রক্ষণাবেক্ষণের কাজে বন্ধ পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ ইউনিট

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ছবি: সোহরাব হোসেন/স্টার

দুই মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেল পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিটের উৎপাদন। মেজর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রোববার রাত ১২টা থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ওই ইউনিটটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

পটুয়াখালী পাওয়ার গ্রিড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এতে বিদ্যুৎ বিতরণে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।

পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্লান্ট ম্যানেজার প্রকৌশলী শাহ আব্দুল মাওলা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেজর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রোববার মধ্য রাত থেকে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। এ রক্ষণাবেক্ষণে সময় লাগবে অন্তত দুই মাস।'

তিনি আরও বলেন, 'নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে গত বছর প্রথম ইউনিটের মেজর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়। এ বছর দ্বিতীয় ইউনিটের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হবে।'

'মেজর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষ হলে ইউনিটটি পুনরায় উৎপাদন শুরু করবে। পরে প্রথম ইউনিটের নিয়মিত বার্ষিক রুটিন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হবে। এতে ২০-২৫ দিন সময় লাগবে,' বলেন তিনি।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জোবায়ের আহমেদ বলেন, 'আমরা আগেই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দেশে বিদ্যুতের চাহিদার কথা বিবেচনা করে দুই দফা পেছানো হয়েছে। পরে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে রোববার থেকে একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ করে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে।'

একটি ইউনিট বন্ধ করায় বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ইতোমধ্যে শীত মৌসুম শুরু হয়েছে। সাধারণত শীতে বিদ্যুতের চাহিদা অর্ধেকের নিচে নেমে যায়। তাই একটি ইউনিট বন্ধ থাকলেও বিতরণ ব্যবস্থায় কোনো প্রভাব পড়বে না।'

পটুয়াখালী পাওয়ার গ্রিডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল নাইম বলেন, 'পায়রা তাপবিদ্যুতের একটি ইউনিট বন্ধ হয়ে গেলে পটুয়াখালীতে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না। কারণ গ্রীষ্মকালে পটুয়াখালীতে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা থাকে ১০৮ মেগাওয়াট। কিন্তু শীত মৌসুমে এ চাহিদা মাত্র ৪৫ মেগাওয়াটে নেমে আসে।'

তার ভাষ্য, 'এছাড়া পটুয়াখালী শহর সংলগ্ন ডিজেল চালিত ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন পায়রা ইউনাইটেড পাওয়ার প্লান্ট থেকেও আমরা নিয়মিত বিদ্যুৎ পাচ্ছি। তাই পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট বন্ধ হলেও বিতরণ ব্যবস্থায় এর কোনো নেতিবাচক প্রভাবে পড়বে না।'

দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বাংলাদেশ-চায়না বিদ্যুৎ কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) পায়রা এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০২২ সালের মার্চে উৎপাদনে যায়।

Comments

The Daily Star  | English

Fulfilling sky-high expectations Yunus govt’s key challenge

Says ICG report on completion of interim govt’s 100 days in office

2h ago