যমুনা রেলসেতুতে ১২০ কিলোমিটর গতিতে চলল ট্রেন

যমুনা রেলসেতু, পরীক্ষামূলক ট্রেন, একনেক, যমুনা নদী,
রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আপ ও ডাউন লাইন থেকে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ছবি: মির্জা শাকিল/স্টার

যমুনা নদীর ওপরে নির্মিত দেশের বৃহত্তম যমুনা রেলসেতু দিয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলেছে।

আজ রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আপ ও ডাউন লাইন থেকে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এরপর সাড়ে তিনটার দিকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলে।

প্রকল্প পরিচালক আবু ফাত্তাহ মাসুদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ২৬ নভেম্বর রেলওয়ে সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেনের ট্রায়াল চালানো হয়। আজ ট্রায়াল ট্রেনগুলো ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার, তারপর ৮০ কিলোমিটার, ৯০ কিলোমিটার, ১০০ কিলোমিটার, ১১০ কিলোমিটার এবং সবশেষে ১২০ কিলোমিটার বেগে চলেছে। আগামীকাল পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল অব্যাহত থাকবে।

'ভুলত্রুটি চিহ্নিত করতে এই কাজ অব্যাহত থাকবে,' বলেন তিনি।

তিনি জানান, ট্রায়াল ট্রেন চলাচলে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শিগগিরই রেলসেতুটি উদ্বোধন করা হবে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, নয় হাজার ৭৩৪ কোটি সাত লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরে এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি দুই লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে সময়সীমা বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর কা হয়।

এর আগে, ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছিলে। সেতুটির ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে জাপানি কোম্পানি ওটিজি ও আইএইচআই জয়েন্ট ভেঞ্চার।

Comments

The Daily Star  | English

Polythene ban: A litmus test for will and eco-innovation

Although Bangladesh became the first country in the world to announce a complete ban on the use of polythene bags in 2002, strict enforcement of the much-lauded initiative has only started taking shape recently.

14h ago