গাজার সর্বশেষ হাসপাতালগুলোতেও চলছে ইসরায়েলের হামলা
উত্তর গাজার সর্বশেষ বড় হাসপাতাল কামাল আদওয়ানে হামলা চালানোর পর সেটি জোরপূর্বক দখল করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। পাশাপাশি এর পরিচালক, চিকিৎসাকর্মী, রোগীসহ ২৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার মধ্য গাজার আল-ওয়াফা হাসপাতালে হামলা চালিয়ে অন্তত সাত জনকে হত্যা করেছে আইডিএফ।
রোববার সকালে আল-ওয়াফা হাসপাতালের উপরের তলায় বোমা হামলা চালায় আইডিএফ। এ ঘটনায় নিহত সাত জনই হাসপাতালে ভর্তি রোগী বলে নিশ্চিত করেছে আল জাজিরা।
সাধারণত প্রবীণ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয় এই হাসপাতালে।
এর আগে শুক্রবার কামাল আদওয়ান হাসপাতাল অঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে বলে জানায় বিবিসি। হামলার পর সেখানে অভিযান চালিয়ে সব চিকিৎসক, কর্মী ও রোগীকে হাসপাতাল ত্যাগের নির্দেশ দেয় আইডিএফ। তখন গ্রেপ্তার করা হয় হাসপাতালের পরিচালক ও গাজার সবচেয়ে প্রখ্যাত চিকিৎসকদের একজন ডা. হুসাম আবু সাফিয়াকে।
শনিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক বিবৃতিতে জানায়, তারা এই অভিযানে 'হতবাক'। এই অভিযানের পর উত্তর গাজার সর্বশেষ হাসপাতালটিও অকেজো হয়ে পড়েছে বলে জানায় তারা।
আল জাজিরা জানায়, এর আগেও বহুবার এই হাসপাতাল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে আইডিএফ। অক্টোবরেও আইডিএফের এমন নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করেন আবু সাফিয়া। তখন হাসপাতাল গেটের সামনে তার ছেলে ইব্রাহিমকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। নভেম্বরে আইডিএফের শ্রাপনেল হামলায় আহত হন সাফিয়া। তবুও হাসপাতালে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রেখেছিলেন।
আল-আকসা শহীদ হাসপাতাল হাইপোথারমিয়া ও প্রচণ্ড ঠান্ডায় পঞ্চম শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
দক্ষিণ গাজার আল তাহরীর হাসপাতালের চিকিৎসক আহমেদ আলফাররা আল জাজিরাকে জানান, প্রতিদিন হাইপোথারমিয়ায় ভোগা পাঁচ থেকে ছয় জন্য শিশু হাসপাতালে আসে।
ইসরায়েলি গণহত্যা ও অব্যাহত হামলায় গাজার সব অবকাঠামো ভেঙে পড়ায় এবং সিংহভাগ হাসপাতাল ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় এই শীতে শিশুদের সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে বলে জানান আলফাররা।
Comments