মানুষের এত দুর্দশা দেখেও যেসব পশ্চিমা রাজনীতিবিদ চুপ থাকে, তারা ভণ্ড: খামেনি

ফারস শহরে এক বৈঠকে বক্তব্য রাখছেন খামেনি। ছবি: সংগৃহীত
ফারস শহরে এক বৈঠকে বক্তব্য রাখছেন খামেনি। ছবি: সংগৃহীত

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাতে পশ্চিমা রাজনীতিবিদদের প্রকৃত চেহারা প্রকাশ পেয়েছে।

 ইরানের ফারস প্রদেশের ১৫ হাজার শহীদের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন খামেনি।

এ অঞ্চলে প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে নির্বিচারে হত্যার পরও ইসরায়েলি শাসকরা তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো শক্তিদের ধ্বংস করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন খামেনি। পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্র ব্যবহার করেও লক্ষ্য অর্জন করতে না পারাকে ইসরায়েলের 'বড় ব্যর্থতা' ও 'নৈতিক পরাজয়' বলে অভিহিত করেন খামেনি।

বেসামরিক ব্যক্তিদের চরম দুর্দশার মাঝে যেসব পশ্চিমা রাজনীতিবিদ নিস্পৃহ থাকছেন, তাদের প্রতি চরম নিন্দা জ্ঞাপন করেন খামেনি। তিনি জানান, এ ধরনের সহিংসতা দেখেও যারা নীরব থাকে, তারা ভণ্ড এবং এতে তাদের মানবাধিকার সমুন্নত রাখার দাবি মিথ্যে প্রমাণ হয়েছে।

খামেনি বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যারা রুখে দাঁড়িয়েছে, সেই 'রেজিসট্যান্স' (পশ্চিমের ভাষায়, ইরান ও ইরান সমর্থিত সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত 'অ্যাক্সিস অব রেজিসট্যান্স') শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হবে।

এই সম্মেলনে তিনি হিজবুল্লাহ ও হামাসের প্রয়াত নেতাদের নিয়েও বক্তব্য দেন।

হিজবুল্লাহ ও হামাসের প্রয়াত প্রধানদের মতো নেতাদের সংগ্রাম ও সহনশীলতা এই অঞ্চলের জনগণের নিয়তিতে মৌলিক পরিবর্তন এনেছে।

গতকাল বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে ইরানের সরকারি গণমাধ্যম ইরনা।

'শহীদ সিনওয়ারের মতো মানুষ যদি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সংগ্রাম না করে যেতেন, অথবা, শহীদ হাসান নাসরাল্লাহর মতো মহান নেতারা যদি জিহাদের সঙ্গে প্রজ্ঞা, সাহস ও আত্মত্যাগের সমন্বয় ঘটাতে না পারতেন, তাহলে এ অঞ্চলের নিয়তি ভিন্ন হোত', যোগ করেন খামেনি।

২৭ সেপ্টেম্বর বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে বড় আকারের বিমান হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহর দীর্ঘ সময়ের নেতা হাসান নাসরাল্লাহ।

পরবর্তীতে, হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে ইসরায়েলি সেনারা ১৬ অক্টোবর হত্যা করে।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

6h ago