মুক্তিযুদ্ধে সিরাজগঞ্জের পলাশডাঙ্গা যুব শিবির

(১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সারা বাংলাদেশে একাধিক আঞ্চলিক বাহিনী গড়ে উঠেছিল। বেঙ্গল রেজিমেন্টের নিয়মিত বাহিনীর প্রশিক্ষিত ও সাব সেক্টরের অধীনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ঠিক তেমনি আঞ্চলিক বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারাও পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিটি যুদ্ধে অসীম বীরত্ব দেখিয়েছেন। বিজয়ের মাসে আমরা তুলে ধরছি সেইসব বাহিনীর কথা। নবম পর্বে থাকছে পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের বীরত্বগাঁথা।)

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের প্রত্যন্ত গ্রাম জাঙ্গালিয়াগাতি। মুক্তিযুদ্ধের সময় সেই গ্রামেই পাঁচ ছাত্রনেতার উদ্যোগে গড়ে উঠেছিল পলাশডাঙ্গা যুব শিবির নামের একটি আঞ্চলিক গেরিলা বাহিনী। কালক্রমে যা হয়ে উঠেছিল ৬০০ মুক্তিযোদ্ধার এক বিশাল বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধে দেশের অভ্যন্তরে যে কয়টি আঞ্চলিক বাহিনী যুদ্ধ পরিচালনা করেছিল পলাশডাঙ্গা যুব শিবির ছিল তার মধ্যে অন্যতম।

ঢাকা-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের কড্ডার মোড় ধরে কয়েক কিলোমিটার এগুলেই রাস্তার বাম দিকে চোখে পড়ে সুদৃশ্য এক স্মৃতিসৌধের। মুক্তিযুদ্ধকালে পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব ও অসীম সাহসিকতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে স্মৃতিসৌধটি। পাশেই পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের ৪৮৫ জন মুক্তিযোদ্ধার নাম সম্বলিত একটি তালিকা।

পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্ব ও অসীম সাহসিকতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কড্ডার মোড়ের কাছের এই স্মৃতিসৌধ। ছবি: আহমাদ ইশতিয়াক

স্মৃতিসৌধের পাশ দিয়ে পশ্চিম দিকের রাস্তা ধরে এগোলেই দেখা মিলবে মধ্য ভদ্রঘাট, বাজার ভদ্রঘাট, বসাকপাড়া, কালীবাড়ি ভদ্রঘাটসহ বিভিন্ন পাড়ার। মোট ২৭টি পাড়া বা গ্রাম নিয়ে গঠিত ভদ্রঘাট ইউনিয়নের তেমনই একটি পাড়া জাঙ্গালিয়াগাতি।

পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের উপর বিস্তারিত প্রতিবেদনের কাজে চলতি বছরের মে মাসে সিরাজগঞ্জ ও পাবনার বেশ কয়েকটি উপজেলা এই বাহিনীর ত্রিশ জনেরও বেশি মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কথা বলে ডেইলি স্টার।

পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের নেতৃস্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের ২৪ এপ্রিল ট্রেনে করে পাবনার ঈশ্বরদী থেকে পাকিস্তানি সেনারা সিরাজগঞ্জে আসছিল। পাকিস্তানিদের আগমনের খবর পেয়ে সিরাজগঞ্জ কলেজের সাবেক ভিপি লতিফ মির্জার নেতৃত্বে শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা উল্লাপাড়ার ঘাঁটিনা রেলসেতুতে অতর্কিত আক্রমণ চালান।

তখন পাকিস্তানি সেনারা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুললে শুরু হয় সংঘর্ষ। প্রায় ৩ ঘণ্টা ব্যাপী চলমান রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাঁচ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। শহীদ হন ২০ জন মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধের একপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটেন।

তখন লতিফ মির্জার নেতৃত্বে সিরাজগঞ্জের অর্ধশত নেতাকর্মী প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে যান।

এসময় সিরাজগঞ্জ কলেজের আরও কয়েকজন ছাত্রনেতা ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেও ঈশ্বরদীর মুলাডুলি স্টেশনে বাধার মুখে পড়েন। তারা হলেন সিরাজগঞ্জ কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি সোহরাব আলী সরকার, প্রো-ভিপি লুৎফর রহমান মাখন, ছাত্রনেতা আব্দুল আজিজ সরকার, শফিকুল ইসলাম শফি ও মনিরুল কবির। ভারত যাত্রায় ব্যর্থ হয়ে মে মাসের শেষের দিকে এই ছাত্রনেতারা ভদ্রঘাট ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়াগাতি গ্রামের চান্দু শেখের বাড়িতে আশ্রয় নেন।

তৎকালীন সিরাজগঞ্জ মহকুমা প্রশাসক এ কে শামসুদ্দিন ও সাব-ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার আনোয়ারুল হক লস্করের সহযোগিতায় ১৩টি রাইফেলের জোগান পান এই ছাত্রনেতারা।

সেই রাইফেল নিয়ে ছুটিতে থাকা বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেনা লুৎফর রহমান অরুণের তত্ত্বাবধানে গোপনীয়তার সঙ্গে শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের কাজ। একপর্যায়ে জহির উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন তরুণ ও কান্দাপাড়া থেকে ১৫ জন তরুণ দলে যোগ দিলে বাহিনীর পরিসর বাড়ে।

প্রথমদিকে মুক্তিযোদ্ধারা চান্দু শেখের বাড়িতে থাকলেও একপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বাড়লে হরেন্দ্রনাথ বসাকের বাড়ির দুটি ঘরের একটিকে অস্ত্রাগার ও আরেকটিকে বসবাসের আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নেন মুক্তিযোদ্ধারা।

একপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা আরও বাড়লে পার্শ্ববর্তী রশিদ, সুকুমার, হারান মাস্টারের বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়ি ও কালীবাড়ি ভদ্রঘাট স্কুলে আশ্রয় নেন মুক্তিযোদ্ধারা।

মে মাসে ছাত্রনেতা আবদুল লতিফ মির্জার নেতৃত্বে ৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা ভারত থেকে প্রশিক্ষণ শেষে বাহিনীতে যুক্ত হন। লতিজ মির্জার আগমনের সঙ্গে বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার হয়। লতিফ মির্জার জনপ্রিয়তা ও বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের কর্মতৎপরতায় ক্রমেই বাহিনীর পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চলগুলোতেও।

৬ জুন মুক্তিযোদ্ধার উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে বাহিনীর নামকরণ করা হয় 'পলাশডাঙ্গা যুব শিবির'।

যে কারণে বাহিনীর নাম 'পলাশডাঙ্গা যুব শিবির'

ভদ্রঘাট বা পার্শ্ববর্তী কোনো এলাকার নাম পলাশডাঙ্গা না হলেও কেন বাহিনীর নাম পলাশডাঙ্গা যুব শিবির রাখা হলো জানতে চাই বাহিনীর সহকারী পরিচালক আব্দুল আজিজ সরকারের কাছে। তিনিই এই নামটি উত্থাপন করেছিলেন।

তিনি বলেন, 'পলাশীর প্রান্তরে নামানুসারে 'পলাশ', খালের পাশের বাড়িতে প্রথম আশ্রয় নেয়ায় 'ডাঙ্গা', আমরা সবাই যেহেতু যুবক তাই যুব, আর সংগঠন নাম 'শিবির'। সবকিছু মিলিয়েই 'পলাশডাঙ্গা যুব শিবির'। আর জাঙ্গালিয়াগাতি বা ভদ্রঘাট লিখলে আমাদের ধরা পড়ার ভয় ছিল, সে কারণেই ঠিকানা পলাশডাঙ্গা করা হয়েছিল।'

মুক্তিযুদ্ধের প্রথম পর্যায়ে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রতি রাতেই মুক্তিযোদ্ধারা ছোটখাটো অপারেশনে বের হতেন। এসব অপারেশনে রাজাকার ও পাকিস্তানিদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের একাধিক খন্ড যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।

১৭ জুন ভোরে পাকিস্তানি সেনারা ভদ্রঘাটে আক্রমণ চালায়। মুহূর্তেই প্রতিরোধ গড়ে তুলেন ক্যাম্পে থাকা শতাধিক মুক্তিযোদ্ধাও। যুদ্ধে এক পাকিস্তানি সেনা মারা যায়। তখন বাড়তি পাকিস্তানি সেনা এসে যোগ দিলে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটতে বাধ্য হন।

মুক্তিযোদ্ধারা ভদ্রঘাট ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। ভদ্রঘাটের ছোট্ট গ্রাম জাঙ্গালিয়াগাতিতে সৃষ্ট পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের মুক্তিযোদ্ধারা সিরাজগঞ্জ মহকুমা সদর থেকে উল্লাপাড়া, বেলকুচি, শাহজাদপুর, তাড়াশ, পাবনার ফরিদপুর, সাথিয়া, ভাঙ্গুড়া থেকে নাটোরের গুরুদাসপুর হয়ে বগুড়ার শেরপুর পর্যন্ত এক বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধকালে এই বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নিয়েছিলেন ছোট বড় অন্তত ৫১টি যুদ্ধে। এসব যুদ্ধে নিহত হয়েছিল কয়েকশ পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকার।

মুক্তিযুদ্ধে পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের সর্ববৃহৎ যুদ্ধ ছিল তাড়াশ থানার নওগাঁ হাটের যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের ১০ নভেম্বর রাতে লতিফ মির্জার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা নওগাঁ বাজার সংলগ্ন এলাকায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। রাজাকারদের সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে পাকিস্তানি সেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের ঘিরে ফেলে। এসময় মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুললে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ভোর ৫টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত টানা ১০ ঘণ্টা যুদ্ধের একপর্যায়ে টিকতে না পেরে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করে। যুদ্ধে ১৩০ জন পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকার নিহত হয়।

নওগাঁর যুদ্ধে অংশ নেয়া বাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার লুৎফর রহমান মাখন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নওগাঁ বাজারের পাশেই শাহ শরীফ জিন্দানির মাজার। সেদিন মাজার এলাকা ও নদীর পাড়ে আমরা যে যুদ্ধ করেছিলাম সেই যুদ্ধটি ছিল উত্তরাঞ্চলের সর্ববৃহৎ গেরিলা যুদ্ধ। যুদ্ধ শেষে পাকিস্তানি অফিসার ক্যাপ্টেন সেলিমসহ ৯ পাকিস্তানি সেনা আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। আমরা তখন প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ পেয়েছিলাম।'

নওগাঁ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের খবর একাধিকবার স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয়েছিল।

নওগাঁ যুদ্ধ ছাড়াও পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের মুক্তিযোদ্ধারা একাধিক যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। এসব যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থানার যুদ্ধ, ঘাটিনা ব্রিজ অপারেশন, জামতৈল ব্রিজ অপারেশন, পাবনার ভাঙ্গুড়ার দিলপাশার ব্রিজ অপারেশন, সাঁথিয়া থানার কাশিনাথপুরের যুদ্ধ, বেড়া উপজেলার ডাববাগান যুদ্ধ, ঘাটনা যুদ্ধ, ফরিদপুর সাঁথিয়া ও গুরুদাসপুর থানা আক্রমণ, কৈডাঙ্গা ব্রিজের যুদ্ধ, ঝাঐল ব্রিজ অপারেশন প্রভৃতি।

মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের মুক্তিযোদ্ধারা নিয়মিতই রাজাকার ক্যাম্পে অতর্কিত আক্রমণ চালাতেন।

পলাশডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধারা যেসব রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমণ চালিয়েছেন এগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল সলংগা রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ, বস্তুলের মফিজ মাদানীর ক্যাম্প আক্রমণ, মান্নাননগর রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ ধামাইচ হাটের রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ প্রভৃতি।

মুক্তিযুদ্ধে পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ একটি যুদ্ধ ছিল তাড়াশ থানার যুদ্ধ। জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাহিনীর শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার একটি দল তাড়াশ থানা আক্রমণের পর দখল করে ২০টি থ্রি নট থ্রি রাইফেল নিজেদের আয়ত্তে নেন।

অপারেশনের দল নেতা আবদুর রহমান বলেন, 'বিকেল পাঁচটার দিকে নৌকা যোগে এসে কেউ কিছু না বোঝার আগেই আমরা থানা আক্রমণ করি। থানার সমস্ত রাইফেল ও গোলাবারুদ আমরা নিজেদের জিম্মায় নিয়ে নিই।'

পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে চলন বিলের মধ্যেই অবস্থান করেছিলেন তারা। চলন বিল থেকেই তারা গিয়ে যুদ্ধে অংশ নিতেন। চলনবিল দুর্গম হওয়ায় পাকিস্তানিদের পক্ষে চলনবিলে প্রবেশ করা সম্ভব হয়নি।

বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা হার্শেদুল ইসলাম বলেন, 'চলনবিলের মধ্যে উল্লাপাড়ার গয়াহাটা ও কালিয়াকৈরে আমাদের বাহিনীর দুটি ট্রেনিং ক্যাম্প ছিল। ধরাইল বিলে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের একটি আস্তানা ছিল।

মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা বেশিরভাগ সময়ই নৌকায় অবস্থান করতেন। বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমান বলেন, 'ভদ্রঘাটের যুদ্ধের পর আমাদের নির্দিষ্ট কোনো ক্যাম্প ছিল না। চলাচলের বাহন হিসেবে আমরা ৫৪টি নৌকা ব্যবহার করতাম। নৌকায় চলাচল করেই আমরা পাকিস্তানিদের ক্যাম্প আক্রমণ করতে যেতাম।'

বাহিনীর রসদ সরবরাহের ব্যবস্থা কীভাবে হতো জানতে চাইলে বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান বলেন, 'স্থানীয় জনসাধারণ থেকে পাওয়া স্বতঃস্ফূর্ত সাহায্যেই বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার ও রসদ সরবরাহের জোগান হতো।'

সামরিক ও রাজনৈতিক বিভাগের পাশাপাশি পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের একটি গুপ্তচর বিভাগও ছিল। সেইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের একটি চিকিৎসা বিভাগও ছিল। যার তত্ত্বাবধান করতেন ডা. গাজী সিরাজ উদ্দিন।

দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে বাংলাদেশ সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর হাতে অস্ত্র জমা দেন পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরের মুক্তিযোদ্ধারা।

 

Comments

The Daily Star  | English

Fire breaks out at Korail slum

Five fire engines are rushing to the spot after the blaze originated around 4:15pm

41m ago