দুই স্তরের টেস্ট কাঠামোর পক্ষে ভনও

Michael Vaughan
মাইকেল ভন, ফাইল ছবি: টুইটার

২০১৬ সালে যে আলোচনাটা উঠেও পরে ভিত্তি পায়নি, সেই আলাপ এবার জোরালো হচ্ছে। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির পর টেস্ট ক্রিকেট দুই স্তরে ভাগ করার পক্ষে কথা বলেছিলেন ভারতীয় সাবেক তারকা রবি শাস্ত্রী। জানা গেছে ২০২৭ সালে নতুন চক্রেই এটা করা নিয়ে চিন্তা করছে আইসিসি। এবার সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভনও বললেন টেস্টকে প্রাসঙ্গিক রাখার সেরা পন্থা এটাই।

দুই স্তরে ভাগ করলে সেরা দলগুলো একে অন্যের বিপক্ষে ঘন ঘন খেলার সুযোগ পাবে। তাতে টেস্টের প্রচার ও প্রসার দেখছেন সাবেক অনেক ক্রিকেটার।

বর্তমানে টেস্ট খেলুড়ে দেশের সংখ্যা ১২টি। তবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয় ৯ দল। বাকি তিন দল জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান খুব কমই টেস্ট খেলার সুযোগ পায়। দুই স্তরের কাঠামো হলে তারাও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হওয়ার সুযোগ পাবে যদি নিচের স্তর থেকে উপরে উঠতে পারে।

সম্প্রতি শেষ হওয়া ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ পেয়েছে তুমুল দর্শকপ্রিয়তা। মাঠে বসে টেস্ট দেখার রেকর্ড হয়েছে এবার। ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া যখন একে অন্যের বিপক্ষে খেলে তখন আগ্রহ থাকে চূড়ায়। এটাই উস্কে দিচ্ছে দুই স্তরকে।

অস্ট্রেলিয়ার এক গণমাধ্যমে এই ব্যাপারে নিজের চিন্তা তুলে ধরে ভন বলেন , 'এটা এমন একটা সিরিজ যেখানে খেলাটা কোথায় যাচ্ছে, প্রশাসকদের কী করা উচিত সে ব্যাপারে আমার চিন্তাকে পোক্ত করছে।'

ভন চান পাঁচদিনের বদলে খেলা হবে তিনদিনে। বাড়বে টেস্টের সংখ্যা, 'আমি বিশ্বাস করি এটা চারদিনের পণ্য, নির্দিষ্ট ওভার প্রতিদিন দিতে হবে। প্রতি সিরিজ হতে হবে কমপক্ষে তিন ম্যাচের। দুই স্তর থাকবে ছয়টি দল নিয়ে, প্রমোশন ও রেলিগেশন থাকবে।'

আইসিসির ভবিষ্যৎ সূচি পরিকল্পনা দিয়ে রেখেছে ২০২৭ পর্যন্ত। এরপর করতে হবে নতুন চক্র। সেই চক্রেই দুই স্তরের বাস্তবায়নের চিন্তা এগুচ্ছে। ভন এটা জেনে আনন্দিত,  '২০২৭ সালের চক্রের পর এই চিন্তা আইসিসি করছে শুনে আমি আনন্দিত। প্রতি তিন বছরে দুইবার অ্যাশেজ দেখতে পারব।'

'আমি অনেকদিন ধরে বলছি টেস্ট ক্রিকেটকে প্রাসঙ্গিক রাখতে এটাই সেরা এক পথ।'

Comments

The Daily Star  | English

Rooppur, MRT-1, Matarbari to get special focus

Three mega projects will get special focus in the upcoming development budget with the view to providing cheaper electricity, easing Dhaka dwellers’ transportation problem and enhancing international trade for Bangladesh.

13h ago