‘সম্ভাব্য সব লিগে রিশাদের খেলা উচিত, এটিই উন্নতির একমাত্র উপায়’

এবারের বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে একসঙ্গে খেলছেন রিশাদ হোসেন ও ডাভিড মালান। বাংলাদেশের তরুণ লেগ স্পিনারকে তাই খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হচ্ছে ইংল্যান্ডের অভিজ্ঞ ব্যাটারের। রিশাদের বোলিং দেখে মুগ্ধ তিনি। মালানের মতে, উন্নতি করার স্বার্থে তাকে বিশ্বের সম্ভাব্য সব লিগে খেলার সুযোগ দেওয়া উচিত।

এক বছরের বেশি সময় ধরে সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলে নিয়মিত মুখ রিশাদ। পারফরম্যান্স দিয়ে নজর কেড়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত সাত ওয়ানডেতে ৫ উইকেট ও ৩০ টি-টোয়েন্টিতে ৩৮ উইকেট শিকার করেছেন। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রিশাদ ছিলেন দুর্দান্ত। ২২ বছর বয়সী ক্রিকেটার নিয়েছিলেন ৭ ম্যাচে ১৪ উইকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে বাংলাদেশের কোনো বোলারের সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড এটি। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন তিনি।

উজ্জ্বল নৈপুণ্যের সুবাদে দেশের বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর নজরেও পড়েছেন রিশাদ। ইতোমধ্যে তিনটি জায়গা থেকে ডাক মিলেছে তার। গত বছর কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি ও অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে দল পান তিনি। কিন্তু ভিসা জটিলতায় কানাডা ও জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক ব্যস্ততাসহ বিভিন্ন কারণে অস্ট্রেলিয়াতেও যাওয়া হয়নি তার। আর গত সপ্তাহে পিএসএলের খেলোয়াড় নিলাম থেকে রিশাদকে দলে টেনেছে লাহোর কালান্দার্স। বাস্তবতা বিবেচনায় পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি তার। কারণ পিএসলের সময় বাংলাদেশ ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেলবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আর লাল বলের ক্রিকেটে এখনও অভিষেক হয়নি রিশাদের।

ম্যাচে ও অনুশীলনে রিশাদকে দেখে ভীষণ মনে ধরেছে মালানের। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সতীর্থের প্রশংসায় গণমাধ্যমের কাছে ইংলিশ ব্যাটার বলেছেন, 'তাকে অসাধারণ মনে হয়েছে। বাংলাদেশ এখন একজন লেগ স্পিনার পেয়েছে, এটি সত্যিই দারুণ ব্যাপার। আপনি যদি বিশ্বের সব ভালো দলের দিকে তাকান, আন্তর্জাতিক সবগুলো দলে লেগ স্পিনার আছে। তাদেরকে খেলা খুব কঠিন। আপনার যদি একজন লেগ স্পিনার থাকে... সাদা বলের ক্রিকেটে তারা ম্যাচ জেতাতে পারে।'

বিপিএলের চলমান আসরে এখন পর্যন্ত বরিশালের ছয় ম্যাচের তিনটিতে খেলেছেন রিশাদ। আঁটসাঁট বোলিংয়ে তার শিকার ৪ উইকেট। বাংলাদেশি লেগ স্পিনারকে আরও ক্ষুরধার হয়ে ওঠার উপায় বাতলে দিয়েছেন মালান, 'সব চ্যালেঞ্জ মেনে নিয়েই তাকে যত বেশি সম্ভব ম্যাচ খেলাতে হবে। সে যত বেশি টুর্নামেন্ট খেলবে, তত বেশি উন্নতি করবে। সম্ভাব্য সব লিগে তার খেলা উচিত। কারণ এটিই উন্নতি করার একমাত্র উপায়। সে দারুণ একজন প্রতিভা। সে যথেষ্ট লম্বা, দুই দিকেই বল টার্ন করাতে পারে। তার অনেক স্কিল রয়েছে এবং সে ব্যাটিংও করতে পারে।'

ঢাকা ও সিলেট পর্ব শেষে বিপিএল এখন গড়াচ্ছে চট্টগ্রামে। গত বৃহস্পতিবার এই পর্বে বরিশালের প্রথম ম্যাচের একাদশে ছিলেন মালান। এবারের আসরে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। ৪১ বল মোকাবিলায় তিনটি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা হাঁকান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

A budget without illusions

No soaring GDP promises. No obsession with mega projects. No grand applause in parliament. This year, it’s just the finance adviser and his unemotional speech to be broadcast in the quiet hum of state television.

7h ago