প্রথম বিদেশ সফরে ভারত গেছেন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট অনুঢ়া

পার্লেমেন্টের অধিবেশন থেকে বের হয়ে হাত নেড়ে অভিবাদন জানাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট অনুঢ়া। ফাইল ছবি: রয়টার্স
পার্লেমেন্টের অধিবেশন থেকে বের হয়ে হাত নেড়ে অভিবাদন জানাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট অনুঢ়া। ফাইল ছবি: রয়টার্স

শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট অনুঢ়া কুমারা দিশানায়েকে প্রথম বিদেশ সফরে ভারত গেছেন।

আজ সোমবার তিনি ভারতে এসে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

তিনি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছেন।

প্রথাগত ভাবে, এই দ্বীপরাষ্ট্রের যেকোনো নতুন শাসক সাধারণত প্রথম বিদেশ সফরের গন্তব্য হিসেবে শক্তিশালী প্রতিবেশী ভারতকেই বেছে নেন।

বামপন্থি দিশানায়েকে সেপ্টেম্বরে ক্ষমতা গ্রহণ করে দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করার অঙ্গীকার করেন।

আজ সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি।

দিশানায়েকে জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে তিনি ভারতের অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।

এক বিবৃতিতে দিশানায়েকে বলেন, 'আমাদের আলোচনায় ভারত-শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পর্যটন ও জ্বালানি খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো বিষয়গুলো উঠে এসেছে।'

'এসব আলোচনায় দুই জাতির মধ্যে চলমান পারষ্পরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক অব্যাহত রাখার প্রতি অঙ্গীকার প্রকাশ পেয়েছে', যোগ করেন তিনি।

এর আগে নয়াদিল্লি শ্রীলঙ্কায় বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ভারত সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শ্রীলঙ্কায় অবকাঠামোগত প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়ালেও চীন শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় দ্বিপাক্ষিক ঋণদাতা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে।

২০২৫ এর শুরুতেই চীন সফরে যাবেন দিশানায়েকে।

২০২২ সালে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে পড়ে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি। শূন্য হয়ে পোড়ে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ। এ সময় দেশটিতে সরকারের পতন হলে অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রপতি ক্ষমতা গ্রহণ করেন।

এর পর এ বছরের সেপ্টেম্বরে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেন বামপন্থি নেতা অনুঢ়া কুমারা দিশানায়েকে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago