অবশেষে হামাস প্রধান হানিয়াকে হত্যার দায় স্বীকার করল ইসরায়েল

সাবেক হামাস-প্রধান ইসমাইল হানিয়া। ফাইল ছবি: রয়টার্স
সাবেক হামাস-প্রধান ইসমাইল হানিয়া। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ইরানের রাষ্ট্রীয় আমন্ত্রণে গত জুলাইয়ে তেহরান সফর করতে যেয়ে নিহত হন হামাসের রাজনৈতিক শাখার তৎকালীন প্রধান ইসমাইল হানিয়া। প্রায় পাঁচ মাস পর এই গুপ্তহত্যার দায় স্বীকার করে নিয়েছে ইসরায়েল।

গতকাল সোমবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ এ কথা স্বীকার করেন। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের নেতাদেরও একইভাবে 'নির্মূল' করার হুমকি দিয়েছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সোমবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক অনুষ্ঠানে ক্যাটজ বলেন, 'আমরা হুতিদের ওপর কঠোর আঘাত হানব। তাদের নেতৃত্বকে নির্মূল করব। তেহরান, গাজা ও লেবাননে হানিয়া, (ইয়াহিয়া) সিনওয়ার ও (হাসান) নাসরাল্লাহকে যেভাবে (হত্যা) করেছি, হোদেইদা ও সানায় সেভাবেই করব।'

গত ৩১ জুলাই হানিয়া নিহত হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলকেই দায়ী করে এসেছে ইরান ও হামাস। ক্যাটজের এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো এই গুপ্তহত্যার দায় স্বীকার করল দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

'ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যে হাত তুলবে, তার হাত কেটে ফেলা হবে। আইডিএফের (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) দীর্ঘ হাত তাকে ঘায়েল করবে,' যোগ করেন ক্যাটজ।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ। ফাইল ছবি: রয়টার্স

জুলাইয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরানে এসেছিলেন হানিয়া। সেখানে ইসরায়েলের আগে থেকে পেতে রাখা বিস্ফোরকে প্রাণ হারান তিনি।

১৬ অক্টোবর হানিয়ার উত্তরসূরি ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে গাজায় হত্যা করে আইডিএফ।

এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের বোমা হামলায় নিহত হন তৎকালীন হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ।

 

Comments