‘বিশ্বাস ছিলো হাসান পারবে’

Bangladesh Cricket Team

এক পর্যায়ে অনায়াসে জেতার পথে ছিলো বাংলাদেশ। রভম্যান পাওয়েলের ঝড়ে রঙ বদলে পরে জেগে উঠে হারের শঙ্কা। সেই অবস্থায় শেষ ওভারে দারুণ বল করে বাংলাদেশকে জয় পাইয়ে দেন হাসান মাহমুদ। শেষ ওভারের নায়ক হাসান হলেও এর আগে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে জেতার রাস্তা দেখান শেখ মেহেদী হাসান। ম্যাচ সেরা হয়ে এই অফ স্পিনার বলছেন, তার বিশ্বাস ছিলো হাসান শেষ ওভার সামাল দিতে পারবেন।

শেষ ৬ বলে ম্যাচ জিততে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিলো ১০ রান, পাওয়াল ক্রিজে থাকায় পাল্লা ভারি ছিলো স্বাগতিক দলের দিকে। কিন্তু হাসান ওই ওভারে পাওয়ালকে আউট করে ম্যাচ নিয়ে আসেন নিজেদের দিকে, পরে আলজেরি জোসেফকে বোল্ড করে জিতিয়ে দেন দলকে।

সোমবার বিজয় দিবসের সকালে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৭ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে ডানহাতি পেসারের প্রশংসায় মাতলেন মেহেদী,  'হাসান আবারও প্রমাণ করেছে। আমার মনে আছে আয়ারল্যান্ড সিরিজে ডেথ ওভারে একটা ম্যাচ জিতিয়েছিলো। আমার ওই অনুভূতি আবার চলে আসছিলো। আমি ভেবেছিলাম সে হয়তবা পারবে। আমার বিশ্বাস ছিলো সে হয়ত পারবে।'

এদিন ম্যাচ জিততে উইকেটের সহায়তাও পেয়েছে বাংলাদেশ। সেন্ট ভিনসেন্টে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতনই ছিলো উইকেটের ধরণ।  উইকেটে যদি থাকে একটু মন্থরতা, স্পিন যদি একটু ধরে তাহলে মাঝারি রানের ম্যাচে বরাবরই বাংলাদেশ শক্তিশালী। এদিনও হলো এমনটাই। আগে ব্যাটিং পেয়ে সৌম্য সরকার, শামীম হোসেনদের ব্যাটে চড়ে ১৪৭ রানের পুঁজি পায়। পরে সহায়ক কন্ডিশনে জ্বলে উঠেন শেখ মেহেদী হাসান। ১৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে তিনি ম্যাচ বাংলাদেশের পকেটে এনে দিয়েছিলেন। ৩৫ বলে ৬০ রানের ইনিংসে সেটা নিজেদের মুঠোয় নিয়ে গিয়েছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হাসান মাহমুদের দারুণ শেষ ওভারে জয়ের হাসি হাসে বাংলাদেশই।

শুরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেওয়া শেখ মেহেদী নতুন বলেই পান সাফল্য।  জানালেন, এসব উইকেটে নিজের চিরায়ত প্রক্রিয়ায় আস্থা রেখেছিলেন তিনি, 'নতুন বলে তো সব সময় বল করে থাকি। আমি আমার প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই এগুচ্ছিলাম। ওদের ডানহাতি ব্যাটার ছিলো, আমার চিন্তা ছিলো ওদেরকে সহজে শট খেলতে যেন না দেই। কারণ ওরা অনেক শক্তিশালী।'

অল্প পুঁজি নিয়ে ম্যাচ বের করতে দলের পরিকল্পনা থাকতে হয় আঁটসাঁট। নেতৃত্ব থাকতে হয় ক্ষিপ্র। শেখ মেহেদীর মতে লিটন দাস ব্যাটিংয়ে রান না পেলেও নেতৃত্বে ছিলেন অসাধারণ,  'সব মিলিয়ে যে পরিকল্পনা করেছে, লিটনের অধিনায়কত্ব অসাধারণ ছিলো। সে নেতৃত্বে সাহসিকতা দেখিয়েছে। লিটন যে সময় যেটা করা দরকার সেটা করার চেষ্টা করেছে।'

ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র করলেও ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হয় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে জয় দিয়ে শুরু করায় সিরিজ জেতার আশা এখন চওড়া, 'আমরা ওয়ানডে সিরিজটা ভালোভাবে শেষ করতে পারিনি। বিজয়ের মাসে টি-টোয়েন্টিটা জয় দিয়ে শুরু করলাম। সিরিজ জেতার জন্য যা কিছু করা লাগে করতে প্রস্তুত আছি।'

১৮ ও ২০ ডিসেম্বর সিরিজের বাকি দুই ম্যাচও বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় শুরু হবে।

Comments

The Daily Star  | English

BNP struggles to rein in the rogues

Over the past 11 months, 349 incidents of political violence took place across the country, BNP and its affiliated organisations were linked to 323 of these

10h ago