ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় ইমন যুব এশিয়া কাপেরও সেরা
আসরজুড়ে অসাধারণ বোলিং উপহার দেওয়া ইকবাল হোসেন ইমন জ্বলে উঠলেন ফাইনালেও। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দুটি পুরস্কার জিতলেন ১৮ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেরা খেলোয়াড়ও হলেন তিনি।
রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ভারতকে উড়িয়ে ৫৯ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। এতে যুব এশিয়া কাপে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ ৪৯.১ ওভারে অলআউট হয় ১৯৮ রানে। সংগ্রহ বড় না হলেও পেসারদের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে শেষ পর্যন্ত শিরোপা উঁচিয়ে ধরে তারা। জবাব খুঁজে না পেয়ে ৮৮ বল বাকি থাকতে ভারত গুটিয়ে যায় ১৩৯ রানে।
ইমন ৭ ওভারে একটি মেডেনসহ ২৪ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৪ রানে ৪ উইকেট দখল করে ম্যাচসেরা হওয়া পেসার ফাইনালেও সেরার স্বীকৃতি পান। পাঁচ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে এবারের আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনি। তার হাতেই ওঠে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেরা খেলোয়াড়ের সম্মাননা।
লক্ষ্য তাড়ায় ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারানো ভারত প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় ছিল। ২৯ রানের জুটি ভেঙে সেটা ভেস্তে দেন ইমন। কেপি কার্তিকেয়াকে ব্যক্তিগত ২১ রানে থামানোর এক বল পরই তিনি ফেরান রানের খাতা খুলতে না পারা নিখিল কুমারকে। নিজের পরের ওভারে ৬ রান করা হরবংশ পাঙ্গালিয়াকে বিদায় করেন ইমন।
দুইশর কম পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশকে জেতাতে কার্যকর ছিলেন অন্য পেসাররাও। ডানহাতি পেসার আল ফাহাদ ৩৪ রানে পান ২ উইকেট। আরেক ডানহাতি রিজান হোসেন ১ উইকেট নেন ১৪ রানের বিনিময়ে। বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধার ঝুলিতে ৩৬ রান খরচায় যায় ১ উইকেট। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের ভূমিকাও ছিল গুরুত্বপূর্ণ। অফ স্পিনে মাত্র ৮ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন তিনি।
ফাইনাল পর্যন্ত যুবাদের ব্যাট হাতে বলতে গেলে একাই টানেন আজিজুল। সঙ্গে নেতৃত্বে দক্ষতার ছাপ রাখেন তিনি। এদিন যদিও ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেননি। তিনে নেমে ২৮ বলে ১৬ রানে আউট হন। তবে সব মিলিয়ে আজিজুল সদ্যসমাপ্ত আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। পাঁচ ম্যাচে ৮০ গড় ও ৮১.৯১ স্ট্রাইক রেটে তার রান ২৪০। সেঞ্চুরি করেন একটি, ফিফটি দুটি।
এই প্রতিযোগিতার প্রথম নয় আসরে কোনো শিরোপা ছিল না বাংলাদেশের। ২০২৩ অনুষ্ঠিত গত আসরে একই ভেন্যুতে স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ফাইনালে হারিয়ে অপেক্ষার পালার ইতি টানে তারা। সাফল্যের ধারা বজায় রেখে এবার তারা টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো।
Comments