বাংলাদেশকে উড়িয়ে সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
স্কোরবোর্ডে পর্যাপ্ত রান সংগ্রহ করতে পারেনি বাংলাদেশ। সাদামাটা পুঁজি নিয়ে বল হাতেও পারেনি দারুণ কিছু করতে। তাতে হেসেখেলেই জয় তুলে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশকে ৭৯ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা। তাতে সিরিজও নিশ্চিত হয়েছে দলটির। টানা চারটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হারার পর সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
২২৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দুই ওপেনার ব্রান্ডন কিং ও এভিন লুইসই জয়ের ভিত গড়ে দেন। ওপেনিং জুটিতেই আসে ১০৯ রান। এরপর কেসি কার্টির সঙ্গে ৬৬ রানের আরও একটি জুটি কিংয়ের। পরে এ দুই ব্যাটার ফিরে গেলেও জয় পেতে সমস্যা হয়নি তাদের। শেই হোপ ও শেরফিন রাদারফোর্ড জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৪৫.৫ ওভারে ২২৭ (তানজিদ ৪৬, সৌম্য ২, লিটন ৪, মিরাজ ১, আফিফ ২৪, মাহমুদউল্লাহ ৬২, জাকের ৩, তানজিম ৪৫, শরিফুল ১৫, নাহিদ ৪*; মিন্ডলি ১/৪৫, সিলস ৪/২২, শেফার্ড ১/৫০, গ্রিভস ১/৪৪, মোতি ২/৩৬, চেইস ১/১৮)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৬.৫ ওভারে ২৩০/৩ (কিং ৮২, লুইস ৪৯, কার্টি ৪৫, হোপ ১৭*, রাদারফোর্ড ২৪*; শরিফুল ০/৫৪, তানজিম ০/৪৫, মিরাজ ০/২৪, নাহিদ ১/৩৬, রিশাদ ১/৫৩, আফিফ ১/১২)।
ফলাফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ উইকেটে জয়ী।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুইশ
২৩ রানের ব্যবধানে দুটি উইকেট হারালেও লক্ষ্যের দিকে ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরমধ্যেই দুইশ ছাড়িয়েছে তাদের পুঁজি। ৩৪.১ ওভারে এসেছে দলের দ্বিশতক। ফলে জয় দেখতে শুরু করেছে ক্যারিবিয়ানরা।
৩৬ ওভারে ক্যারিবিয়ানদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২১৬ রান। শেই হোপ ১৬ ও রাদারফোর্ড ১১ রানে ব্যাটিং করছেন।
কার্টিকে ফেরালেন আফিফ
ফেরাতে পারতেন আগের ওভারেই। কিন্তু দুরূহ ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি সৌম্য সরকার। তবে পরের ওভারে ফিরেই কাঙ্ক্ষিত উইকেট তুলে নিয়েছেন পার্ট টাইম বোলার আফিফ হোসেন। তার অফস্টাম্পের বাইরে রাখা বল লেগের দিকে সপাটে চালিয়েছিলেন কার্টি। তবে ব্যাটের বাইরের দিকে কানায় লেগে চলে যায় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে সেই ক্যাচ ধরেছেন নাহিদ রানা। ৪৭ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৪৫ রান করেন কার্টি।
৩৪ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৯৮ রান। শেই হোপ ৮ রানে ব্যাটিং করছেন। নতুন ব্যাটার শেরফিন রাদারফোর্ড ১ রানে ব্যাট করছেন।
কার্টিকে জীবন দিলেন সৌম্য
আবারও ক্যাচ মিস সৌম্য সরকারের। তবে এবার বেশ দুরূহ একটি ক্যাচ ধরার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সেক্ষেত্রে বোলিংয়ে এসেই উইকেট পেতে পারতেন আফিফ হোসেন। তার অফস্টাম্পের বেশ বাইরে রাখা বলে ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন কার্টি। শর্ট এক্সট্রা কভারে লাফিয়ে এক হাতে বলে হাত লাগিয়েছিলেন সৌম্য। তবে লুফে নিতে পারেননি। এ সময় ৪০ রানে ব্যাটিং করছিলেন কার্টি।
৩২ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৯৩ রান। কার্টি ৪৫ ও শেই হোপ ৪ রানে ব্যাটিং করছেন।
কিংকে বোল্ড করে জুটি ভাঙলেন নাহিদ
কেসি কার্টির সঙ্গে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দ্রুতই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে জাচ্ছিলেন ব্রান্ডন কিং। তার সাবলীল ব্যাটিংয়ে মনে হচ্ছিল ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ পাওয়ার পথেই আছেন তিনি। নাহিদ রানার দারুণ এক ইয়র্কারে শেষ মুহূর্তে ব্যাট নামিয়ে ঠেকাতে চেয়েছিলেন কিং। গতিতে পরাস্ত হয়েছেন। তাতে শেষ হয় ৭৬ বলের করা ৮২ রানের ইনিংস। যেখানে ৮টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন তিনি।
২৯ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৭৭ রান। কেসি কার্টি ৩২ রানে ব্যাটিং করছেন। নতুন ব্যাটার অধিনায়ক শেই হোপ ব্যাট করছেন ১ রানে।
৩২ বলে দ্বিতীয় উইকেট জুটির ফিফটি
ওপেনিং জুটি ভাঙার পর যেন আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্রান্ডন কিং আরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছেন। উইকেটে নেমেই চড়াও হওয়ার চেষ্টা করছেন কেসি কার্টিও। তাতে হুহু করে বাড়ছে ক্যারিবিয়ানদের সংগ্রহ। এরমধ্যেই এই জুটির ফিফটি পূরণ হয়েছে। মাত্র ৩২ বলে এসেছে এই জুটির ফিফটি।
২৭ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৭০ রান। কিং ৭৩ বলে ৮১ এবং কেসি কার্টি ২৭ বল ২৭ রানে ব্যাটিং করছেন।
লুইসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন রিশাদ
অবশেষে ওপেনিং জুটি ভাঙতে পেরেছে বাংলাদেশ। শুরুতে কিছুটা সংগ্রাম করলেও ধীরে ধীরে খোলস ভেঙ্গে চড়াও হচ্ছিলেন এভিন লুইস। মাঝেমধ্যেই বড় শটে আদায় করে নিচ্ছিলেন বাউন্ডারি। তবে হাফসেঞ্চুরি থেকে এক রান দূরে বোলার রিশাদ হোসেনকে ক্যাচিং অনুশীলন করিয়ে ফিরেছেন সাজঘরের পথে। ৬২ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪৯ রান করেন এই ওপেনার।
২১ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১১২ রান। কিং ৬২ বলে ৫৪ রানে ব্যাটিং করছেন। নতুন ব্যাটার হিসেবে মাঠে নেমেছেন কেসি কার্টি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলীয় শতক
ক্রমেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যাত্রা পথে খুব একটা বাধার মুখে পড়ছে না দলটি। টাইগারদের নির্বিষ বোলিংয়ে এরমধ্যেই দলীয় শতক তুলে নিয়েছে তারা। ১১৪ বলে এসেছে দলের সেঞ্চুরি। ওপেনার ব্রান্ডন কিং হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। একই পথে হাঁটছেন আরেক ওপেনার এভিন লুইসও।
২০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১০৯ রান। কিং ৫৯ বলে ৫৩ এবং লুইস ৬১ বলে ৪৯ রানে ব্যাটিং করছেন।
কিংয়ের হাফসেঞ্চুরি
শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং করছিলেন ব্রান্ডন কিং। ক্যারিবিয়ানদের রানের গতি সচল রেখে নিয়মিত বাউন্ডারিও আদায় করে নিচ্ছেন এই ওপেনার। রিশাদ হোসেনের বলে আরও একটি আদায় করে তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম হাফসেঞ্চুরি। ৫২ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন তিনি। এই পথে বাউন্ডারি মেরেছেন ৮টি।
১৭ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৯৪ রান। কিং ৫৩ বলে ৫১ ও লুইস ৪৯ বলে ৩৮ রানে ব্যাটিং করছেন।
জীবন পেলেন লুইস
মেহেদী হাসান মিরাজের আগের বলেই দারুণ এক ছক্কা মারেন এভিন লুইস। পরের বলেই পাল্টা আঘাত হানতে পারতেন টাইগার অধিনায়ক। মিরাজের বলে পুল করেছিলেন লুইস। টাইমিং ঠিকঠাক না হওয়ায় লংঅনে ক্যাচ উঠে যায়। কিছুটা দৌড়ে বল হাতে লাগালেও লুফে নিতে পারেননি সৌম্য সরকার। ফলে ব্যক্তিগত ২৮ রানে জীবন পান লুইস। চলছে টাইগারদের ভোগান্তি।
১৪ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৭৬ রান। কিং ৪৫ বলে ৪২ ও লুইস ৩৯ বলে ২৯ রানে ব্যাটিং করছেন।
ক্যারিবিয়ানদের ওপেনিং জুটির ফিফটি
শুরুটা দেখেশুনেই করেছিল দুই ক্যারিবিয়ান ওপেনার ব্রান্ডন কিং ও এভিন লুইস। কিং শুরু থেকে সাবলীল থাকলেও কিছুটা খোলসে আবদ্ধ ছিলেন লুইস। তবে ধীরে ধীরে খোলস ভাঙতে শুরু করেছেন এই ওপেনারও। তাতে দ্রুতই বাড়ছে ক্যারিবিয়ানদের রান। তাতে ৫৪ বলেই এসেছে দলীয় ফিফটি।
১০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৫৪ রান। কিং ২৬ বলে ২৬ ও লুইস ২৮ বলে ২০ রানে ব্যাটিং করছেন।
ক্যারিবিয়ানদের সাবধানী সূচনা
দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই রেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা দেখে শুনেই করেছে স্বাগতিক দলটি। ওপেনার এভিন লুইস অবশ্য কিছুটা ভুগছেন রান তুলতে। তবে আরেক ওপেনার ব্রান্ডন কিং খেলছেন সাবলীলভাবেই। মাঝেমধ্যেই বাউন্ডারি তুলে রানের গতি সচল রাখছেন এই ওপেনার।
৫ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৯ রান। কিং ১৪ ও লুইস ৪ রানে ব্যাটিং করছেন।
মাহমুদউল্লাহ-তানজিমের ব্যাটে বাংলাদেশের ২২৭ রানের পুঁজি
৮ বলে ১৫ রান করে রোমারিও শেফার্ডের ডেলিভারিতে শরিফুল ইসলাম ক্যাচ দিলেন গুদাকেশ মোতির হাতে। এতে থামল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের ইনিংস। ৪৫.৫ ওভারে তারা অলআউট হলো ২২৭ রানে।
১১৫ রানে ৭ উইকেট পড়ার পর টাইগারদের পুঁজি দুইশ ছাড়ায় অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ও নয়ে নামা তানজিম হাসান সাকিবের ব্যাটে। ওয়ানডেতে দেশের পক্ষে অষ্টম উইকেট জুটিতে রেকর্ড ৯২ রান যোগ করেন তারা। মাহমুদউল্লাহ ৯২ বলে ৬২ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন। তানজিম চমৎকার ব্যাটিংয়ে ৬২ বলে করেন ৪৫ রান। এছাড়া, ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম খেলেন ৩৩ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস।
ক্যারিবিয়ানদের পক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল বোলার জেডেন সিলস। ডানহাতি পেসার ৯ ওভারে একটি মেডেনসহ খরচ করেন মাত্র ২২ রান। বাঁহাতি স্পিনার মোতি ২ উইকেট পান ৩৬ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৪৫.৫ ওভারে ২২৭ (তানজিদ ৪৬, সৌম্য ২, লিটন ৪, মিরাজ ১, আফিফ ২৪, মাহমুদউল্লাহ ৬২, জাকের ৩, তানজিম ৪৫, শরিফুল ১৫, নাহিদ ৪*; মিন্ডলি ১/৪৫, সিলস ৪/২২, শেফার্ড ১/৫০, গ্রিভস ১/৪৪, মোতি ২/৩৬, চেইস ১/১৮)।
থামল মাহমুদউল্লাহর লড়াই
অষ্টম উইকেটে ৯২ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে তানজিম হাসান সাকিব আউট হওয়ার পরের ওভারে থামলেন মাহমুদউল্লাহ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার জেডেন সিলসের চতুর্থ শিকার হলেন তিনি। উড়িয়ে মারার চেষ্টায় পয়েন্টে গুদাকেশ মোতির তালুবন্দি হলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার।
৯২ বলে দুটি চার ও চারটি ছক্কায় মাহমুদউল্লাহর রান ৬২। তার বিদায়ে শেষের খুব কাছে বাংলাদেশের ইনিংস। ৪৫ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২১৩। ক্রিজে আছেন শেষ দুই ব্যাটার শরিফুল ইসলাম ও নাহিদ রানা।
৯২ রানের রেকর্ড জুটি ভাঙল তানজিমের বিদায়ে
নয়ে নামা তানজিম হাসান সাকিবের চমৎকার ব্যাটিং অবশেষে থামাতে পারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অফ স্পিনার রোস্টন চেইসকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন তিনি। ৬২ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪৫ রান এলো তার ব্যাট থেকে।
তানজিমের বিদায়ে ভাঙল মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার ১০৬ বলে ৯২ রানের রেকর্ড জুটি। ওয়ানডেতে অষ্টম উইকেটে এটি এখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি। পেছনে পড়ে গেল ২০১৯ সালে নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মোহাম্মদ মিঠুন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের গড়া ৮৪ রানের জুটি।
৪৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ২০৯। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ খেলছেন ৯১ বলে ৬২ রানে। তার নতুন সঙ্গী শরিফুল ইসলাম।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে মাহমুদউল্লাহর হাফসেঞ্চুরি
অল্প রানে অলআউট হওয়ার শঙ্কায় থাকা বাংলাদেশকে লড়াইয়ের পুঁজি দিতে লড়ছেন মাহমুদউল্লাহ। ছয়ে নামা অভিজ্ঞ ব্যাটার ৮৪ বলে তুলে নিলেন হাফসেঞ্চুরি। ওয়ানডেতে এটি তার ৩১তম ফিফটি। সবশেষ তিন ম্যাচেই এই স্বাদ নিলেন তিনি।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে মূলত এক-দুই রান করে এগোচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। বাজে বল পেলে পাঠাচ্ছেন সীমানার বাইরে।
৪২ ওভারে বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ১৯৫। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে দারুণ জুটিতে চমৎকার ব্যাটিং করছেন তানজিম হাসান সাকিব। ৬০ বলে ৪৪ রানে ব্যাট করছেন নয়ে নামা তানজিম।
মাহমুদউল্লাহ-তানজিমের জুটিতে পঞ্চাশ
১১৫ রানে ৭ উইকেট পড়ার পর প্রতিরোধ গড়েছেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম হাসান সাকিব। দেড়শর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় থাকা বাংলাদেশ দলকে টানছেন দুজন। ৩৭তম ওভারে জাস্টিন গ্রিভসের বলে ফাইন লেগ দিয়ে মাহমুদউল্লাহ চার মারায় পূর্ণ হলো অষ্টম উইকেট জুটির পঞ্চাশ। লাগল ৬৪ বল। ইনিংসে এটি টাইগারদের প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি।
৩৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ১৬৭। আশার আলো হয়ে থাকা মাহমুদউল্লাহ ৭৭ বলে ৪৫ রানে খেলছেন। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়ে তানজিম ক্রিজে আছেন ৩৭ বলে ২১ রানে।
শূন্যতে শেষ রিশাদ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অভিষিক্ত পেসার মার্কিনো মিন্ডলি পেলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেটের স্বাদ। তাকে ড্রাইভ করতে গিয়ে পয়েন্টে রোস্টন চেইসের তালুবন্দি হলেন রিশাদ হোসেন। ৮ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারলেন না তিনি।
২৬ ওভারে বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ১১৫। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪৫ বলে ১৭ খেলছেন। তার সঙ্গী তানজিম হাসান সাকিব ৩ বল খেলে শূন্য রানে ক্রিজে আছেন।
জাকের ফেরায় মহাবিপদে বাংলাদেশ
নিজের পরপর দুই ওভারে দুই শিকার ধরলেন গুদাকেশ মোতি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাঁহাতি স্পিনার আগের ওভারে ফিরিয়েছিলেন আফিফ হোসেনকে। এবার তিনি এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেললেন জাকের আলীকে।
২১তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১০৪ রানে ষষ্ঠ উইকেটের পতন হলো মহাবিপদে পড়া বাংলাদেশের। ফ্লিক করতে গিয়ে লাইন মিস করা জাকেরের পেছনের পায়ের প্যাডে লাগে বল। ক্যারিবিয়ান খেলোয়াড়দের আবেদনে মাঠের আম্পায়ার সাড়া দেওয়ার পর তিনি রিভিউ নিলেও সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি। ৯ বলে জাকেরের রান ৩।
এই পরিস্থিতি থেকে স্কোরবোর্ডে ২০০ রান জমা করাই অনেক দূরের পথ মনে হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য। ক্রিজে আছেন মাহমুদউল্লাহ ২৬ বলে ৮ রানে। নতুন ব্যাটার হিসেবে নেমেছেন রিশাদ হোসেন।
সম্ভাবনাময় জুটি শেষ আফিফের বিদায়ে
প্রতিরোধ তৈরি করে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন আফিফ হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ইতিবাচক ঢঙে খেলছিলেন আফিফ। কিন্তু বড় শট খেলতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না তিনি। ইতি ঘটল ৪৮ বলে ৩৬ রানের সম্ভাবনাময় জুটির।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার গুদাকেশ মোতির ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি স্লগ সুইপ করতে চেয়েছিলেন আফিফ। কিন্তু ব্যাটে-বলে সংযোগ হলো না ঠিকঠাক। ক্যাচ গেল লংঅফে থাকা শেরফাইন রাদারফোর্ডের হাতে। ২৯ বলে চারটি চারে আফিফের রান ২৪।
বাংলাদেশের বিপদ বাড়িয়ে দলীয় ১০০ রানে আউট হলেন আফিফ। ১৯ ওভার শেষে টাইগারদের রান ৫ উইকেটে ১০১। ক্রিজে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ আছেন ২২ বলে ৭ রানে। তার সঙ্গে নতুন ব্যাটার জাকের আলী অনিক খেলছেন ১ বলে ১ রানে।
তানজিদ ফেরায় চাপ বাড়ল বাংলাদেশের
পরপর দুই ওভারে ২ উইকেট পড়ল বাংলাদেশের। এতে তাদের ওপর জেঁকে বসা চাপ আরও বাড়ল। দলীয় ৬৪ রানে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে বিদায় নিলেন তানজিদ হাসান তামিম।
প্রথম ওয়ানডের মতো একই কায়দায় আউট হলেন বাঁহাতি ওপেনার। জাস্টিন গ্রিভসের আগের দুই বলে চার মারার পর ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দিলেন তিনি। ইতি ঘটল সম্ভাবনাময় একটি ইনিংসের। ৩৩ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় তানজিদের রান ৪৬। ভীষণ হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি।
১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৬৪। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আফিফ হোসেন। তাদের কাঁধে এখন দলকে পথে ফেরানোর দায়িত্ব।
টিকলেন না মিরাজও
লিটন দাসের মতো অদ্ভুত কায়দায় না হলেও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের আউটও বিস্ময় জাগানোর মতো। দশম ওভারের পঞ্চম ডেলিভারিটি খেলবেন নাকি ছেড়ে দেবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন তিনি। বল তার ব্যাটের নিচের অংশে লেগে আঘাত করল স্টাম্পে।
৫ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফিরলেন মিরাজ। ফলে দলীয় ৫৪ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ল বাংলাদেশ দল। তাকে বিদায় করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার জেডেন সিলস ধরলেন তৃতীয় শিকার।
১০ ওভার অর্থাৎ প্রথম পাওয়ার প্লে শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৫৫ রান। আগ্রাসী মেজাজে থাকা ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম একপ্রান্ত ধরে রেখেছেন। তার রান ৩০ বলে ৩৮। তানজিদের নতুন সঙ্গী আফিফ হোসেন খেলছেন ১ বলে ১ রানে।
অদ্ভুত শটে আউট লিটন
তিন নম্বরে ক্রিজে গিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না লিটন দাস। ইনিংসের শুরু থেকেই রান বের করতে ভুগছিলেন তিনি। তার দুর্দশার অবসান ঘটল অদ্ভুত শটে। টেস্টের মেজাজে খেলে ১৯ বলে মাত্র ৪ রানে আউট হলেন।
ধৈর্য হারিয়ে অফ স্টাম্পের বাইরের বাউন্সার পুল করতে গিয়ে পুরোপুরি ব্যর্থ হলেন লিটন। তার ব্যাটের নিচের কানায় লেগে পয়েন্টে ওঠা ক্যাচ অনায়াসে তালুবন্দি করলেন এভিন লুইস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার জেডেন সিলস ধরলেন দ্বিতীয় শিকার।
অষ্টম ওভারের শেষ বলে বিদায় নিলেন থিতু হতে না পারা লিটন। এই পর্যায়ে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৪১। ক্রিজে আছেন ওপেনার তানজিদ হাসান ২৪ বলে ৩৩ রানে। তার নতুন সঙ্গী মাত্রই নামা অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
সৌম্যর বিদায়ে ভাঙল উদ্বোধনী জুটি
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অভিষিক্ত পেসার মার্কিনো মিন্ডলির ওপর চড়াও হলেন তানজিদ হাসান। শেষ তিনটি ডেলিভারিতে বাঁহাতি ওপেনার টানা মারলেন চার, ছক্কা ও ছক্কা। সব মিলিয়ে ওই ওভার থেকে উঠল ১৮ রান।
তানজিদ একপ্রান্তে ঝড় তুললেও আরেক বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য সরকার অন্যপ্রান্তে টিকতে পারলেন না। চতুর্থ ওভারের শুরুতেই তুলে মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেললেন তিনি। জেডেন সিলসের লেংথ ডেলিভারিতে মিড অনে গুদাকেশ মোতি নিলেন সহজ ক্যাচ। ৫ বলে সৌম্যর রান ২।
বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি থামল ২৬ রানে। ৪ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৮ রান। ক্রিজে তানজিদ খেলছেন ১৫ বলে ২৫ রানে। তার সঙ্গী লিটন দাস অপরাজিত আছেন ৪ বল ১ রানে।
বাংলাদেশের একাদশে তাসকিনের জায়গায় শরিফুল
একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ দলও। ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদের জায়গায় ফিরলেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। আগের মতো তিন পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে নামছে টাইগাররা। প্রয়োজন হলে হাত ঘোরাতে পারেন মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন ও সৌম্য সরকার।
বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও নাহিদ রানা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের একাদশে একটি পরিবর্তন
ওয়েস্ট ইন্ডিজের একাদশে পরিবর্তন এসেছে একটি। ডানহাতি পেসার আলজারি জোসেফ জায়গায় সুযোগ পাওয়া আরেক ডানহাতি পেসার মার্কিনো মিন্ডলির ওয়ানডে অভিষেক হবে এই ম্যাচ দিয়ে। ২০২২ সালে ক্যারিবিয়ানদের হয়ে অবশ্য একটি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: ব্র্যান্ডন কিং, এভিন লুইস, কেসি কার্টি, শেই হোপ (অধিনায়ক), শেরফেইন রাদারফোর্ড, রোস্টন চেইস, রোমারিও শেফার্ড, জাস্টিন গ্রিভস, গুদাকেশ মোতি, মার্কিনো মিন্ডলি ও জেডেন সিলস।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস ভাগ্য যায়নি বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের পক্ষে। টস জিতলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলনেতা শেই হোপ। তিনি বেছে নিলেন আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত। টাইগারদের তাই শুরুতে নামতে হবে ব্যাটিংয়ে।
বাংলাদেশের সিরিজ বাঁচানোর লড়াই
গত রোববার সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই সংস্করণে দুই দলের লড়াইয়ে টানা ১১ জয়ের পর স্বাগতিকদের কাছে হার মানে টাইগাররা। একই ভেন্যুতে মঙ্গলবার মেহেদী হাসান মিরাজের দল নামবে সিরিজ বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে। অন্যদিকে, ক্যারিবিয়ানদের সামনে রয়েছে এক দশক পর সিরিজ জয়ের হাতছানি। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়।
বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল ২০১৪ সালে। এরপর দুই দলের চারটি সিরিজই জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ দুটিতে আবার ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করেছে তারা।
Comments