বাগেরহাটে গণপিটুনিতে যুবক নিহত

প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় রাসেল শেখ নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নিহত যুবক ওই এলাকায় 'ডাকাত রাসেল' নামে পরিচিত। অস্ত্রের মুখে চাঁদার টাকা আনতে গেলে গ্রামবাসী তাকে মারধর করে।

সোমবার বিকেলে উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মহিদ পাইকের বাড়ির কাছে এই ঘটনা ঘটে।

রাসেল একই গ্রামের আজিজ শেখের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাসেল কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র হাতে মহিদ পাইকের বাড়িতে দিয়ে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না পেলে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। বাড়ির নারী সদস্যরা চিৎকার করলে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে রাসেল ও তার সহযোগী রাজীবকে ধরে ফেলে। তবে বাকিরা পালিয়ে যান।

রাজীব শেখ একই গ্রামের সেলিম শেখের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, রাসেল ও রাজীব গ্রামবাসীর পিটুনিতে গুরুতর আহত হন। পরবর্তীতে তাদের কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন এবং রাজীব বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মহিদ পাইকের ভাই জাহিদ পাইক বলেন, 'এক সপ্তাহ আগে রাসেল জোর করে আমার ভাইয়ের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। হুমকি দেয়, আরও টাকা না দিলে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেবে।'

গ্রামবাসীরা জানান, রাসেল একজন চিহ্নিত অপরাধী। গত ৫ আগস্টের পর থেকে রাসেল হামলা চালিয়েছে, চাঁদাবাজি করেছে। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরে মানুষের ভেতরে আতঙ্ক সৃষ্টি করতো।

কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মণি শঙ্কর পাইক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, হাসপাতালের পৌঁছানোর আগেই রাসেলের মৃত্যু হয়েছে।

'তার মাথায়, পিঠে ও পায়ে ছয়টি গভীর ক্ষত রয়েছে। এ ছাড়া, সারা শরীরেই অসংখ্য ছোট ছোট আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে,' বলেন মণি।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেদুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাসেলের বিরুদ্ধে ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও হত্যাসহ মোট ২২টি মামলা রয়েছে। তাকে হত্যার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Rawhide market disappoints again despite govt price hike

The Ministry of Commerce had increased the price of cowhide in Dhaka by Tk 5-10 per square foot, setting the official rate at Tk 60-65

21m ago