এস আলম গ্রুপ: সাইফুল আলমসহ পরিবারের ১২ সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

এস আলম
মোহাম্মদ সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে ১০০ কোটি ডলার পাচারের অভিযোগে ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন ও পরিবারের আরও ১০ সদস্যের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।

এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা অন্যরা হলেন—এস আলমের ভাই আবদুল্লাহ হাসান, ওসমান গনি, আবদুস সামাদ, রাশেদুল আলম, শহিদুল আলম, মোরশেদুল আলম, এস আলমের ছেলে আহসানুল আলম ও আশরাফুল আলম, ওসমানের স্ত্রী ফারজানা বেগম এবং সামাদের স্ত্রী শাহানা ফেরদৌস।

আজ সোমবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আস-সামছ জগলুল হোসেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক (মানি লন্ডারিং) নূরে আলমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুদকের পক্ষে আবেদনটি করেন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম।

আবেদনে দুদকের এই কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, গত বছরের ৪ আগস্ট দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকায় 'এস আলম'স আলাদিন'স ল্যাম্প' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ আনা হয়। বিষয়টি দুদকের তদন্তাধীন আছে।

আহমেদ আলী বলেন, 'তদন্তকাজ চলাকালে আমরা জানতে পেরেছি যে এস আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের যে অভিযোগ এসেছে তার তদন্ত কঠিন হয়ে পড়বে।'

ডেইলি স্টারে ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর গত বছরের ৬ আগস্ট এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া বিদেশে ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

ডেইলি স্টারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গ্রুপটি সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে, যদিও বিদেশে বিনিয়োগ বা সম্পদ স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে গ্রুপটির অনুমতি নেওয়ার কোনো রেকর্ড নেই।

ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এ পর্যন্ত ১৭টি কোম্পানিকে দেশের বাইরে বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রামভিত্তিক এই শিল্পগোষ্ঠীর নাম সেই তালিকায় নেই। তারপরও সিঙ্গাপুরে গত এক দশকে সাইফুল আলম অন্তত দুটি হোটেল ও দুটি বাড়িসহ অন্যান্য সম্পত্তি কিনেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Disrupting office work: Govt employees can be punished within 8 days

The interim government has moved to amend the Government Service Act-2018 to allow swift disciplinary action against its employees who will be found guilty of disrupting official activities.

9h ago