মিরপুর টেস্ট

বাংলাদেশকে অনায়াসে হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা

South Africa Cricket
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথম ইনিংসে অল্প রানে গুটিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ প্রতিপক্ষের হাতে দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই নিয়ন্ত্রণ আর কখনোই নিজেদের দিকে আনতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্ত দল। দ্বিতীয় ইনিংসে মেহেদী হাসান মিরাজ লড়াই করলেও প্রোটিয়াদের কঠিন চ্যালেঞ্জ দেওয়া যায়নি। নিজেদের কন্ডিশনে সহায়ক উইকেট বানিয়ে উল্টো নিজেরাই তাতে হয়েছে কুপোকাত।

বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই ম্যাচের ফল এসে গেছে। বাংলাদেশকে ৭  উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্রেফ ১০৬ রানের লক্ষ্য পেরুতে ২২  ওভারের বেশি খেলতে হয়নি সফরকারী দলের।

এই নিয়ে দশ বছর পর উপমহাদেশের মাঠে টেস্ট জিতল প্রোটিয়ারা। সর্বশেষ ২০১৪ সালে গলে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিলো তারা। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে বৃষ্টির কারণে তাদের দুই টেস্টই ড্র হয়। টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা এখনো অজেয় থাকল বাংলাদেশের কাছে। ১৫ টেস্ট খেলে তাদের কাছে ১৩টাই হারল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। 

পুরো টেস্টে কৌশলগত ভুল করে ফাঁদে পড়ে স্বাগতিক দল। অতি স্পিন সহায়ক উইকেট ভেবে মাত্র এক পেসার আর তিন স্পিনার নিয়ে নামে তারা। আট নম্বরে খেলায় বাড়তি ব্যাটার। আরও একজন পেসারের ঘাটতি ম্যাচের বিভিন্ন ধাপে টের পাওয়া গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকান পেসাররা বাংলাদেশের ২০ উইকেটের ১৩টাই নিয়েছেন, বাংলাদেশের একমাত্র পেসার হাসান মাহমুদও ভালো বল করেছেন। অর্থাৎ উইকেটে পেসারদের জন্যও ছিলো রসদ। সেটা অনুধাবন করতে ব্যর্থ বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।

১০৬ রানের লক্ষ্যে নেমে অনায়াসে এগুতে থাকেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার। হাসান মাহমুদের কিছু বল সমস্যায় ফেললেও স্পিনারদের সামলাতে অসুবিধা হচ্ছিল না। এইডেন মার্করাম, টনি ডে জর্জি দুজনেই বাউন্ডারি বের করতে পারছিলেন। শুরু থেকে বল করা তাইজুল ইসলাম দশম ওভারে গিয়ে পান সাফল্য। তার আর্ম ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন ২৭ বলে ২০ করা দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক। ততক্ষণে অবশ্য ৪২ রান এসে গেছে সফরকারীদের।

জর্জির সঙ্গে এরপর জুটি গড়েন ট্রিস্টিয়ান স্টাবস। এই জুটিতে দ্রুত আসে ৩৯ রান। ৫২ বলে ৪০ করে তাইজুলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বিদায় নেন জর্জি। ডেভিড বেডিংহ্যাম এসে এক ছয়ে ১২ রান করে ফিরে যান। ৩০ রানে অপরাজিত থেকে বাকি কাজ সেরে নেন স্টাবস।

সকালে ৭ উইকেটে ২৮৩ রান নিয়ে নেমে আর ২৪ রান যোগ করতে পারে স্বাগতিক দল। মেঘলা আকাশের নিচে কাগিসো রাবাদা হয়ে উঠেন বিপদজনক, তার সঙ্গে মিলে উইকেট ফেলেন ভিয়ান মুল্ডারও। সেঞ্চুরি সম্ভাবনা জাগিয়ে ৯৭ রানে থামেন মিরাজ। বাংলাদেশ থামে ৩০৭ রানে। তিন অঙ্ক ছাড়ানো অল্প পুঁজি নিয়ে লড়াইয়ের বাস্তবতা ছিলো না, সেটা হয়ওনি।

Comments

The Daily Star  | English

Central bank at odds with BPO over Nagad’s future

The discord became apparent after Faiz Ahmed Taiyeb, special assistant to the chief adviser with authority over the Ministry of Posts, Telecommunications and IT, sent a letter to the BB governor on May 12 and posted the letter to his Facebook account recently

2h ago