সংখ্যায় সংখ্যায় বিপিএলের প্রথম ২০ ম্যাচ
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলমান ২০২৫ সালের আসরের ঢাকা ও সিলেট পর্ব মিলিয়ে ২০ ম্যাচ শেষ। ভালো উইকেট ও ছোট বাউন্ডারির সুবিধা কাজে লাগিয়ে রান উৎসবই দেখা গেছে এখন পর্যন্ত। দুই দল মিলে অন্তত ৩৫০ রান হয়েছে ১১টি ম্যাচে। ব্যাটাররা ছড়ি ঘোরালেও বোলারদের দারুণ কিছু পারফরম্যান্সও উপভোগ করেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
সংখ্যায় সংখ্যায় দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি আসরের এবারের মৌসুমের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো দ্য ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য:
১- পয়েন্ট তালিকায় এক নম্বরে আছে অসাধারণ ছন্দে থাকা রংপুর রাইডার্স। সাত ম্যাচের সবকটিতে জেতায় তাদের অর্জন পূর্ণ ১৪ পয়েন্ট।
৫- সেঞ্চুরি করেছেন পাঁচ ব্যাটার। ঢাকা ক্যাপিটালসের লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম ও থিসারা পেরেরা ছাড়া তিন অঙ্ক স্পর্শ করেছেন চিটাগং কিংসের পাকিস্তানি খেলোয়াড় উসমান খান ও রংপুরের ইংলিশ খেলোয়াড় অ্যালেক্স হেলস।
৫.৭৫- কমপক্ষে ১০ ওভার বল করাদের মধ্যে সর্বনিম্ন ইকোনমি দুর্বার রাজশাহীর জিশান আলমের। মূলত ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিতি থাকলেও অফ স্পিনে মোট ১২ ওভারে ৬৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। তার ইকোনমি মাত্র ৫.৭৫।
৭- পয়েন্ট তালিকায় সবার নিচে সাতে অবস্থান করছে ধুঁকতে থাকা ঢাকা। টানা ছয় হারের বৃত্ত ভেঙে সপ্তম ম্যাচে গেরো খুলেছে তারা। দলটি পেয়েছে স্রেফ ২ পয়েন্ট।
১৪- সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন রাজশাহীর পেসার তাসকিন আহমেদ। ছয় ম্যাচে মোটে ৬.৭২ ইকোনমি ও ১১.২৮ গড়ে তার উইকেট ১৪টি। এর মধ্যে ঢাকার বিপক্ষে মিরপুরে এক ম্যাচেই তিনি আগুনে বোলিংয়ে শিকার করেন ৪ ওভারে ১৯ রানে ৭ উইকেট।
১৬- সর্বোচ্চ ছক্কা যৌথভাবে তিনজনের নামের পাশে। রংপুরের পাকিস্তানি খেলোয়াড় খুশদিল শাহের পাশাপাশি রাজশাহীর ইয়াসির আলী ও ঢাকার তানজিদ হাসান তামিম সমান ১৬টি করে ছক্কা মেরেছেন।
১২৫- সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিক লিটন। তিনি সিলেটে রাজশাহীর বিপক্ষে অপরাজিত ১২৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন ৫৫ বলে। তার ব্যাট থেকে আসে ১০টি চার ও নয়টি ছক্কা।
২১৯.২৩- অন্তত ১০০ রান করাদের মধ্যে সাব্বির রহমানের স্ট্রাইক রেটই সর্বোচ্চ। ঢাকার ব্যাটার চার ম্যাচে ১১৪ রান করেছেন নজরকাড়া ২১৯.২৩ স্ট্রাইক রেটে।
২৪১- বিপিএলে তো বটেই, ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টিতেই সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড গড়েছেন লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। ঢাকার দুই ব্যাটার সিলেটে রাজশাহীর বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে ২৪১ রান যোগ করেন।
২৫১- রান সংগ্রাহকদের তালিকায় সবার ওপরে আছেন ফর্মে থাকা জাকির হাসান। সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটার ছয় ম্যাচে ৫০.২০ গড় ও ১৪৯.৪০ স্ট্রাইক রেটে ২৫১ রান করেছেন। তার হাফসেঞ্চুরি তিনটি।
২৫৪- বিপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় পুঁজির রেকর্ড এখন ঢাকার দখলে। তারা সিলেটে রাজশাহীর বিপক্ষে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে তোলে ১ উইকেটে ২৫৪ রান।
৪৫৭.১৪- কমপক্ষে ৬ বল মোকাবিলা করাদের মধ্যে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট রংপুরের ব্যাটার নুরুল হাসান সোহানের। তিনি ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে সিলেটে ৭ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় অপরাজিত ৩২ রানের স্মরণীয় ইনিংস খেলেন। সেটার স্ট্রাইক রেট ছিল ৪৫৭.১৪।
Comments