দায়িত্ব নিয়েই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের চিন্তা সিমন্সের

Phil Simmons
বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

কদিন আগেও কোন আলোচনায় ছিলেন না ফিল সিমন্স। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রস্তুতির মাঝে চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে চাকরীচ্যুত করে নাটকীয়ভাবে সিমন্সকে কোচ নিয়োগ দেয় বিসিবি। বলা যায়, আচমকা উড়ে এসে দায়িত্ব নিয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান। দায়িত্ব নিয়েই অবশ্য বড় স্বপ্নের কথা উচ্চরণ করে ফেলেছেন তিনি।

বুধবার সকালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সঙ্গে একই ফ্লাইটে ঢাকায় পা রাখেন সিমন্স। এসেই ছুটে যান মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আলাপ পরিচয়ের পর বৃহস্পতিবার থেকে কাজে যোগ দেন তিনি।

দুই দিন অনুশীলনের পর শনিবার গণমাধ্যমের সামনে হাজির হয়েছেন সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান এই ক্রিকেটার। তাতে তার কণ্ঠে বড় কিছুর স্বপ্ন। আর সেটা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ঘিরে।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলে বাংলাদেশ বর্তমানে আছেন ৭ নম্বরে। এই চক্র শেষে ফাইনালে যেতে হলে থাকতে হবে সেরা দুইয়ে। সেখানে ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মতন দলের সঙ্গে লড়াইয়ে আছে শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা আছে পাঁচে।

ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অ্যাওয়েতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মোট চার টেস্ট আছে বাংলাদেশের। সিমন্স মনে করছেন হাতে থাকা এই টেস্টগুলো জিততে পারলে ফাইনালের দৌড়ে থাকবেন তারাও, 'ভালো ব্যাপার হচ্ছে আমাদের সামনে খুব গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট ম্যাচ আছে যার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা পরের কয়েকটা টেস্ট জিতলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড়ে থাকব। আমার প্রথম মনোযোগের জায়গা হচ্ছে সোমবারের (২১ অক্টোবর, প্রথম টেস্টের শুরুর দিন) জন্য স্কোয়াডকে প্রস্তুত করা। গত দুই দিন দারুণ ছিলো। আমরা ক্রিকেটের বাইরের সব সংশয় দূর করতে চাই এবং সমস্ত মনোযোগ সোমবারে নিয়োজিত করতে চাই।'

সিমন্স দায়িত্ব নিয়েছেন একটা ভিন্নরকম আবহে, অনেকটা আচমকা। আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত তার সঙ্গে চুক্তি করেছে বিসিবি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে আগের কোচদের সঙ্গে বিসিবির নেতিবাচক সম্পর্কের কারণে। সর্বশেষ তিনজন কোচকেই চুক্তির মেয়াদ শেষের আগে বরখাস্ত করেছে বোর্ড। এদিক থেকে কতটা সংশয়হীন কাজ করতে পারবেন সিমন্স? তিনি অবশ্য মনে করছেন আন্তর্জাতিক কোচদের চাকরিটাই এমন,  'সব আন্তর্জাতিক কোচের চেয়ারই হট। বাংলাদেশ ভিন্ন, পাকিস্তান ভিন্ন আমার কাছে। খেলোয়াড়দেরকে নিয়ে উপভোগ করা আর ম্যাচ জেতার বিষয় এটা। সিট হট না এখন। গত দুই দিন খুব ভালো গিয়েছে।'

সিমন্স জানান দিন দশেক আগে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় বিসিবির পক্ষ থেকে। এখানকার তরুণ ও মেধাবী খেলোয়াড়দের নিয়ে কাজ করার সুযোগ নিতে খুব একটা চিন্তা করতে হয়নি তাকে, 'মানসম্পন্ন তরুণ খেলোয়াড় দেখে আগ্রহটা এসেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে তারা দারুণ সামলেছে। ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি (টেস্টেও হোয়াইটওয়াশ হয়েছে) ভালো খেলেনি, ভারত বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি দল। কাজেই সেখান থেকে শেখার আছে। তরুণ খেলোয়াড়দের মান উন্নয়নের বিষয় আছে। আমার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়নি।'

Comments

The Daily Star  | English

Can Bangladesh fend off Vietnam in RMG race?

Bangladesh's limited trade diplomacy, coupled with its slower shift towards value-added production, could allow Vietnam to surpass it in global rankings

9h ago