান তামিমের সবশেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচটি ছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ওই ম্যাচে উত্তরাঞ্চলের হয়ে একমাত্র ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। ১০ মাস পর ফের প্রথম শ্রেণির ম্যাচে নেমে একেবারে ভিন্ন অভিজ্ঞতা হলো তার। জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) রাজশাহীর হয়ে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকালেন বাঁহাতি ওপেনার।
এনসিএলের ২৬তম আসরের উদ্বোধনী দিন শেষে খুলনার বিপক্ষে বড় সংগ্রহের পথে রয়েছে রাজশাহী। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তারা তুলেছে ৪ উইকেটে ৩৮৫ রান। তানজিদ খেলেন ১৪১ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস। ১৩৩ বল মোকাবিলায় তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ চার ও ৪ ছক্কা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তার চতুর্থ শতক। সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছেন ফরহাদ হোসেন। ১৮৮ বলে ১১ চারে ৯১ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। তার সঙ্গে শাখির হোসেন খেলছেন ১১৮ বলে ৭ চারে ৬১ রানে।
অথচ এনসিএলের নতুন মৌসুমের প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরতে পারতেন তানজিদ। স্লিপে তার সহজ ক্যাচ ফেলে দেন মেহেদী হাসান। জীবন পেয়ে আর পেছনে ফিরে তাকাননি তিনি। মাত্র ১০১ বলে স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি। এরপর আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠা তানজিদকে শেষমেশ থামান আবদুল হালিম। ৭২ রানে ২ উইকেট পড়ার পর প্রিতম কুমারের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১০৫ ও ফরহাদের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৭৪ রান যোগ করেন তিনি।
দিনের বাকি অংশে আর কোনো উল্লাসের মুহূর্ত আনতে পারেনি খুলনা। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ফরহাদ ও শাখির ১৩৪ রান যোগ করেছেন। শেখ মেহেদী ২ উইকেট নিয়েছেন ১০৭ রানের বিনিময়ে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে সব মিলিয়ে খেলা হয়েছে ৪৪ ওভার। ভেজা আউটফিল্ডের কারণে খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর। আবার আলোক স্বল্পতায় নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করতে হয় খেলা। বরিশালের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেটে ১০২ রান তুলেছে ঢাকা মেট্রো। ইমরানুজ্জামান ৩৫ ও আইচ মোল্লা ২৬ রানে ক্রিজে আছেন। রুয়েল মিয়ার শিকার হয়ে আনিসুল ইসলাম আউট হন ৩৬ রানে।
এনসিলের প্রথম রাউন্ডের বাকি দুই ম্যাচে টসই করা যায়নি বৃষ্টি ও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রংপুর ও চট্টগ্রাম এবং খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সিলেট ও ঢাকার প্রথম দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
Comments