সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
দেখেশুনে ব্যাটিং করে শুরুটা ভালোই করেছিল আফগানিস্তান। ২ উইকেটে ১১৮ রান তুলে ফেলেছিল দলটি। এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগার বোলাররা। দারুণ বোলিং করেন দুই স্পিনার নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তাকে ভালো সহায়তা করেন পেসাররাও। তাতে সিরিজে সমতা ফেরাতে পেরেছে বাংলাদেশ দল।
এদিন দুই পরিবর্তন নিয়ে এদিন মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। দুটি পরিবর্তনই দারুণ কাজে দিয়েছে টাইগারদের। ব্যাট হাতে শেষ দিকে ঝড়ো ইনিংসে বাংলাদেশকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন জাকের আলী। তাকে দারুণ সহায়তা করা নাসুম আহমেদ বল হাতেও জ্বলে ওঠেন। তাতে দারুণ জয় মিলেছে টাইগারদের।
এদিন বোলারদের মতো ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ব্যাটাররাও। ১৮৪ রানে মাহমুদউল্লাহ যখন ফিরে যান তখন মনে হয়েছিল কোনো মতে দুইশ রানই হবে সর্বোচ্চ। তার উপর আগের দিনের ব্যাটিং ধসের স্মৃতিও তরতাজা। তবে এরপর জাকের ও নাসুমের ৪৬ রানের কার্যকরী জুটিতে আড়াইশ রান পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৫২/৭ (তানজিদ ২২, সৌম্য ৩৫, শান্ত ৭৬, মিরাজ ২২, হৃদয় ১১, মাহমুদউল্লাহ ৩, জাকের ৩৭*, নাসুম ২৫, তাসকিন ২*; ফারুকি ০/৬৯, গজনফর ২/৩৫, নবি ০/৪৯, নাইব ০/১০, ওমারজাই ০/২৩, রশিদ ২/৩২, খারোতে ৩/২৮)।
আফগানিস্তান: ৪৩.৩ ওভারে ১৮৪ (রহমানউল্লাহ ২, সাদেকউল্লাহ ৩৯, রহমত ৫২, হাসমতউল্লাহ ১৭, ওমরজাই ০, গুলবাদিন ২৬, নবি ১৭, রশিদ ১৪, খারোতে ৪, গাজানফার ১, ফারুকি ০*; শরিফুল ১/৪৫, তাসকিন ১/২৯, মিরাজ ২/৩৭, মোস্তাফিজ ২/৩৭, নাসুম ৩/২৮, মাহমুদউল্লাহ ০/৭)।
ফলাফল: বাংলাদেশ ৬৮ রানে জয়ী
রশিদকে ফেরালেন মোস্তাফিজ
লেজ বেরিয়ে গিয়েছিল আগেই। স্বীকৃত সব ব্যাটারদেরও ফেরানো গিয়েছে। তবে রশিদ খান থাকায় টিকে ছিল আফগানদের আশা। শেষ দিকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পারদর্শী তিনি। তবে এদিন তেমন কিছুই করতে পারেননি। মোস্তাফিজের বলে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে বাউন্ডারি মারতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে লংঅফে ধরা পড়েছেন মাহমুদউল্লাহর হাতে। ১৬ বলে ১৪ রান করেছেন রশিদ।
খারোতেকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেললেন মিরাজ
রানের গতি বাড়ছিল হুহু করে। যে কারণে কিছুটা আগ্রাসী ভূমিকায় ব্যাট চালাতে চেয়েছিলেন নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে। তবে মেহেদী হাসান মিরাজের অফস্টাম্পের বশ বাইরের বলে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে বাউন্ডারি মারার চেষ্টা চালান এই ব্যাটার। তবে লাইন মিস করলে পড়েন স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে। ১২ বলে ৪ রান করেন খারোতে।
৪২ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৮১ রান করেছে আফগানিস্তান। রশিদ খান ১৩ রানে ব্যাট করছেন। ন্তুন ব্যাটার হিসেবে মাঠে নেমেছেন আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফার।
মিরাজের বলে বোল্ড নবি
দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে মোহাম্মদ নবিকে বোল্ড করে দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সামনের পায়ে রক্ষণাত্মক ঢঙেই খেলতে চেয়েছিলেন নবি। তবে টার্নের মুখে ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গোলে স্টাম্প ভাঙলে ফিরতে হয় তাকে। গুলবাদিনের ফিরে যাওয়ায় আফগানদের শেষ স্বীকৃত ব্যাটার ছিলেন নবি। ফলে লেজ বেরিয়ে এসেছে দলটির।
৩৮ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৬৫ রান করেছে আফগানিস্তান। রশিদ খান ১ ও নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে ০ রানে ব্যাট করছেন।
গুলবাদিনকে ফেরালেন শরিফুল
শরিফুল ইসলামের প্রথম দুই বলে একটি ছক্কা ও একটি চার মারেন গুলবাদিন নাইব। পরের বলে পান দুই রান। এরপরের বলেও বাউন্ডারি হাঁকাতে চান এই ব্যাটার। তবে এবার সরাসরি চলে যায় কভারে দাঁড়ানো ফিল্ডার তাওহিদ হৃদয়ের হাতে। ফলে বিপজ্জনক হয়ে ওঠা গুলবাদিনকে ফেরাতে পেরেছে টাইগাররা। ২৫ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৬ রান করেন তিনি।
রানআউট রহমত
বাংলাদেশের সামনে ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রহমত শাহ। এরমধ্যেই তুলে নিয়েছিলেন নিজের ফিফটি। তবে তার উইকেট উপহার পেয়েছে বাংলাদেশ। নতুন ব্যাটার গুলবাদিন নাইবের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির খেসারৎ দিয়ে কাটা পড়েছেন তিনি।
নাসুমের লেন্থ বলে এক্সট্রা কভারে ঠেলে রান নিতে চেয়েছিলেন গুলবাদিন। কিছুটা এগিয়ে ফিরে আসেন। অন্যদিকে ততোক্ষণে রান নিতে অপর প্রান্তে পৌঁছে যান রহমত। ফিল্ডার কিপার প্রান্তে বল দিলেও দ্রুত বোলার নাসুমের কাছে বল দেন জাকের। তাতে রানআউটের ফাঁদে পড়েন সেট ব্যাটার রহমত। আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ৫২ রানের ইনিংস। ৭৬ বলে ৫টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি।
ওমরজাইকে বোল্ড করে দিলেন নাসুম
দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে বোল্ড করে দিয়েছেন নাসুম আহমেদ। ডিফেন্স করতেই চেয়েছিলেন মাত্র উইকেটে নামা ওমরজাই। তবে নাসুমের মিডল স্টাম্পে রাখা বলটি সিমে পরে সামান্য বাঁক খেলে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান তিনি। টানা দুই ম্যাচে গোল্ডেন ডাঁক পেলেন এই ব্যাটার।
হাসমতকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরালেন মোস্তাফিজ
আগের ওভারেই দ্বাদশ ফিল্ডার জাকির হাসানের হাতে জীবন পেয়েছিলেন হাসমতউল্লাহ শাহিদি। তবে জীবন কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। পরের ওভারেই তাকে ছাঁটাই করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার শর্ট বলে পুল করতে চেয়েছিলেন হাসমত। তবে টপএজ হয়ে ফাইন লেগে ধরা পড়ছেন শরিফুল ইসলামের হাতে।
রহমতের ফিফটি, এগিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তান
মোস্তাফিজুর রহমানকে মিডঅফের উপর দিয়ে বাউন্ডারি ম্রে নিজের ফিফটি পূরণ করলেন রহমত শাহ। ক্যারিয়ারের ৩০তম হাফসেঞ্চুরিটি করেছেন ৭৪ বলে। মেরেছেন ৫টি চারের মার। তবে
ব্যক্তিগত ১১ রানে সুযোগ দিয়েছিলেন রহমত। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি উইকেটরক্ষক জাকের আলী।
এবার জীবন পেলেন হাসমত
মস্তাফিজুর রহমানের বলে সজোরে ব্যাট চালিয়ে ছিলেন আফগান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহিদি। বলের গতি ছিল বেশ তীব্র। তবে হাতেই পড়েছিল বদলি ফিল্ডার জাকির হাসানের। সেই ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি। উল্টো হাত থেকে ফসকে পায়ে লেগে ব্যাথাও পান ত্নি। পরে প্রাথমিক শুশ্রূষা শেষে ফিল্ডিং করছেন তিনি। তবে জীবন পেয়ে গেলেন আফগান অধিনায়ক। এ সময়ে ১৬ রানে ছিলেন তিনি। এরমধ্যেই রহমত শাহর সঙ্গে জুটি গড়েছেন এই ব্যাটার।
২৭ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১১১ রান। রহমত ৪৫ ও হাসমত ১৭ রানে ব্যাটিং করছেন।
দুর্দান্ত ক্যাচ ধরে জুটি ভাঙলেন মিরাজ
ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন সেদিকউল্লাহ অটল। শুরুতে কিছুটা দেখে খেললেও ধীরে ধীরে খোলস ভাঙছিলেন। রহমত শাহর সঙ্গে ৫২ রানের জুটিও গড়েন। তবে আরও ভয়ঙ্কর কিছু করার আগে তাকে ফিরিয়েছেন নাসুম আহমেদ। বল হাতে নিয়ে প্রথম বলেই উইকেট পান তিনি। যদিও এ উইকেটের মূল কৃতিত্ব মেহেদী হাসান মিরাজের। সুইপ করেছিলেন রহমত। শর্ট মিডউইকেটে লাফিয়ে উঠে সেই ক্যাচ তালুবন্দি করেন মিরাজ। ৫১ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৩৯ রান করেন সেদিকউল্লাহ।
১৭ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭০ রান। রহমত শাহ ২২ রানে ব্যাটিং করছেন। নতুন ব্যাটার হিসেবে মাঠে নেমেছেন হাসমতউল্লাহ শাহিদি।
সেদুকউল্লাহ-রহমতের জুটিতে পঞ্চাশ
দলীয় ১৮ রানেই রহমানউল্লাহ গুরবাজকে তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে টাইগারদের সাফল্য এইটুকুই। এরপর রহমত শাহকে নিয়ে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন সেদিকউল্লাহ অটল। এরমধ্যেই জুটি ছাড়িয়েছে পঞ্চাশ রানের কোটা। ৭১ বলে এসেছে জুটির ফিফটি। যদিও দলীয় ৪০ রানেই সুযোগ দিয়েছিলেন রহমত। ক্যাচ মিসের সঙ্গে স্টাম্পিংয়ের সুযোগও নষ্ট করেন উইকেটরক্ষক জাকের আলী।
১৬ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৭০ রান। সেদিকুল্লাহ অটল ৩৯ ও রহমত শাহ ২২ রানে ব্যাটিং করছেন।
রহমতকে জীবন দিলেন জাকের
পেসারদের সাবলীল খেলতে থাকায় দশম ওভারে অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে এনেছিলেন টাইগার অধিনায়ক শান্ত। আর প্রথম ওভারেই কাঙ্ক্ষিত ব্রেকথ্রু প্রায় এনে দিয়েছিলেন মিরাজ। তার মিডল স্টাম্পে রাখা বল রহমতের ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটের পেছনে। কিছুটা ডানে থাকায় সেই ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি অভিষিক্ত উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জাকের আলী। সুযোগ ছিল স্টাম্পিংয়েরও। সেটাও হয়নি। এ সময় ১১ রান ব্যাটিং করছিলেন রহমত।
১০ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৪০ রান। সেদিকুল্লাহ অটল ২০ ও রহমত শাহ ১১ রানে ব্যাটিং করছেন।
সৌম্যর দারুণ ক্যাচে আউট রহমানউল্লাহ
শুরুতেই ছন্দ খুঁজে পেতে কিছুটা সংগ্রাম করছেন তাসকিন আহমেদ। লাইন ঠিক না থাকায় অহেতুক কিছু রানও খরচ করতে হয়েছে তাকে। তবে তিনিই টাইগারদের এনে দিলেন প্রথম ব্রেকথ্রু। ফিরিয়েছেন আফগান ওপেনার রহমনউল্লাহ গুরবাজ। তার অফস্টাম্পের বেশ বাইরে রাখা ডেলিভারিতে জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন এই ওপেনার। ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। প্রথম স্লিপে থাকা সৌম্য অনেকটা ডানদিক থেকেও দারুণভাবে লুফে নেন সেই ক্যাচ। ৮ বলে ২ রান করেন রহমানউল্লাহ।
৪ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৮ রান। সেদিকুল্লাহ ৯ রানে ব্যাটিং করছেন। নতুন ব্যাটার হিসেবে মাঠে নেমেছেন রহমত শাহ।
আফগানিস্তানকে ২৫৩ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
ফজলহক ফারুকির করা ইনিংসের শেষ বলে লং-অফ দিয়ে ছক্কা হাঁকালেন জাকের আলী অনিক। অভিষেক ওয়ানডেতে সাতে নেমে ৩৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেললেন তিনি। ২৭ বল মোকাবিলায় একটি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
ওই ছক্কায় বাংলাদেশের পুঁজি পেরিয়ে গেল আড়াইশ। লম্বা সময় ভালো ব্যাটিংয়ের পর মাঝে ১০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল তারা। সেই ধাক্কা সামলে ৭ উইকেটে ২৫২ রান তুলল টস জেতা টাইগাররা। জাকেরের পাশাপাশি শেষদিকে কার্যকর ইনিংস খেলেন প্রায় এক বছর পর ওয়ানডে একাদশে ফেরা নাসুম আহমেদ। তার ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে ২৫ রান।
এর আগে বাংলাদেশ দলকে টানেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ১১৯ বলে ৭৬ রান। সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে দুটি পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি ছিল তার। সৌম্য ৪৯ বলে ৩৫ ও মিরাজ ৩৩ বলে ২২ রান করেন। এছাড়া, তানজিদ হাসান তামিম আউট হন ১৭ বলে ২২ করে।
তবে ফের হতাশ করেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি মাঠ ছাড়েন ৯ বলে ৩ রানে। নিজের আগের তিন ওয়ানডেতে যথাক্রমে ২, ১ ও শূন্য রানে থেমেছিলেন তিনি।
আফগানিস্তানের পক্ষে ৮ ওভারে ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন স্পিনার নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে। রশিদ খান ৩২ রানে ও আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফর ৩৫ রানে সমান ২ উইকেট করে পান। দুই স্পিনারই ১০ ওভারের কোটা পূর্ণ করেন। ঝড় অবশ্য যায় পেসার ফারুকির ওপর দিয়ে। তিনি ৭ ওভারে ৬৯ রানে উইকেটশূন্য থাকেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৫২/৭ (তানজিদ ২২, সৌম্য ৩৫, শান্ত ৭৬, মিরাজ ২২, হৃদয় ১১, মাহমুদউল্লাহ ৩, জাকের ৩৭*, নাসুম ২৫, তাসকিন ২*; ফারুকি ০/৬৯, গজনফর ২/৩৫, নবি ০/৪৯, নাইব ০/১০, ওমারজাই ০/২৩, রশিদ ২/৩২, খারোতে ৩/২৮)।
জীবন পেলেন জাকের
৪৯তম ওভারের প্রথম বলে জীবন পেলেন জাকের আলী অনিক। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ডেলিভারিতে তার অনেক উঁচুতে ওঠা ক্যাচ ফেলে দিলেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি।
টাইমিংয়ে গড়বড় করলেও ১৯ রানে বেঁচে গেলেন জাকের। উল্টো ক্যাচ মিসের ফায়দা তুলে দৌড়ে নিলেন ডাবল।
ছক্কার পর আউট নাসুম
আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফরের বলে স্লগ সুইপে ছক্কা মারার পরের বলে আউট হয়ে গেলেন নাসুম আহমেদ। বোল্ড হয়ে থামল তার কার্যকর ইনিংস।
২৪ বলে একটি চার ও দুটি ছক্কায় নাসুমের রান ২৫। তার বিদায়ে ভাঙল ৪১ বলে ৪৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ সপ্তম উইকেট জুটি।
৪৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৩০। জাকের আলী অনিক ১৯ বলে ১৯ রানে খেলছেন। নতুন ব্যাটার তাসকিন আহমেদ ২ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি এখনও।
জাকেরের জোড়া ছক্কা
অভিষেক ওয়ানডেতে সাত নম্বরে নেমেছেন জাকের আলী অনিক। বাংলাদেশ টপাটপ তিনটি উইকেট হারানোর পর স্নায়ুচাপ সামলে তিনি কার্যকর ইনিংস খেলার চেষ্টায় আছেন।
ফজলহক ফারুকির করা ৪৭তম ওভারে টানা দুটি ছক্কা মারলেন জাকের। শেষ বলে নাসুম আহমেদ মারলেন চার। ওই ওভারের সব মিলিয়ে উঠল ১৮ রান।
৪৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ২২৩। জাকের ১৮ বলে ১৯ ও নাসুম ২১ বলে ১৯ রানে ক্রিজে আছেন।
৪৫ ওভারে বাংলাদেশের দুইশ
নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতেকে স্লগ সুইপে ছক্কা মারার পর সিঙ্গেল নিলেন নাসুম আহমেদ। ৪৫ ওভারে পূর্ণ হলো বাংলাদেশের দুইশ রান।
স্কোরবোর্ডে টাইগারদের প্রথম দলীয় শতরান এসেছিল ১১৪ বলে। দ্বিতীয়টির জন্য বল লাগল অনেক বেশি। ১৫৪ বলে এলো এবারের শতরান।
ক্রিজে জাকের আলী অনিক ১৪ বলে ৫ ও নাসুম আহমেদ ১৩ বলে ১০ রানে অপরাজিত আছেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়াইয়ের পুঁজি পাওয়ার আশায় তাদের দিকে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ দল।
চার বলের মধ্যে ফিরলেন শান্ত-মাহমুদউল্লাহ
প্রথম ৩৫ বলে ৩০ রান ছিল নাজমুল হোসেন শান্তর। এরপর খোলসে ঢুকে যান। ইনিংসের শেষভাগে দ্রুত রান বাড়ানোর তাগিদ যখন বাংলাদেশের, তখন বড় শট খেলতে গিয়ে কুপোকাত হলেন অধিনায়ক। ৪১তম ওভারে নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতের দ্বিতীয় বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফে মোহাম্মদ নবির হাতে ক্যাচ দিলেন তিনি।
১১৯ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় শান্ত করলেন ৭৬ রান। ১৮৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে স্রেফ ১ রান যোগ করে ষষ্ঠ উইকেটও তারা খুইয়ে ফেলল তিন বল পরই। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও একই কায়দায় আউট হলেন। ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দিলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে।
খারোতে জোড়া শিকার ধরার পর ৪১ ওভারে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১৮৪। ভালো অবস্থা থেকে পা হড়কে এলোমেলো হয়ে পড়েছে তারা। ক্রিজে এখন দুই নতুন ব্যাটার অভিষিক্ত জাকের আলী অনিক ও নাসুম আহমেদ।
আগের ম্যাচে রান তাড়ায় ২৫ বলে ১১ রানে শেষ ৭ উইকেট পড়েছিল বাংলাদেশের। জুটেছিল বড় হার। এই ম্যাচেও উঁকি দিচ্ছে ব্যাটিং ধসের সম্ভাবনা। ১০ রানের মধ্যে পড়ল ৩ উইকেট। অথচ ৩ উইকেটে ১৭২ রান নিয়ে কিছুক্ষণ আগেও সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল টাইগাররা।
৪০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৮৩
ইনিংসের আর ১০ ওভার বাকি। হাতে ৬ উইকেট থাকা বাংলাদেশের সংগ্রহ এখন ১৮৩ রান। আফগানিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিতে বাকি ওভারগুলো ভালোমতো কাজে লাগাতে হবে ব্যাটারদের।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১১৭ বলে ৭৬ রানে খেলছেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ক্রিজে আছেন ৮ বলে ৩ রানে।
টিকলেন না হৃদয়
আগের ব্যাটারদের গড়ে দেওয়া ভালো ভিত কাজে লাগাতে পারলেন না তাওহিদ হৃদয়। ১১ রানে আউট হলেন তিনি। ১৬ বল খেলে একটি চার আসে তার ব্যাট থেকে।
৩৯তম ওভারের প্রথম ডেলিভারি নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে একটু ঝুলিয়ে দিলেন। স্লগ সুইপ করে বল মাঠের বাইরে পাঠাতে চাইলেন হৃদয়। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ উঠে গেল। ডিপ স্কয়ার লেগে অনায়াসে তা লুফে নিলেন সেদিকউল্লাহ অটল।
১৭৪ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ল বাংলাদেশের। একপ্রান্ত আগলে ক্রিজে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১১৪ বলে তার রান ৭১। তবে ফিফটির পর আরও কিছুটা মন্থর হয়ে গেছেন তিনি। ক্রিজে শান্তর নতুন সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
রশিদের গুগলিতে বোল্ড মিরাজ
রশিদ খানের গুগলি বুঝে উঠতে পারলেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। কাট করার চেষ্টায় বোল্ড হলেন তিনি।
রিভিউ নিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত বেঁচে যাওয়ার পরের ওভারে মিরাজ আউট হলেন। ৩৩ বলে তার সংগ্রহ ২২ রান। কোনো বাউন্ডারি অবশ্য মারেননি। তার বিদায়ে ভাঙল ৮৩ বলে ৫৩ রানের জুটি।
৩৩তম ওভারের চতুর্থ বলে ১৫২ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ল ভালো পুঁজির ভিত পেয়ে যাওয়া বাংলাদেশের। শান্তর নতুন সঙ্গী তাওহিদ হৃদয়।
রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেন শান্ত
নতুন স্পেলে ফিরে আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফর আফগানিস্তানকে উল্লাসের মুহূর্ত এনে দিলেও তা টিকল না বেশিক্ষণ। রিভিউ নিয়ে এলবিডব্লিউ থেকে বেঁচে গেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
গজনফরের ক্যারম ডেলিভারি সামনে পা বাড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ দলনেতা। বল আঘাত করল প্যাডে। জোরালো আবেদনে আউটের সিদ্ধান্ত জানালেন আম্পায়ার। শান্ত তাতে সম্মত না হয়ে নিলেন রিভিউ। ভিডিও রিপ্লেতে দেখা গেল, বল লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে চলে যেত। ফলে ৫৫ রানে থাকা অবস্থায় জীবন পেলেন শান্ত।
৩২ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১৪৮। শান্ত ক্রিজে আছেন ৯৬ বলে ৫৯ রানে। মেহেদী হাসান মিরাজ খেলছেন ৩০ বলে ২১ রানে।
৭৫ বলে শান্তর হাফসেঞ্চুরি
আগের ম্যাচে ৪৭ রানে আউট হয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এদিন কোনো ভুল করলেন না। দেখেশুনে খেলে ৭৫ বলে ফিফটি স্পর্শ করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
২৮তম ওভারে মোহাম্মদ নবির তৃতীয় বল মিড-অনে ঠেলে সিঙ্গেল নিয়ে ব্যক্তিগত মাইলফলকে পৌঁছে গেলেন শান্ত। ওয়ানডেতে বাঁহাতি ব্যাটারের এটি নবম হাফসেঞ্চুরি। তিনটি সেঞ্চুরিও করেছেন। এই সংস্করণে সবশেষ ১০ ম্যাচে এটি তার চতুর্থ পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস।
২৮ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৩৭ রান। শান্ত ৭৭ বলে ৫২ রানে খেলছেন। মেহেদী হাসান মিরাজ ক্রিজে আছেন ২৫ বলে ১৮ রানে।
রিভিউ শেষ আফগানদের
২২ ওভারের মধ্যে দুটি রিভিউই হারিয়ে ফেলল আফগানিস্তান। কোনোটিই তারা কাজে লাগাতে পারল না।
মোহাম্মদ নবির বল নাজমুল হোসেন শান্তর প্যাডে লাগতেই আবেদনে সরব হলেন আফগান খেলোয়াড়রা। কিন্তু আম্পায়ার সাড়া দিলেন না। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি রিভিউ নিলেন দ্রুত। রিপ্লেতে দেখা গেল, বল চলে যেত লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে। তাই বিপদ ঘটেনি।
২২ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১০৯। শান্ত ৫৮ বলে ৩৮ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ৮ বলে ৬ রানে ক্রিজে আছেন।
১৯ ওভারে বাংলাদেশের একশ
সৌম্য সরকারের বিদায়ের পর ক্রিজে যাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে নিলেন সিঙ্গেল। পূর্ণ হয়ে গেল বাংলাদেশের একশ রান। প্রথম পঞ্চাশ এসেছিল ৫০ বলে, দ্বিতীয় পঞ্চাশ এলো ৬৪ বলে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো অবস্থানে রয়েছে টাইগাররা। ১৯ ওভারে তাদের রান ২ উইকেটে ১০০। নাজমুল হোসেন শান্ত ৪৭ বলে ৩৪ ও মিরাজ ১ বলে ১ রানে ক্রিজে আছেন।
রিভিউ না নিয়ে আউট সৌম্য
রশিদ খানের গুগলিতে পরাস্ত হলেন সৌম্য সরকার। আম্পায়ার সাড়া দিলেন জোরালো আবেদনে। নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে আলোচনা করলেও রিভিউ না নিয়েই ফিরলেন তিনি।
পরে টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা গেল, বল পিচ করেছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে। অর্থাৎ রিভিউ নিলে পাল্টে যেত আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। বেঁচে যেতেন বাঁহাতি ওপেনার।
সৌম্য সাজঘরে ফিরলেন ৪৯ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ৩৫ রান করে। এতে ভাঙল ৯৩ বলে ৭১ রানের জুটি। ১৯তম ওভারে ৯৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ল বাংলাদেশের। ক্রিজে অধিনায়ক শান্তর নতুন সঙ্গী চারে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ।
সৌম্য-শান্তর জুটিতে পঞ্চাশ
তানজিদ হাসান তামিমের বিদায়ের পর বাংলাদেশের হাল ধরেছেন সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দলকে শক্ত ভিত গড়ে দেওয়ার প্রচেষ্টায় আছেন দুজন। তাদের জুটির রান পঞ্চাশ স্পর্শ করল ৬১ বলে।
আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের শর্ট ডেলিভারিতে দুর্দান্ত পুল শটে ডিপ মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা মারলেন সৌম্য। তাতেই পূর্ণ হয়ে গেল দ্বিতীয় উইকেট জুটির পঞ্চাশ রান। এক বল আগেই কব্জির মোচড়ে একই জায়গা দিয়ে চার মেরেছিলেন তিনি।
১৪ ওভারে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৮২। সৌম্য শুরু থেকেই সাবলীল ঢঙে খেলছেন। তিনি ক্রিজে আছেন ৪০ বলে ৩২ রানে। তার সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্তর রান ২৭ বলে ২১।
রিভিউ হারাল আফগানিস্তান
ইনিংসের ১২তম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তার তৃতীয় বলে ক্যাচের আবেদনে আম্পায়ারের সাড়া না পেয়ে রিভিউ নিলেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি।
ভিডিও রিপ্লেতে দেখা গেল, অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিটি নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট ঘেঁষে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক রহমানউল্লাহ গুরবাজের গ্লাভসে। অর্থাৎ ব্যাটে-বলে কোনো সংযোগ হয়নি। ফলে ব্যর্থ হলো আফগানিস্তানের প্রথম রিভিউ।
পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের দাপট
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ১ উইকেটে তাদের সংগ্রহ ৫৯ রান।
চতুর্থ ওভারে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম সাজঘরে ফেরার পর আর কোনো বিপদ ঘটেনি। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার ২৬ বলে ১৮ ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১৭ বলে ১৩ রানে খেলছেন।
এই সময়ে আফগানিস্তান ব্যবহার করেছে তিন বোলার। বাঁহাতি পেসার ফজলহক ফারুকি ও অফ স্পিনার মোহাম্মদ নবির ওপর চড়াও হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
আগের ম্যাচে আফগানদের জয়ের নায়ক আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফর অবশ্য আঁটসাঁট আছেন। ৫ ওভারে ১৬ রান খরচায় তানজিদের উইকেট নিয়েছেন তরুণ রহস্য স্পিনার।
নবম ওভারে বাংলাদেশের পঞ্চাশ
নবম ওভারের দ্বিতীয় বলটি মোহাম্মদ নবি করলেন লেগ স্টাম্পে। জায়গা বানিয়ে ফ্লিক করলেন সৌম্য সরকার। বল চলে গেল মিডউইকেট দিয়ে সীমানার বাইরে। বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ ৫০ রান স্পর্শ করল ঠিক ৫০ বলেই।
এই চারের এক বল পর অসাধারণ একটি ছক্কা হাঁকালেন সৌম্য। ইনসাইড আউট শটে বাঁহাতি ওপেনার বল পাঠালেন সীমানার ওপারে। সব মিলিয়ে ওভারটি উঠল ১২ রান।
৯ ওভারে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৫৭। সৌম্য ২২ বলে ১৭ ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১৫ বলে ১২ রানে ক্রিজে আছেন।
ছক্কার পর অক্কা গেলেন তানজিদ
ইতিবাচক শুরুর পর ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না তানজিদ হাসান তামিম। আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফরের করা চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে টাইমিংয়ে গড়বড় করলেন। ক্যাচ তুলে মিড অনে মোহাম্মদ নবির তালুবন্দি হলেন তিনি। ঠিক আগের লো ফুল টস ডেলিভারিতে লং-অন দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন বাঁহাতি ওপেনার।
স্বাচ্ছন্দ্যে শট খেলছিলেন তানজিদ। আগের ওভারে ফজলহক ফারুকিকে টানা দুটি চার মেরেছিলেন। কিন্তু বড় শটের চেষ্টায় ডেকে আনলেন বিপদ।
তানজিদ আউট হলেন ২২ রানে। ১৭ বল খেলে তিনটি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারাল ২৮ রানে। ক্রিজে আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারের সঙ্গী হলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
জাকেরের অভিষেক, ফিরলেন নাসুম
আঙুলে চোট পেয়ে চলমান সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। তাই বাধ্য হয়ে পরিবর্তন আনতে হলো বাংলাদেশের একাদশে। ওয়ানডে অভিষেক হচ্ছে মুশফিকের জায়গায় সুযোগ পাওয়া উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জাকের আলী অনিকের। জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত একটি টেস্ট ও ১৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি।
আরও একটি বদল এনেছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আগের ম্যাচে ৮ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি। তার পরিবর্তে একাদশে ঢুকলেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ।
বাংলাদেশ একাদশ: সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), জাকের আলী অনিক, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তানের একাদশ অপরিবর্তিত
উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখল সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা আফগানিস্তান। অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে খেলতে নামবে হাশমতউল্লাহ শহিদির দল।
আফগানিস্তান একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, সেদিকউল্লাহ অটল, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহিদি (অধিনায়ক), আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবি, গুলবদিন নাইব, রশিদ খান, আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফর, নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে, ফজলহক ফারুকি।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি আগে ব্যাটিং বেছে নিলেন। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানও টস জিতে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল চারটায়।
বাংলাদেশের বাঁচা-মরার লড়াই
শারজাহতে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ বড় ব্যবধানে হেরেছে ব্যাটিং লাইনআপ হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ায়। নাজমুল হোসেন শান্তদের শেষ ৭ উইকেট পড়ে স্রেফ ২৫ বলের মধ্যে। ৩ উইকেটে ১৩২ থেকে স্কোরবোর্ডে আর মাত্র ১১ যোগ করে ১৪৩ রানেই গুটিয়ে যায় তারা।
ওই ৭ উইকেটের পাঁচটি আবার একাই নেন ১৮ বছর বয়সী রহস্য স্পিনার আল্লাহ মোহাম্মদ গজনফর। ক্যারিয়ারের মাত্র ষষ্ঠ ওয়ানডে খেলতে নেমে সব মিলিয়ে তিনি ৬ উইকেট পান ২৬ রান খরচায়। আফগানিস্তানের ৯২ রানের জয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার অবধারিতভাবে ওঠে তার হাতে।
হতশ্রী ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের ফিল্ডিং ছিল ভুলে ভরা। বোলিংয়ে আফগানিস্তানকে শুরুতে চেপে ধরেও সেটা বজায় রাখা যায়নি শেষ পর্যন্ত। ঘুরে দাঁড়াতে তাই সার্বিকভাবে উন্নতি করতে হবে টাইগারদের।
২৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাজেভাবে হেরে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশের এবার বাঁচা-মরার লড়াই। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে টিকে থাকতে হলে তাদের সামনে জয়ের কোনো বিকল্প নেই।
Comments