ভারত হাসিনাকে ফেরত না পাঠালে আইসিসির সহযোগিতা নিতে পারবে বাংলাদেশ: টবি ক্যাডম্যান
আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যান আশা প্রকাশ করেছেন, ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, তারা বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি সম্মান জানিয়ে জুলাই গণহত্যার প্রধান আসামি শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে।
আজ বুধবার ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর ও তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
টবি ক্যাডম্যানের সঙ্গে আলোচনা শেষে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, 'টবি ক্যাডম্যান আমাদের প্রসিকিউশন ও ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির সঙ্গে মিটিং করেছেন৷ ইতোমধ্যে আমরা যে কাজগুলো করেছি সেগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে জেনে তিনি ইমপ্রেস হয়েছেন৷ আইসিটি আইনের যে সংশোধনগুলো হয়েছে, তা খুব কাজের হয়েছে৷ আরও দু-একটি বিষয়ে সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে, সে বিষয়ে সমন্বিতভাবে আলোচনা করা হবে৷'
তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে আনার বিষয়ে টবি ক্যাডম্যান বলেছেন যে, ভারত যেহেতু একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, তারা গণতন্ত্রের নিয়ম ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবেন এবং আনুষ্ঠানিক অনুরোধ যদি বাংলাদেশ সরকার করে, তাহলে সেটার প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাবেন৷'
তিনি আরও বলেন, 'টবি ক্যাডম্যান এটাও বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ফরম্যাল চার্জ হওয়ার পরে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার যদি ভারতের কাছে অনুরোধ জানায় এবং ভারত যদি ফেরত না পাঠায়, তাহলে তার অনুপস্থিতিতেই ট্রায়ালের বিবেচনা করবেন৷ এমনকি প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কোনো সহযোগিতা নেওয়া যায় কি না, সেটি পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নেবে৷'
'কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড থাকলে যে যেসব রাষ্ট্র আসামিকে ফেরত পাঠাতে চান না, সেসব রাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের বাস্তবতাটা ভিন্ন৷ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে মৃত্যুদণ্ডের যে বিধান রয়েছে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কেবল রয়েছে আদালতের৷ আদালতই ঠিক করবেন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে কি না৷ বাংলাদেশ সরকার এই আইনে মৃত্যুদণ্ডের বিধানটি অ্যাবলিস করবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বাংলাদেশের জনগণের চাহিদা ও বাস্তবতার আলোকে,' যোগ করেন তিনি।
Comments