নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৪

ছবি: স্টার

নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা দুই দফায় সংঘর্ষ হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জেলা ছাত্রদল সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান নাহিদ ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হোসানের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সূত্র জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের নিচতলায় বসে থাকাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসা নিতে গেলে নাহিদ গ্রুপ হাসপাতালে ঢুকে আবারও হামলা চালায়।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তৌহিদুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '১০ জন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং আহত চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'তিনজনকে হাসপাতাল কমপ্লেক্সের ভেতরেই কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহত আরও চার-পাঁচজন হাসপাতালে হামলার পর আতঙ্কে পালিয়ে গেছেন।'

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জাহিদ হোসান জাপ্পি বলেন, 'বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আমাদের ওপর হামলার পর আমরা নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময় আবারও অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের চারজনকে কুপিয়ে আহত করেছে নাহিদ ও তার লোকজন।'

'নাহিদ দুই ছাত্রদল নেতাকর্মীকে হত্যা, আদালতে প্রবেশ করে আইনজীবীদের ওপর হামলাসহ নানা অপরাধে জড়িত। তার বিচার না হলে নরসিংদীকে সে অপরাধের রাজ্যে পরিণত করবে,' বলেন তিনি।

হাসপাতালে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাহিদ। তিনি বলেন, 'পরিকল্পিতভাবে আমাকে আহত করা হয়েছে এমন গুজব ছড়ানোর পর আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা ভেবেছিল, আমি হয়তো নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলাম। এ জন্য আমার কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী হাসপাতালে গিয়েছিল, তবে হামলার সঙ্গে তারা জড়িত না। যদি হাসপাতালে হামলার ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।'

দলীয় কার্যালয়ে কী হয়েছিল জানতে চাইলে নাহিদ বলেন, 'বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে সামান্য বিষয়ে কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি নিয়ে হট্টগোল শুরু হলে আমি গিয়ে মীমাংসা করে দেই। কিন্তু আমি আহত হয়েছি এমন গুজব ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করা হয়। যারা আহত হয়েছেন বলা হচ্ছে, তারা ছাত্রদলের কেউ না।'

নরসিংদী সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ বলেন, 'ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সামান্য বিষয় নিয়ে মারামারি হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।'

Comments

The Daily Star  | English

Economic expectations: Did govt fall short?

When an interim government was sworn into office following the ouster of the Awami League regime just 100 days ago, there was an air of expectation that the Prof Muhammad Yunus-led administration would take steps to salvage a scam-ridden financial sector and rescue an ailing economy.

8h ago