‘কুইক রেন্টাল ১৬ বছর খেয়েছে, আর না’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তিনটি মন্ত্রণালয়ের পাঁচটি বিভাগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। পেশাগত জীবনে বহু পরিচয় তার। অর্থনীতিবিদ, সাবেক সচিব। যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা, ইউএনডিপি-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পরামর্শক ছিলেন।
সরকারের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দ্য ডেইলি স্টারের বাহরাম খান ও আসিফুর রহমান।
দ্য ডেইলি স্টার: উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর এখন পর্যন্ত কী দেখছেন, কি কি করছেন?
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান: নিয়মিত সরকারের সঙ্গে আমাদের প্রধান পার্থক্য হচ্ছে, অন্যরা 'ক্ষমতা' গ্রহণ করে, অন্যদিকে হাজারো প্রাণের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। শুরুতেই ভেবেছি, জনগণ আসলে কী চায়? আমাদের কাছে তাদের প্রত্যাশা কী?
তারা বিগত বছরগুলোতে উন্নয়নের গল্প শুনে এসেছে। তারা দেখেছে বড় বড় নাম্বার। গত সরকার দাবি করেছে, মানুষের মাথাপিছু আয় অনেক বেড়ে গেছে, জিডিপিতে ঊর্ধ্বমুখী, অর্থনীতি বড় হয়েছে। কিন্তু মানুষ দেখলো, সরকারের এসব বড় বড় কথার সঙ্গে তাদের নিজেদের জীবনযাত্রার মিল নেই, উল্টো বিরক্ত উদ্রেক করে।
গত সরকার দুর্নীতির একটি চেইন তৈরি করেছে। যারা সেই চেইনে ছিল তারা শুধু সুফলভোগী। ফলে জনগণ পরিবর্তন চেয়েছে, সমস্ত দুর্নীতির অবসান চেয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে গত সরকারের দুর্নীতির চেইনের মূল যন্ত্র ছিল ২০১০ সালের দায়মুক্তি আইন। দুর্নীতির নেটওয়ার্ক থাকে, চেইন আর্কিটেকচার থাকে। এই আইন ছিল ওই আর্কিটেকচারের নোঙর। এর অধীনে হওয়া সিদ্ধান্তগুলো যাচাই বাছাই ছাড়া হয়েছে। কাউকে কাউকে সমস্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ফলে আমরা শুরুতেই বলেছি, আমরা এই আইন আর কনটিনিউ করব না। এই আইনের মাধ্যমে নেওয়া নতুন প্রকল্পগুলো স্থগিত করেছি। যেগুলো নেওয়া হয়ে গেছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করে কনটিনিউ করছি। নতুন সব প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে কিংবা সরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে অন্য সব সেক্টরের মতো পিপিআর গাইডলাইন ফলো করছি। এই আইনের অধীনে যে সমস্ত চুক্তি হয়েছে তার পর্যালোচনার জন্য কমিটি করে দিয়েছি। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করছে।
ডেইলি স্টার: গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর অবস্থা কী, ভবিষ্যৎ কী?
ফাওজুল কবির: প্রকল্পগুলো দেখতে নিজে যাচ্ছি। যেখানেই যাচ্ছি হতাশ হতে হচ্ছে। হাজার হাজার কোটির প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে জনস্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। স্বার্থবাজ গোষ্ঠীর যে যেখানে প্রকল্প চেয়েছে, সেখানেই প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ একটা প্রকল্প নিলে সেটা জনগণের কাছে কী সেবা নিয়ে যাবে, সেই স্বার্থটা যথাযথভাবে বিবেচনা করা হয়নি।
যেমন পদ্মা রেল লিংকে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। গত সরকারের মূল্যায়ন অনুযায়ী বছরে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা রাজস্ব পাওয়ার কথা। আমরা দেখলাম ৬ মাসে রাজস্ব এসেছে ৩৭ কোটি টাকা। অবশ্য পুরো পথটা শেষ হয়নি। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল চালু হলে রাজস্ব কিছুটা বাড়বে। সেটাও কত বাড়বে? ৩৭ কোটি থেকে হয়তো ৮০ কোটি হবে বা ১০০ কোটি হবে। ১৪০০ কোটি কোথায়?
আরেকটা উদাহরণ দেখেন। মাতারবাড়ীতে প্রথমে একটি পোর্ট হওয়ার কথা। একইসঙ্গে একটা ইপিজেড হবে। তার জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র হওয়ার প্রয়োজন। খুবই যৌক্তিক কথা।
কিন্তু সেখানে বন্দর তো হয়নি, ইপিজেডও হয়নি। কিন্তু বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে। কেন হচ্ছে? কারণ কোনো না কোনো গোষ্ঠী ক্ষমতাসীনদের পেছনে বিনিয়োগ করেছে, তাই কাজ দেওয়া হয়েছে। ৪২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে জনস্বার্থ কোথায়? অর্থাৎ কাজীর গরু কেতাবে আছে, গোয়ালে নাই।
ডেইলি স্টার: এই ধরনের প্রকল্পগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত কি?
ফাওজুল কবির: এগুলোকে জনস্বার্থহীন 'ভেন্ডর ড্রিভেন' ডেভেলপমেন্ট বলতে পারেন। অর্থাৎ, কেউ একটা ট্রান্সমিশন প্রজেক্ট করবে, দিয়ে দাও; কাউকে পাওয়ার প্ল্যান্ট দিতে হবে, দিয়ে দাও; বড় কোনো শিল্পগোষ্ঠী পাইপলাইনের কাজ দিতে হবে, দিয়ে দাও; এসব হয়েছে। আমরা এগুলোর মিসিং লিংকগুলোকে জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছি, যাতে সর্বনিম্ন ব্যয়ে সর্বোচ্চ কাজে লাগানো যায়।
ডেইলি স্টার: বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি সংকট সমাধানে কী করছেন?
ফাওজুল কবির: বাপেক্সের মাধ্যমে গ্যাস উত্তোলনে জোর দিচ্ছি। আগামী বছরের মধ্যে ৫০টা, পরের বছরে ১০০ কূপ খননের পরিকল্পনা হচ্ছে। এছাড়া আরও সস্তায় কিভাবে জ্বালানি আমদানি করা যায় সেই চেষ্টা চলছে। ৪০টি নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রকল্পের টেন্ডার আহ্বানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে করে এই প্রকল্পগুলোর খরচে একটা প্রতিযোগিতা আসবে।
ডেইলি স্টার: আপনাদের দায়িত্বকালে এ খাতের কতটা কী করতে পারবেন?
ফাওজুল কবির: দেশে গ্যাস উত্তোলনে যে উদ্যোগগুলো নেওয়া হচ্ছে সেগুলোর ফিডব্যাকের উপর নির্ভর করবে। ধরেন কোনো একটি ফিল্ডে ১-২ টিসিএফ গ্যাস পেলে এক ধরনের পরিকল্পনা হবে, না হলে অন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। যদি না পাই, সেক্ষেত্রে আরও দুইটা এফএসআরইউ বসাবো। সাউথে একটা। আরেকটা মাতারবাড়ীতে। মোটামুটি গ্যাস সাপ্লাই ইম্প্রুভ করবে। সেটা ড্রিলিং করে হোক বা আমদানি, যেটাই হোক।
আমরা বলেছি, নতুন করে কোনো কুইক রেন্টাল পাওয়া প্ল্যান্টের চুক্তি বাড়ানো হবে না, হচ্ছে না। এ বিষয়ে যথাযথ চিন্তা করেই পিডিবিকে সিদ্ধান্ত বলে দিয়েছি, তারা ১৬ বছর খাইছে, আর না। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে দাম বেড়েছে।
এনার্জি সেক্টরে আনুমানিক ১ হাজার ২০০ মিলিয়ন থেকে ১ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া ছিল। সেটা এখন ৭০০ মিলিয়নে নেমে এসেছে। গত সরকার খুব খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করে গেছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বকেয়ার কারণে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিল। এখন অবস্থা মোটামুটি সন্তোষজনক।
ডেইলি স্টার: গ্যাস, বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের ক্ষমতা বিইআরসিকে ফেরত দিয়েছেন। ডিজেল, কেরোসিনে কী করবেন?
ফাওজুল কবির: যদি বিইআরসির কাছে দায়িত্ব দিলে জনস্বার্থ অধিকতর রক্ষা হয় তাহলে এগুলোও তাদের হাতে দিতে আমাদের বাধা নেই। কিন্তু বিশ্বব্যাপী এসব জ্বালানির দাম প্রায়ই উঠা-নামা করে, তাই এটা বিইআরসিকে দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত হবে, তা আরও ভেবে দেখতে হবে।
ডেইলি স্টার: বিদ্যুতের প্রিপেইড ও পোস্টপেইড মিটারেই গ্রাহক বিরক্ত। কী করছেন?
ফাওজুর কবির: এই সমস্যায় ব্যক্তিগতভাবে অভিযুক্ত হচ্ছি। আত্মীয় স্বজনের বাসায় বেড়াতে গেলেও প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছি। সব পর্যায়ের গ্রাহকরা এসবে বিরক্ত। আমরা মূল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার কাজ করছি। দেখি কতটা করতে পারি।
ডেইলি স্টার: পরিবহন খাতের কী অবস্থা?
ফাওজুর কবির: অবস্থা একই। চরিত্রগুলো হয়তো ভিন্ন ভিন্ন। যেমন সড়ক মেরামতে বিপুল খরচ হয়। এই খাতে কাজের জন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুল (পিপিআর) ফলো করতে হয়, ই-টেন্ডারিং হয়। এগুলো উদ্যোগ হিসেবে খারাপ না। কিন্তু এর পেছনে যারা নেতৃত্ব দেন তারা দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছিলেন। তাই এসব নিয়ম-কানুনে আরও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আমরা সেই কাজটি করছি।
ডেইলি স্টার: ই-টেন্ডারিংয়ে গত সরকার গর্ব করতো, সেখানে কী সমস্যা?
ফাওজুল কবির: ই-টেন্ডারের কারণে হয়তো অস্ত্র নিয়ে টেন্ডার জমা দেওয়ার কালচারে পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু যাদের কাছে টেন্ডার জমা পড়ছে তারা অস্ত্রবাজির চেয়ে বড় প্রভাবকের কাজ করে ব্যবস্থাটাকে কলুষিত করেছে।
যেমন: যিনি টেন্ডার ব্যবস্থাপনার প্রধান ব্যক্তি, তিনিই দলীয় পছন্দের লোককে অন্য বিডাররা কী রেট দিচ্ছেন তা বলতে দিতেন। কোনো কোনো জায়গায় ১২-১৪ বছর যাবৎ একই ব্যক্তি কাজ করছিল। ফলে ই-টেন্ডারি দৃশ্যমান ব্যবস্থা ভালো মনে হলেও কাজ পেত দলীয় লোকরাই।
এইভাবে যারা কাজ পেতে পেতে অভিজ্ঞ হয়ে যেত তাদের আরও বেশি সুবিধা দিতে নতুন কৌশল গ্রহণ করা হতো। পরবর্তী বড় প্রকল্পের জন্য এমনভাবে শর্ত নির্ধারণ করা হতো যেন সেই আশির্বাদপুষ্টরাই যোগ্য হয়। এভাবেই বিভিন্ন খাতে অলিগার্ক তৈরি করা হয়েছিল।
ডেইলি স্টার: তাহলে পিপিআর সংশোধন হচ্ছে?
ফাওজুল কবির: হ্যাঁ। ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, হাসান আরিফ, রিজওয়ানা হাসান, আদিলুর রহমান খানসহ আমাদের উপদেষ্টাদের একটা কমিটি হয়েছে। পিপিআর রিভিউ করব। ওয়ার্কিং পেপার করতে দিয়েছি। আমিও আছি এ কমিটিতে।
ডেইলি স্টার: প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো একটি নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে…
ফাওজুল কবির: এটা একটা কালচারে পরিণত হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে শুভঙ্করের ফাঁকির মতো যুক্তি দেওয়া হয়। এখন আবার নতুন আবদার নিয়ে আসছে যে, প্রকল্পের সময় বাড়াবে কিন্তু খরচ বাড়বে না। এসব জায়গায় লাগাম টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার অধীনস্থ মন্ত্রণালয়গুলোকে বলেছি, পুরনো প্রকল্প যেখানে যতটা হয়েছে তার একটা পর্যায়ে এনে শেষ দেখাতে হবে। প্রয়োজনে নতুন প্রকল্প নেওয়া হবে, তবুও পুরনো প্রকল্পের মেয়াদ বার বার বাড়ানো হবে না।
সেইসঙ্গে প্রকল্পের সঙ্গে জনস্বার্থের সম্পর্ক দেখাতে হবে। কর্মকর্তাদের একটি গোষ্ঠী শুধু তাদের সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে চায়। এটা আমরা বুঝি।
ডেইলি স্টার: রেলওয়েতে কী অবস্থা?
ফাওজুল কবির: নির্ধারিত সময়ে ট্রেন পরিচালনা, টিকেট পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় সমস্যা আছে। টিকেটিংয়ে সহজ ডটকমের অনিয়মগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লোকোমোটিভ এবং লাইনের ঘাটতি আছে। অন্যদিকে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পও আছে, এসব বিষয় রিভিউয়ের উদ্যোগ নিয়েছি।
ডেইলি স্টার: ঢাকায় মেট্রোরেল একটি হয়েছে, গত সরকারের আমলে নেওয়া অন্যগুলোর উদ্যোগ কী চালু থাকবে?
ফাওজুল কবির: মেট্রোর উদ্যোগগুলো বাতিল করার কোনো পরিকল্পনা নেই। কিন্তু এসব প্রকল্পের ব্যয় রিভিউ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সঠিক ব্যক্তির মাধ্যমে কাজগুলো করার চেষ্টা করছি।
মেট্রোরেলের সাবেক এমডি এমএএন সিদ্দিক এমনভাবে নিয়ম তৈরি করেছিলেন যেন, সাবেক কোনো সচিব ছাড়া মেট্রোরেল চলবে না। নিজের কোনো উত্তরসূরিও তৈরি করেননি। এটা তো টেকনিক্যাল জায়গা, এখানে সচিবের কাজ কী? আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তাকে সরিয়েছি। নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। যাদের মেট্রোরেল পরিচালনা সংক্রান্ত জ্ঞান আছে তারাই ঢাকার মেট্রোরেল কোম্পানি পরিচালনায় নেতৃত্ব দিবেন। বিদেশে এমন অনেক বাংলাদেশি আছেন। আশা করি যোগ্য লোক পাবো।
ডেইলি স্টার: কাজ করতে গিয়ে কী দেখছেন, আপনিও তো আমলাতন্ত্রে ছিলেন…
ফাওজুল কবির: প্রশাসনিক কর্মকর্তা নোট লিখে দেয় আর সেখানে উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব হয়ে সচিবের কাছে যায়। ফাইলে কোনো যুক্তি, পাল্টাযুক্তি নেই। অফিসারদের প্রশ্ন করি, আপনারা এটা কেন করেন? তারা উত্তর দেন, আমরা আগে সিদ্ধান্ত নিই, তারপর নোট প্রস্তুত করা হয়। এই হচ্ছে অবস্থা।
অথচ আমাদের সময় প্রতিটা স্তরের অফিসার নিজেদের মতামত দিতেন, যুক্তি-পাল্টা যুক্তি থাকতো। এমনও দেখা গেছে মন্ত্রী হয়তো উপসচিবের মতটি গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে, সেটাই গ্রহণ করেছেন। যুগ্মসচিব বা সচিবেরটা গ্রহণ হয়নি। এটাই ফাইলের সৌন্দর্য।
সাইফুর রহমান বা শাহ এএসএম কিবরিয়ার মতো মন্ত্রীরা নোট লেখার বিষয়ে উৎসাহ দিতেন।
ডেইলি স্টার: সময় তো কম, এত কাজে হাত দিচ্ছেন, কতটা শেষ করে যেতে পারবেন?
ফাওজুল কবির: সব কাজ আমাদের শেষ করার প্রয়োজন হবে না, সরকারের কাজ কখনো শেষ হয় না। দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন পুরনো উদ্যোগের মূল্যায়ন করতে হচ্ছে, তাই বড় কাজের উদ্যোগ দৃশ্যমান হচ্ছে না। কয়েকদিন পর যখন সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরু হবে তখন মানুষ অনুধাবন করতে পারবেন।
আমাদের কাজগুলো পরের সরকার ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস। কারণ আমরা জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছি।
Comments