‘আমদানি-রপ্তানি বন্ধে বাংলাদেশের চিন্তার কারণ নেই, ভারতের গরজ বেশি’

ভোমরা স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: স্টার

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলে বলেছেন, পত্র-পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের জন্য আমরা যদি দ্বিতীয়, তৃতীয় অথবা চতুর্থ ব্যবসায়িক কেন্দ্র হই, আবার অনেকে বলেন সেকেন্ড। সুতরাং আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কারা হবে, আমরা না, ভারত?

আজ শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 

'ভারত কোনো কিছু বিনা পয়সায় দেয় না' উল্লেখ করে এম সাখাওয়াত বলেন, 'তারা যদি বন্ধ করে দেয়, আমি তো বলি বন্ধ করুক। গরু তো বন্ধ করে ছিল। আমরা এখন গরুর মাংস খাই না।'

'বন্ধ যদি করতে চায়, তাদের ব্যাপার। তারা বন্ধ করলে তাদের ইকোনোমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর সঙ্গে দুই পাশের হাজার হাজার, লাখ লাখ লোক জড়িত। পলিটিক্স তারা করছে', বলেন তিনি।

এম সাখাওয়াত বলেন, 'আমি মনে করি না ব্যবসায়ীরা কখনো এটা সার্পোট করবে। এতবড় একটা বাজার, সেই বাজারকে নষ্ট করবে। একদিন, দুইদিন অবরোধ আমরাও করি মাঝে মাঝে। পলিটিক্যাল অবরোধ করছে করুক। এটা নিয়ে আমাদের চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। কারণ তাদের গরজ বেশি আমাদের চেয়ে।'

এর আগে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভোমরা স্থলবন্দরে পৌঁছানোর পর তিনি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী পারাপার, কাস্টমস ও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি বন্দরের সম্মেলন কক্ষে বন্দরের অংশীজনদের সঙ্গে এক মতবিনিয়ম সভায় মিলিত হন।

এসময় এম সাখাওয়াত বলেন, 'দুই বছরের মধ্যে ভোমরা স্থলবন্দরে র‌্যাডিকাল পরিবর্তন আসবে। ব্যাপক উন্নয়ন হবে। বন্দরের অকাঠামো উন্নয়ন হবে। ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।'
 

Comments

The Daily Star  | English
tax collection target for IMF loan

Talks with IMF: Consensus likely on exchange rate, revenue issues

The fourth tranche of the instalment was deferred due to disagreements and now talks are going on to release two tranches at once.

10h ago