অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ

সেমিতে ভারতকে ১৮৮ রানে অলআউট করল বাংলাদেশের যুবারা

ছবি: সংগৃহীত

শুরুতে ভারত কেঁপে উঠল বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধার আঘাতে। ডানহাতি পেসার রোহানাত দৌলা বর্ষণ উইকেট শিকারে যুক্ত হলে মহাবিপর্যয়ে পড়ল তারা। এরপর মুশির খান ও মুরুগান অভিষেকের ফিফটিতে তিন অঙ্কের নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা এড়াল দলটি। তবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যেই রাখল বাংলাদেশ।

দুবাইতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে দুই প্রতিবেশী দল। টস হেরে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশের যুবাদের বোলিং নৈপুণ্যে ৪২.২ ওভারে মাত্র ১৮৮ রানে থেমেছে ভারত।

প্রতিপক্ষের ইনিংসের প্রথম তিনটি উইকেটই যায় মারুফের ঝুলিতে। শেষদিকে বল হাতে ফিরে আরও একবার উল্লাস করেন তিনি। সব মিলিয়ে ৪ উইকেট নিতে ১০ ওভারে তিনি দেন ৪১ রান। বর্ষণ ৭ ওভারে ৩৯ রানের বিনিময়ে পান ২ উইকেট।

অফ স্পিনার শেখ পারভেজ জীবন ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আঁটসাঁট বোলিং উপহার দেন। ৮.৪ ওভারে ২৯ রানে তার শিকার নিচের সারির ২ উইকেট। মাঝে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু পাইয়ে দেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। মুশির ও অভিষেকের ৮৪ রানের জুটি ভাঙেন বাঁহাতি বোলিং অলরাউন্ডার। বাকিটি রানআউট। 

প্রথম ওভারেই উইকেট হারিয়ে ধাক্কা খায় আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। টাইগার পেসারদের তোপ সামলানোর কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছিল না তারা। একের পর এক ব্যাটার সাজঘরে ফেরায় ১৬তম ওভারে দলীয় ৬১ রানে পতন হয় তাদের ষষ্ঠ উইকেটের।

সপ্তম উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন মুশির ও অভিষেক। তাদের ব্যাটে দুইশর কাছাকাছি পর্যন্ত যেতে পারে ভারত। ছয়ে নামা মুশির ৩ চারে ৬১ বলে করেন ৫০ রান। আটে নামা অভিষেক ৭৪ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে খেলেন ৬২ রানের ইনিংস। ফিফটি করার পর এই দুজনকে থামিয়ে ম্যাচের মাঝপথে ফাইনালের আশা জোরালো করেছে বাংলাদেশ।

ভারতের ইনিংসের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান আসে অতিরিক্ত খাত থেকে। বাই, লেগ বাই ও ওয়াইড মিলিয়ে ২০ রান পায় তারা। এছাড়া, দুই অঙ্কে যেতে পারেন দলটির আর মাত্র তিন খেলোয়াড়।

Comments

The Daily Star  | English

No scope to avoid fundamental reforms: Yunus

Conveys optimism commission will be able to formulate July charter within expected timeframe

6h ago