হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে কাতারে মোসাদ-শিনবেট প্রধান

নেতানিয়াহুর সঙ্গে মোসাদ প্রধান। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রশাসন ও জিম্মিদের পরিবারের চাপের মুখে এবার 'গুরুত্বের সঙ্গে' যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় চুক্তির বৈঠকে বসেছে ইসরায়েল।

সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে হামাসের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে আজ রোববার কাতারের দোহায় পৌঁছেছেন ইসরায়েলের দুই গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও শিনবেটের পরিচালকসহ ইসরায়েলের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা।

সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী বাইডেন প্রশাসন তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরুর ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কয়েকবার হুমকি দিয়েছেন, ২০ জানুয়ারি তার শপথ গ্রহণের আগে জিম্মি হস্তান্তর চুক্তি না হলে গুরুতর সমস্যা হবে।

জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে গড়ে তোলা ইসরায়েলি সংগঠন 'হোস্টেজস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম'ও অবিলম্বে জিম্মি বিনিময় চুক্তির দাবি জানিয়ে যাচ্ছে।

এসব চাপের মুখে শনিবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, হামাসের সঙ্গে জিম্মি বিনিময় ও যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করতে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে।

মোসাদের পরিচালক ডেভিড বার্নিয়া, শিনবেটের পরিচালক রন বার, প্রতিরক্ষা বাহিনীতে (আইডিএফ) জিম্মি উদ্ধারের দায়িত্বে থাকা মেজর জেনারেল (অব.) নিৎজান অ্যালন এবং নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ওফির ফাল্ককে নিয়ে গড়া এই প্রতিনিধি দল আজ কাতারে পৌঁছেছে।

চুক্তির ব্যাপারে একটি ইসরায়েলি সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, মিশর-গাজা সীমান্তে থাকা ফিলাডেলফি করিডর, গাজায় আইডিএফের উপস্থিতির মতো বেশকিছু বিষয়ে এখনো দুইপক্ষের মতবিরোধ রয়েছে।

গাজায় অবস্থিত হামাস নেতাকর্মী এবং দলটির প্রবাসী নেতাদের মাঝেও কিছু বিষয়ে মতবিরোধ রয়েছে বলে জানায় সিএনএন।

দীর্ঘদিন ধরেই বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও উপত্যকা থেকে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার দাবি করে আসছে হামাস।

গত সোমবার হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, চুক্তির অংশ হিসেবে ৩৪ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত তারা।

গত বছরের শুরু থেকেই হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলে আসছে। জাতিসংঘে উত্থাপিত প্রায় প্রতিটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবেই ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ ছাড়া, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় প্রায় প্রতিটি প্রস্তাবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজার অবরুদ্ধ অঞ্চলগুলোতে ফিলিস্তিনিদের ফিরে আসার প্রস্তাব নাকচ করেছেন নেতানিয়াহু।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

7h ago