পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে তিন স্পিনার খেলাবে ইংল্যান্ড

রেহান আহমেদ। ছবি: এএফপি

মুলতানে দ্বিতীয় টেস্টে স্পিনবান্ধব উইকেটে পরাস্ত হয়েছিল ইংল্যান্ড। রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের শেষ টেস্টেও একই ধরনের পিচ রাখছে স্বাগতিক পাকিস্তান। তাই একাদশে পরিবর্তন এনেছে সফরকারী ইংলিশরা। পেসার কমিয়ে স্পিনার বাড়িয়েছে দলটি।

সিরিজ নির্ধারণী টেস্ট শুরুর দুদিন আগে মঙ্গলবার একাদশ ঘোষণা করে দিয়েছে ইংল্যান্ড। সেখানে রয়েছেন তিন স্পিনার। গত টেস্টে খেলা বাঁহাতি স্পিনার জ্যাক লিচ ও অফ স্পিনার শোয়েব বশিরের সঙ্গে সুযোগ পেয়েছেন লেগ স্পিনার রেহান আহমেদ।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের মাটিতেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল রেহানের। করাচিতে তিনি ইংল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে এই সংস্করণে খেলতে নেমেছিলেন মাত্র ১৮ বছর ১২৬ দিন বয়সে। ওই ম্যাচে তিনি ৭ উইকেট নিয়েছিলেন ১৩৭ রান খরচায়। এখন পর্যন্ত ৪ টেস্টে ৩৪.৫০ গড়ে তার শিকার ১৮ উইকেট।

বেন স্টোকসের নেতৃত্বাধীন দলের একাদশে এসেছে মোট দুটি পরিবর্তন। রেহানের সঙ্গে ফেরানো হয়েছেন পেসার গাস অ্যাটকিনসনকে। দুজনই শেষবার ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট খেলেছিলেন গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে রাজকোটে। তাদেরকে জায়গা দিতে ব্রাইডন কার্স ও ম্যাথু পটসকে রাখা হয়নি।

শোয়েব বশির ও জ্যাক লিচ (সামনে)। ছবি: এএফপি

মুলতানে সিরিজের প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জিতেছিল ইংল্যান্ড। এরপর বিস্ময় জাগিয়ে ওই একই পিচে দ্বিতীয় টেস্ট আয়োজন করেছিল পাকিস্তান। উদ্দেশ্য ছিল তিন স্পিনার সাজিদ খান, নোমান আলী ও জাহিদ মাহমুদকে দিয়ে ইংলিশদের ঘায়েল করা। তাতে সফলও হয় তারা। সাজিদ ও নোমান মিলেই ২০ উইকেট নিয়ে জেতান দলকে।

ওই জয়ে শেষ হয় দেশের মাটিতে পাকিস্তানের জয়খরা। নিজেদের মাঠে সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ও ১১ টেস্ট পর জয়ের স্বাদ পায় তারা। পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদের জন্যও বিশাল স্বস্তি ছিল তা। কারণ, তার নেতৃত্বে এর আগে ছয় টেস্ট খেলে প্রতিটিতেই হেরেছিল দলটি।

আগামী বৃহস্পতিবার শুরু হবে রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায়।

তৃতীয় টেস্টের ইংল্যান্ড একাদশ: জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, ওলি পোপ, জো রুট, হ্যারি ব্রুক, বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জেমি স্মিথ (উইকেটরক্ষক), গাস অ্যাটকিনসন, রেহান আহমেদ, জ্যাক লিচ ও শোয়েব বশির।

Comments

The Daily Star  | English

Ending impunity for crimes against journalists

Though the signals are mixed we still hope that the media in Bangladesh will see a new dawn.

7h ago