বিপিএল

সাব্বিরের তাণ্ডবের পরও চিটাগংয়ের কাছে ঢাকার হার

একাদশ ওভারে সাব্বির রহমান যখন ক্রিজে গেলেন, তখন ঢাকা ক্যাপিটালসের রান ৩ উইকেটে ৬৬। গুটি গুটি পায়ে এগোতে থাকা দলটির রানের চাকায় সজোরে দম দিলেন তিনি। ২২ বলে ফিফটি পূরণ করে শেষমেশ ৩৩ বলে তিনটি চার ও নয়টি ছক্কায় অপরাজিত থাকলেন ৮২ রানে। তার তাণ্ডবে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেলেও স্বস্তির খোঁজ অধরাই রইল ঢাকার। ব্যর্থতার আবরণে বন্দি দলটি পেল টানা পঞ্চম হারের তেতো স্বাদ।

বৃহস্পতিবার বিপিএলের ম্যাচে ঢাকাকে অনায়াসে ৭ উইকেটে হারিয়েছে চিটাগং কিংস। ১৭৮ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে গেছে ৩ বল হাতে রেখে। ব্যাটারদের সম্মিলিত অবদানে জয়ের হাসি মিলেছে তাদের।

চিটাগংয়ের হয়ে পাকিস্তানের উসমান খান ৩৩ বলে সাতটি চার ও তিনটি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন। তার পাশাপাশি শেষদিকে ঝড় তোলেন শামিম হোসেন পাটোয়ারি। তিনি চারটি চার ও একটি ছক্কায় ১৪ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় অপরাজিত ৩৩ রান। ব্যাটাররা ছড়ি ঘোরালেও ম্যাচসেরার পুরস্কার গেছে খালেদ আহমেদের ঝুলিতে। চিটাগংয়ের ডানহাতি পেসার ৪ ওভারে ২১ রান খরচায় পান ৩ উইকেট।

এবারের আসরে পাঁচ ম্যাচের সবকটিতে হারা ঢাকা রয়েছে পয়েন্ট তালিকার ছয় নম্বরে। তিন ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পাওয়া চিটাগং নেট রান রেটের ব্যবধানে অবস্থান করছে তিনে।

ঢাকার প্রথম তিনটি ম্যাচে সাব্বিরের জায়গা হয়নি একাদশে। শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণেই মূলত তিনি ছিলেন মাঠের বাইরে। গত মঙ্গলবার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে একাদশে ঢুকলেও আউট হয়ে যান ৭ বলে মাত্র ২ রান করে। তবুও তার ওপর আস্থা ধরে রাখে ঢাকা। সেটার প্রতিদান দিয়ে ছক্কার বৃষ্টি ঝরালেও দলটিকে জয়ের দিশা দিতে পারেননি তিনি।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সেরা সময়ের সাব্বিরকেই দেখা গেছে অনেক দিন বাদে। চতুর্থ উইকেটে জুটিতে তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে ৩৫ বলে ৬৩ রান আনেন তিনি। সেখানে তানজিদের অবদান কেবল ১৩ বলে ১১ রান। এই জুটি ভাঙার আগেই ২২ বলে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন সাব্বির। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে আফগানিস্তানের ফরমানউল্লাহ শাফিকে নিয়ে ১৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩০ রানের জুটি গড়েন তিনি।

চার পরিবর্তন নিয়ে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা ঢাকা ৫ উইকেটে পৌঁছায় ১৭৭ রান পর্যন্ত। সাব্বির ছাড়া রান পান কেবল ওপেনার তানজিদ। তিনি ৪৮ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৫৪ রান করে খালেদের শিকার হন।

রংপুরের বিপক্ষে ঢাকার সবশেষ ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়াদের মধ্যে সবচেয়ে বড় নামটি ছিল লিটন দাস। আগের চার ম্যাচে ৮৭.৫০ স্ট্রাইক রেটে মাত্র ৪২ রান করেন তিনি। এছাড়া, হাবিবুর রহমান সোহান, আলাউদ্দিন বাবু ও আফগানিস্তানের আমির হামজার সুযোগ মেলেনি।

ব্যাটাররা লড়াইয়ের পুঁজি দিলেও ঢাকার বোলিং আক্রমণ দারুণ কিছু করে দেখাতে পারেনি। পারভেজ হোসেন ইমনের সঙ্গে ৩৭ ৫৫ রানের উদ্বোধনী জুটিতে চিটাগংকে লক্ষ্য তাড়ার শক্ত ভিত দেন উসমান। এরপর ইংল্যান্ডের গ্রাহাম ক্লার্ককে নিয়ে ৩০ বলে ৫১ রানের আরেকটি ভালো জুটি গড়েন তিনি। দ্বাদশ ওভারে উসমানের বিদায় নিলেও মিঠুন ও শামিমের কল্যাণে জয়ের বন্দরে নোঙর করতে বেগ পেতে হয়নি চিটাগংকে।

Comments

The Daily Star  | English

Technical education hit by teacher shortage, falling enrolment

Bangladesh’s technical education sector is facing a slow-burning crisis, shaped by a severe shortage of teachers, poor infrastructure, and steadily declining student interest.

10h ago