এস আলম ও পরিবারের এফএসআইবির ১২৫ অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন এবং পরিবারের ৯ সদস্যের ১২৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ ইবরাহীম মিয়া এ আদেশ দেন।

ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো চট্টগ্রাম ও ঢাকায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের (এফএসআইবি) বিভিন্ন শাখার।

সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, পটিয়া, জুবিলি রোড এবং ঢাকার দিলকুশা, কাকরাইল এবং গুলশানের বিভিন্ন শাখায় ২২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৯১ টাকা জমা করেছেন।

এস আলমের পরিবারের অপর সদস্যরা হলেন—ভাই মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাসান, ওসমান গণি, আবদুস সামাদ, রাশেদুল আলম, শহীদুল আলম, ওসমানের স্ত্রী ফারজানা বেগম, শহীদুলের স্ত্রী মিসকাত আহমেদ এবং সামাদের স্ত্রী শাহানা ফেরদৌস।

তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশ চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. আবু সাঈদ আদালতে আবেদন করেন।

তার পক্ষে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম আবেদনটি উপস্থাপন করেন।

আবেদনে দুদক কর্মকর্তা বলেন, এস আলম, তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, সাইপ্রাস, ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ এবং অন্যান্য দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগের তদন্তের সময় চট্টগ্রাম ও ঢাকায় ১২৫টি অ্যাকাউন্টে ২২ কোটি ৬৫ লাখ ৪৫ হাজার ১৯১ টাকা জমা থাকার তথ্য পেয়েছেন।

আবেদনে আরও বলা হয়, এস আলম ও অন্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা প্রয়োজন যেন তারা টাকা তুলে পাচার করতে না পারে।

বিচারক পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে দুদককে ব্যাংকের ওই শাখাগুলোর পরিচালকদের কাছে আদেশ পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছেন।

এর আগে গত ৭ অক্টোবর একই আদালত সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে এস আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন এবং তার পরিবারের ১১ সদস্যের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, দ্য ডেইলি স্টার গত বছরের ৪ আগস্ট 'এস আলমের আলাদিনের প্রদীপ' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে এস আলমের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত বছরের ৪ আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদনের পর হাইকোর্ট ৬ আগস্ট একটি স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করে এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং তার স্ত্রীর বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়াই অফশোর ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয়।

দ্য ডেইলি স্টারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এস আলম গ্রুপ সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে এক বিলিয়ন ডলার মূল্যের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে, যদিও বিদেশে কোনো অর্থ বিনিয়োগ বা স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেওয়ার তথ্য জানা যায়নি।

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago