মুক্তিযুদ্ধে টাঙ্গাইলের বাতেন বাহিনী

(১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সারা বাংলাদেশে একাধিক আঞ্চলিক বাহিনী গড়ে উঠেছিল। বেঙ্গল রেজিমেন্টের নিয়মিত বাহিনীর প্রশিক্ষিত ও সাব সেক্টরের অধীনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ঠিক তেমনি আঞ্চলিক বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারাও পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিটি যুদ্ধে অসীম বীরত্ব দেখিয়েছেন। বিজয়ের মাসে আমরা তুলে ধরছি ১০টি বাহিনীর কথা। চতুর্থ পর্বে আজ থাকছে বাতেন বাহিনীর অনন্য বীরত্বগাঁথা।)

মুক্তিযুদ্ধের সময় টাঙ্গাইলের কাদেরিয়া বাহিনীর বীরত্বের ইতিহাস প্রায় সবারই জানা। ঠিক একই সময়ে টাঙ্গাইলে গড়ে উঠেছিল আরও একটি দুর্ধর্ষ আঞ্চলিক বাহিনী। টাঙ্গাইলের সা'দত কলেজ ছাত্র সংসদের তৎকালীন ভিপি খন্দকার আবদুল বাতেনের নেতৃত্বে গঠিত সাড়ে তিন হাজার মুক্তিযোদ্ধার বাহিনীটি পরবর্তীতে পরিচিতি পেয়েছিল বাতেন বাহিনী নামে।

টাঙ্গাইলের নাগরপুরের কনোড়া গ্রামকে কেন্দ্র করে বাহিনীটি প্রথমে গঠিত হলেও পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা এমনকি গাজীপুর জেলাতেও এই বাহিনীর বিস্তৃতি ছিল।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ ও মানিকগঞ্জের বেশ কয়েকটি উপজেলায় বাতেন বাহিনীর প্রায় ৪০ জন মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কথা হয় ডেইলি স্টারের।

মীর শামছুল আলম শাহজাদা সম্পাদিত 'মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ-১৯৭১ বাতেন বাহিনী' বই থেকে ও বাতেন বাহিনীর একাধিক নেতৃস্থানীয় মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২৫ মার্চ কালরাতে গণহত্যা পরবর্তীতে ২ এপ্রিল শামছুল আলম শাহজাদার নেতৃত্বে কোনড়া গ্রামে প্রাথমিকভাবে ১০ সদস্যের একটি প্রতিরোধ কমিটি গঠিত হয়। ৩ এপ্রিল নিজ গ্রাম কোনড়ায় এসে কোনড়া ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামের ছাত্র, তরুণ, যুবকদের যুদ্ধের জন্য সংগঠিত করতে শুরু করেন খন্দকার আবদুল বাতেন।

১৯৭১ সালে একটি অপারেশনের সময় বাতেন বাহিনীর ছবি। ছবি কৃতজ্ঞতা: মীর শামসুল আলম শাহজাদা

৩ এপ্রিল সংঘটিত সাটিয়াচরা যুদ্ধে পালিয়ে আসা দুজন ইপিআর সেনার কাছ থেকে পাওয়া ২টি রাইফেল ও ৪৫ রাউন্ড গুলিই ছিল বাতেন বাহিনীর প্রথম অস্ত্রের সম্বল। এ বিষয়ে বাতেন বাহিনীর সদস্য শামছুল আলম শাহজাদা বলেন, 'ইপিআর সদস্যরা অস্ত্রগুলো প্রথমে লাউহাটী ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমানের কাছে দিয়েছিল। তিনি আমাদের সংগঠিত হওয়ার খবর শুনে অস্ত্র ও গুলিগুলো আমাদের দেন।'

এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে আতোয়ার রহমান খন্দকার বাতেনকে আরও বেশ কয়েকটি রাইফেলের সন্ধান দিলে তারুটিয়া গ্রামের একটি ডোবা থেকে ৮টি রাইফেল উদ্ধার করেন মুক্তিযোদ্ধারা। উদ্ধারকৃত এসব অস্ত্র দিয়ে পাকাপাকিভাবে শুরু হয় বাতেন বাহিনীর সশস্ত্র প্রশিক্ষণ।

২০ এপ্রিল সিদ্দিক হোসেনের নেতৃত্বে স্থানীয়ভাবে সংগঠিত একটি মুক্তিযোদ্ধা দল অস্ত্রসহ বাতেন বাহিনীতে যোগ দিলে বাহিনীর সক্ষমতা অনেকাংশে বেড়ে যায়।

সিদ্দিক হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পরপরই শাহজানীতে স্থানীয় লোকদের আমরা যুদ্ধের জন্য সংগঠিত করেছিলাম। যুদ্ধ শুরু হলে স্থানীয়ভাবে কিছু অস্ত্র জোগাড় করে ট্রেনিং শুরু করি। এছাড়া পাকুল্লার যুদ্ধে পলাতক ইপিআর সেনাদের মাধ্যমে পাওয়া অস্ত্রসহ সবমিলিয়ে ৩০-৩৫টি রাইফেল ও একটি এলএমজি নিয়ে আমরা বাতেন বাহিনীতে যোগ দিই।'

এপ্রিলের শেষের দিকে ফজলুল হক মল্লিকের নেতৃত্বে ৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধার আরেকটি দল অস্ত্র, গোলাবারুদসহ বাতেন বাহিনীতে যোগ দেয়।

প্রশিক্ষণের পাশাপাশি লাউহাটী বাজারে স্থাপিত হয়েছিল বাহিনীর রিক্রুটিং সেন্টারও। বাতেন বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক বলেন, 'প্রথমে লাউহাটীতে প্রশিক্ষণ দেয়া হলেও পরে টাঙ্গাইলের শাজানীর চর ও মানিকগঞ্জের তিল্লীগ্রামে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প খোলা হয়েছিল।'

প্রথমদিকে বাতেন বাহিনীতে স্থানীয়রা যোগ দিলেও এ পর্যায়ে সর্বস্তরের মানুষের পাশাপাশি যোগ দেন ছুটিতে ও পালিয়ে আসা বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইপিআর, পুলিশ, আনসার সদস্যরাও।

'মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ-১৯৭১ বাতেন বাহিনী' গ্রন্থ সূত্রে জানা যায় ৪১টি কোম্পানি, ১২৩টি প্লাটুন ও ৩৭০টি সেকশনের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল বাতেন বাহিনী।

মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ৫০টিরও বেশি অপারেশনে অংশ নিয়েছিলেন বাতেন বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা। এসব যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও হাজারের বেশি পাকিস্তানি সেনা হতাহত হয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধের এপ্রিল মাস থেকে তৎপরতা শুরু হলেও মে মাস থেকেই মূলত সফল অপারেশন পরিচালনা করতে শুরু করেন বাতেন বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার সাম্প্রতিক ছবি। যুদ্ধ চলাকালীন বাতেন বাহিনী তিনবার এই স্টেশনে অপারেশন চালায়। ছবি: আহমাদ ইশতিয়াক

মুক্তিযুদ্ধে বাতেন বাহিনীর প্রথম সফল অপারেশন ছিল মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানা আক্রমণ। বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা গোপনসূত্রে জানতে পারেন থানায় বেশকিছু পাকিস্তানি সেনা, মিলিশিয়া, পুলিশ অবস্থান করছে। সিদ্ধান্ত হয় খন্দকার বাতেন ও সুবেদার বারীর নেতৃত্বে দুটি গ্রুপ থানা আক্রমণে অংশ নেবে। ৪ মে রাতে নৌকায় করে সিঙ্গাইর পৌঁছান মুক্তিযোদ্ধারা।

অপারেশনে অংশ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মল্লিক বলেন, 'গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেই সেদিন রাত ১১টায় দুই পাশ থেকে আমরা থানায় আক্রমণ করি। এসময় থানায় থাকা পাকিস্তানি সেনারা দিশেহারা হয়ে পড়লেও একপর্যায়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। দুই ঘণ্টা যুদ্ধের পর টিকতে না পেরে ওরা পালিয়ে গেলে আমরা থানা থেকে প্রচুর অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার করি।'

৫ মে ল্যান্স নায়েক মোখলেসুর রহমানের নেতৃত্বে বাহিনীর আরেকটি দল মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানায় আক্রমণের পর থানা দখল করে বেশকিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেন।

১৭ মে বাতেন বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ চালান দৌলতপুর থানায়। তিন ঘণ্টার যুদ্ধের পরে থানা দখল করে ১৮ মে থানায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন বাহিনী প্রধান খন্দকার আবদুল বাতেন।

২০ মে দিবাগত রাতে বাতেন বাহিনীর চারজন মুক্তিযোদ্ধা সিরাজগঞ্জের চৌহালি থানায় ঢুকে ঘুমন্ত পাকিস্তানি সেনাদের পাশ থেকে ১১টি জি থ্রি ও ১২টি টি থ্রি রাইফেলসহ প্রচুর গোলাবারুদ নিয়ে নৌকায় করে পালিয়ে যান।

মে মাসের শেষের দিকে ঘিওর হাটের দিন সুকৌশলে বিক্রেতার ছদ্মবেশে মুক্তিযোদ্ধারা বিনা বাধায় ঘিওর থানা দখল করেন।

একই সময়ে বাতেন বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা ধল্লা ব্রিজে অপারেশনে চালিয়ে ২০ জন রাজাকারকে বেঁধে ফেলে অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিনিয়ে নেন।

টানা কয়েকটি যুদ্ধে অংশ নেয়ায় একপর্যায়ে গুলির অভাবে পড়ে বাতেন বাহিনী। তখন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মানিকগঞ্জের জাব্রা ব্রিজের কাছের একটি গ্রাম থেকে ১৭ বাক্স গুলি উদ্ধার করেন বাতেন বাহিনীর দুই কোম্পানি মুক্তিযোদ্ধা।

ফেরার পথে গ্রামবাসীরা বাহিনী প্রধান খন্দকার বাতেনকে পাকিস্তানিদের গানবোটে আক্রমণের অনুরোধ জানায়। প্রতি সপ্তাহেই পাকিস্তানি সেনারা একটি গানবোট দিয়ে বিভিন্ন গ্রামে লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ করে আসছিল।

গানবোটটিতে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়ে নদীর দুপাড়ে বাঙ্কার খুঁড়ে অবস্থান নেন মুক্তিযোদ্ধারা। প্রথমদিন না এলেও দ্বিতীয় দিন গভীর রাতে গানবোটটি মুক্তিযোদ্ধাদের অ্যামবুশ পজিশনে ঢুকতেই গর্জে উঠে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলে পাকিস্তানিরাও। কিন্তু নদীর দুদিক থেকে আসা গুলিতে গানবোটে থাকা ৩৮ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। ৫ জনকে আহত অবস্থায় আটকের পাশাপাশি গানবোট থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেন মুক্তিযোদ্ধারা।

জুন মাসের শেষ সপ্তাহে বর সাজে খাসকাউলিয়া গ্রামে রাজাকার নিধন ছিল মুক্তিযুদ্ধে বাতেন বাহিনীর আরেকটি উল্লেখযোগ্য অপারেশন।

জুলাই মাসে অস্ত্র সংগ্রহের জন্য খন্দকার আবদুল বাতেন ভারত গেলে বাহিনীর অস্থায়ী প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন অস্ত্র বিভাগের প্রধান আবুল কালাম আজাদ। ভারত যাওয়ার পরবর্তীতে খন্দকার বাতেনের ভারতে বন্দী হওয়ার খবর প্রচারিত হলে বাতেন বাহিনী ভাঙনের মুখোমুখি হয়। এসময়ে আবুল কালাম আজাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাহিনী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পায়।

১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে সাটুরিয়া থানায় দ্বিতীয়বার আক্রমণ ছিল বাতেন বাহিনীর একটি উল্লেখযোগ্য অপারেশন। ১৩ আগস্ট রাতে সাটুরিয়া থানায় আক্রমণ চালিয়ে থানা দখল করে ১৪ আগস্ট থানায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযোদ্ধারা। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেয়া হয় সাটুরিয়ার খাদ্য গুদামও।

বাতেন বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনগুলোর একটি ছিল নভেম্বর মাসে দ্বিতীয়বারের মতো সাটুরিয়া থানায় আক্রমণ। এই যুদ্ধে বাহিনীর ৫০০ মুক্তিযোদ্ধার পাশাপাশি অংশ নিয়েছিলেন সাটুরিয়ার সর্বস্তরের জনতা। যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে শহীদ হন বাতেন বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়ারত হোসেন।

ঐতিহাসিক সেই যুদ্ধে অংশ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার বলেন, 'পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাত ৩টার দিকে আমরা থানায় আক্রমণ করি। পাকিস্তানিরাও এসময় থানার ভেতর থেকে পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। কয়েক ঘণ্টা যুদ্ধের পর ভোর হয়ে গেলে আশপাশের গ্রামের মানুষ দা, লাঠি নিয়ে যে যা পারল তা নিয়েই থানায় হামলা করতে এগিয়ে এল। টানা আট ঘণ্টা যুদ্ধের পর একপর্যায়ে গুলির অভাবে পাকিস্তানি সেনারা একপর্যায়ে বহু লাশ, অস্ত্র-শস্ত্র রেখে পালিয়ে গেল।'

থানা দখলের পরবর্তীতে জনতার উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তব্যে সাটুরিয়াকে জিয়ারতনগর হিসেবে ঘোষণা করেন বাতেন বাহিনীর বেসামরিক প্রধান আলী আকবর খান ডলার। নভেম্বরের শেষে টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানাও দখল করেন বাতেন বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা।

মুক্তিযুদ্ধের ৭ ডিসেম্বর বাতেন বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে নৌকা ডুবে ৩৩ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। এই অপারেশনটিই ছিল মুক্তিযুদ্ধে বাতেন বাহিনীর সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ।

পুরো মুক্তিযুদ্ধের সময়েই বাতেন বাহিনীতে সাংগঠনিক কাঠামো বজায় ছিল। বাহিনীর তথ্য ও গোয়েন্দা প্রধান উপেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, 'সামরিক বিভাগের পাশাপাশি আমাদের বাহিনীতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বেসামরিক বিভাগও পরিচালিত হতো। বেসামরিক বিভাগের অধীনে ছিল নিরাপত্তা, খাদ্য, অর্থ ও বিচার ও গণসংযোগ, রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ বিভাগ।

আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার সুবিধার্থে বাতেন বাহিনীতে চালু ছিল ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল। একইসঙ্গে যুদ্ধের খবরাখবর পরিবেশনের জন্য প্রকাশিত হতো একটি পত্রিকাও। বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা নীরেন্দ্র কুমার পোদ্দার বলেন, হাসপাতালটি পরিচালনা করতেন বেঙ্গল রেজিমেন্টের চিকিৎসক জহিরুল ইসলাম ও ময়মনসিংহ মেডিকেলের ডা. বসন্তকুমার সাহা। এছাড়া আলী আকবর খান ডলারের সম্পাদনায় আমরা 'অগ্নিশিখা' নামের একটি পত্রিকাও প্রকাশ করতাম।

বাতেন বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ছিল নির্দিষ্ট অংকের ভাতা ব্যবস্থাও। বাতেন বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুল আলম শাহাজাদা বলেন, 'বাহিনীর সব মুক্তিযোদ্ধার জন্যই আমরা ভাতা ব্যবস্থা করেছিলাম। যেমন সৈনিকদের জন্য ছিল ১৭ টাকা। তেমনি সেকশন কমান্ডার, প্লাটুন কমান্ডার থেকে অস্থায়ী বাহিনী প্রধানের জন্যও বিভিন্ন অংকের ভাতা ব্যবস্থা চালু ছিল।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Fire breaks out at Korail slum

Five fire engines are rushing to the spot after the blaze originated around 4:15pm

38m ago